অষ্টম অধ্যায়ঃ কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াত
১. যে কুরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়, সেই শ্রেষ্ঠ মুসলমান। কুরআন তেলাওয়াত এবং তার সম্পর্কে জ্ঞানার্জন দুটি প্রধান গুণ।
২. পবিত্র কুরআন ডান হাতে ধারণ এবং দেয়া-নেয়ার সময় ডান হাতে নিতে হবে, বাম হাতে নয়।
৩. সন্তান প্রসবের পর অথবা মাসিকের সময় মহিলারা এবং যে নারী-পুরুষের ওপর গোসল ফরজ তাদের কুরআন স্পর্শ করা বা পড়া উচিত নয়।****
৪. কুরআনের সকল অধ্যায় এবংয় সকল শব্দ কল্যাণকর ও উপকারী।
৫. দলবদ্ধভাবে কুরআন শিক্ষা ও তিলাওয়াত করা প্রয়োজন।
৬. কুরআন তিলাওয়াত বা অধ্যয়ের সময় মনোযোগের সঙ্গে শুনা শুধু শিষ্টাচার নয় বরং প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ।
৭. যথাযথ ধ্যান চিন্তাচেতনার সঙ্গে কুরআন অধ্যয়ন এবং অর্থ অনুধাবনের জন্য মনোযোগ অপরিহার্য।
৮. কুরআন একটি হেদায়াত গ্রন্থ। পবিত্র কুরআনে ঐতিহাসিক, বৈজ্ঞানিক, ভৌগলিক এবং অন্যান্য বিষয় থাকলেও তা ইতিহাস, বিজ্ঞান বা ভূগোল গ্রন্থ নয়।
৯. মানবজাতির জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য কুরআন হেদায়াত গ্রন্থ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং শুধু এ ধরনের অনুষ্ঠানে কুরআন তেলওয়াত যথেষ্ঠ নয়।
১০. কুরআন ক্রয় বা বিক্রয়কালে কোন নির্ধারিত মূল্য লেখা না থাকলে আনুমানিক মূল্য দিয়ে দেয়া উত্তম, দরকষাকষি করা অনুচিত।
[**** অধিকাংশ বিদগ্ধ আলেমের মতে অপবিত্র অবস্থায় কুরআন পড়া যায়। ছোঁয়া যায় না- অনুবাদক]
১১. বারবার কুরআন পড়ে জ্ঞানকে তাজা করা উচিত; যারা হাফেজ বা যারা কুরআন বা সূরা মুখস্থ রাখতে চায়,তাদের জন্য এটা বিশেষভাবে প্রযোহ্য। কিছুদিন এই অভ্যাস না থাকলে তা স্মরণে রাখা যায় না।
১২. কুরআন অধ্যয়ন বা তিলাওয়াতকালে তাজবিদের অন্তর্ভুক্ত প্রচলিত উচ্চারণ ও স্মরণভেদ নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে। মহনবী (সা.) ও সাহাবীদের সময় থেকে এসব বিধি চালু হয়ে আসছে।
১৩. কুরআন তিলাওয়াতের সময় সুললিত কণ্ঠে তিলাওয়াত করতে হবে, গান গাওয়ার সুরে নয়; কারণ সুললিত কণ্ঠের আওয়াজ কুরআনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। তবে তা তাজবিদের বিধির বিরোধী হবেনা। কেউ কেউ কুরআন পাঠকালে সুরেলা কণ্ঠে গানের মত করে পাঠ করেন, যা তাজবিদের বিধিরি বিরোধী এবং এটা নিষিদ্ধ। এধরনের তিলাওয়াতের সময় শ্রোতাকে প্রথম সুযোগেই তিলাওয়াত শুদ্ধ করে দিতে হবে এবং এই ভুলের ব্যাপারে বিনীতভাবে দৃষ্টি আকর্ণ করতে হবে।
১৪. কুরআনের ১৪টি সিজদার আয়াত সম্বিলিত যেকোন আয়াত পড়ার সময় কুরআন শরীফ একপাশে রেখে সিজদাহ করতে হবে।
১৫. অন্যের কুরআন তিলাওয়াতের সময় ভুল ধরার ব্যাপারে কর্কশভাব দেখানো উচিত নয়।
১৬. আল কুরআন আসমানি কিতাব বিধায় কুরআন সম্পর্কে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।