জামায়াত অনলাইন লাইব্রেরি
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস
জামায়াত অনলাইন লাইব্রেরি

ইসলামের নৈতিকতা ও আচরণ

অন্তর্গতঃ uncategorized
Share on FacebookShare on Twitter

সূচীপত্র

  1. প্রথম অধ্যায়ঃ সূচনা
    1. উৎস
    2. বৈশিষ্ট্য : বোধগম্যতা ও নৈতিকতা
    3. লক্ষ্য
    4. দয়া ও ভদ্রা
    5. অন্যদর প্রতি বিবেচ্য বিষয়
    6. সামাজিক সম্পর্ক রক্ষায় ইসলামি আদবের ভূমিকা
    7. ইসলামি আদবের ধর্মীয় দিক
    8. কয়েকটি উদাহরণ
    9. ইসলামি আদবের মনস্তাত্ত্বিক দিক
    10. ইসলামি আদবের মেডিক্যাল ও স্বাস্থ্যগত দিক
    11. জাতীয় অর্থনীতে ইসলামি আদবের ভূমিকা
    12. বিয়ে, পরিবার ও ইসলামি আদব
    13. ইসলামে যৌনাচরণ বিধি
    14. ইসলামি আদব এবং নারীর মর্যাদা
    15. ইসলামি আদব ও শৃঙ্খলা
    16. মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্ন
    17. মুসলমানদের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক পরিচয় সংরক্ষণে ইসলামি আদব
    18. মুসলমানদের আচার ও প্রথার ব্যাপারে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
    19. ইসলামি আচরণের প্রধান প্রধান বিধির পর্যালোচনা
  2. দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ বিভিন্ন দৈহিক কার্যক্রম
    1. হাঁচি
    2. হাই তোলা
    3. বিছানায় গমন (প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি)
    4. কখন ঘুমাতে হবে
    5. বিছানা
    6. ঘুমাতে যাবার আগে
    7. ঘুম থেকে জাগা
    8. স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্ন দেখা
    9. মলমূত্র ত্যাগ
    10. বহির্ভাগে এস্তেঞ্জা
    11. মাসিক রক্তস্রাব এবং প্রসূতি কাল
    12. পুরুরে অপবিত্র অবস্থা
  3. তৃতীয় অধ্যায়ঃ পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা
    1. অপবিত্রতা
    2. গোসল করা
    3. কোথায় গোসল করবেন
    4. গোসল কখন ফরজ হয়
    5. গোসলের নিয়ম
    6. শরীরের কোন কোন অংশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ
    7. মানুষের প্রসাধনী ও সাজসজ্জা
    8. চুল
    9. দাঁড়ি
    10. সুগন্ধি
    11. গোঁফ
    12. সীল মোহরযুক্ত আংটি
    13. মহিলাদের মেকআপ ও রূপচর্চা
    14. চুল
    15. মুখমণ্ডল ও হাত
    16. প্রসাধনী
    17. নারী-পুরুষের জন্য সাধারণ নির্দেশ
  4. চতুর্থ অধ্যায়ঃ খানাপিনার আদব
    1. খেতে বসা
    2. খাওয়ার সুষ্ঠু রীতি
    3. পানীয়
  5. পঞ্চম অধ্যায়ঃ পোশাক
    1. সাধারণ নীতি
    2. পুরুষের পোশাক
    3. মহিলাদের পোশাক
    4. জুতো
  6. ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ স্থাপত্য ও আসবাপত্র
    1. মুসলমানদের বাসগৃহ
    2. আসবাবপত্র
    3. বসতবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা
    4. অলংকার ও সৌন্দর্য
    5. বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
  7. সপ্তম অধ্যায়ঃ পারিবারিক আচরণ
    1. স্ত্রীর প্রতি আচরণ
    2. মুসিলম স্ত্রীর সঠিক আচরণ
    3. সন্তানদের প্রতি পিতামাতার আচরণ
    4. পিতামাতার প্রতি সন্তানের আচরণ
  8. অষ্টম অধ্যায়ঃ কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াত
  9. নবম অধ্যায়ঃ মসজিদ
    1. মসজিদের ডিজাইন
    2. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
  10. দশম অধ্যায়ঃ জুমাবারে করণীয়
    1. শুক্রবারের জুমার খুতবা
  11. একাদশ অধ্যায়ঃ উৎসব উদযাপন
    1. উৎসব পালন
    2. ঈদুল আজহার করণীয়
    3. ঈদুল ফিতরের জন্য বিশেষ নির্দেশ
  12. দ্বাদশ অধ্যায়ঃ বিবাহ
    1. পাত্রী অনুসন্ধান
    2. স্বামী নির্বাচনে স্ত্রীর অধিকার ও দায়িত্ব
    3. বিবাহ
    4. কাবিননামা
    5. বিবাহের অনুষ্ঠান
    6. দাম্পত্য জীবন
    7. পুরুষদের প্রতি পরামর্শ
    8. মহিলাদের প্রতি পরামর্শ
    9. বিবাহের ওয়ালিমা
    10. বহুবিবাহ
  13. ত্রয়োদশ অধ্যায়ঃ জন্ম
    1. ঘোষণা
    2. অভিনন্দন ও পরিদর্শন
    3. সপ্তম দিনের উৎসব
    4. পশু জবাই করা
    5. শিশুর মস্তক মুণ্ডন
    6. খতনা উৎসব
  14. চতুর্দশ অধ্যায়ঃ নামকরণ ও অন্যদের সম্ভাষণ
    1. নামকরণ
    2. অন্যান্যদের সম্বোধন করা
  15. পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ সামাজিক জীবন
    1. সুষ্ঠু সামাজিক সম্পর্ক
    2. অন্যদের প্রতি কর্তব্য
    3. অপরিহার্য ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য
    4. ব্যক্তিগত খারাপ বৈশিষ্ট্য
    5. কথা বলা ও শোনা
    6. বক্তৃতার গ্রহণযোগ্য ভাষা
    7. শ্রবণ
    8. শপথ করা
    9. নজর (ইচ্ছা পূরণের সাথে শপথকে সংশ্লিষ্ট করা)
    10. হাসি
    11. কাঁদা
    12. তামাশা
    13. অন্যদের সাথে সাক্ষাৎকালে আচরণ
    14. সম্ভাষণ জানানোর আদব
    15. অপরের বাসগৃহে প্রবেশের সময় অনুমতি প্রর্থনা
    16. বন্ধুদের বাড়িতে
    17. মেহমানদের স্বাগত জানানো
    18. লোকদের আপ্যায়ন
    19. খাবার জন্য আমন্ত্রিত হলে
    20. অসুস্থদের দেখতে যাওয়া
    21. গ্রুপ বৈঠক
    22. কিভাবে বসতে হবে
    23. গৃহের বাইরে মহিলাদের আচরণ
    24. উৎসব পালন
    25. আত্মীয়-স্বজনের সাথে আচরণ
    26. প্রতিবেশীর সাথে আচরণ
    27. উপহার
  16. ষোড়শ অধ্যায়ঃ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করণীয় আচরণ
    1. মসজিদে
    2. কবরস্থান
    3. রাজপথে
  17. সপ্তদশ অধ্যায়ঃ মৃতের দাফন কাফন
    1. কারো মৃত্যু হলে করণীয়
    2. দাফন কাজে অনুগমন
    3. দাফন
    4. কবর দেওয়ার পর
    5. শোক প্রকাশ
  18. অষ্টাদশ অধ্যায়ঃ কবরস্থাপনের স্থাপত্য
    1. কবরের স্থান
    2. কবরের আভ্যন্তরীণ ডিজাইন
    3. কবরের বাইরের ডিজাইন
  19. ঊনবিংশ অধ্যায়ঃ সফর
  20. বিংশ অধ্যায়ঃ ক্রীড়া
  21. একবিংশ অধ্যায়ঃ জীবজন্তুর প্রতি আচরণ
  22. গ্রন্থপঞ্জি
  23. নির্ঘন্ট

সপ্তদশ অধ্যায়ঃ মৃতের দাফন কাফন

কারো মৃত্যু হলে করণীয়

১. কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে এ খবর স্থানীয় সংবাদপত্রের মাধ্যমে বন্ধুবান্ধব জনগণের মধ্যে প্রচার করতে হবে। *** তবে এ ধরনের ঘোষণা মৃত ব্যক্তির প্রশংসা বা সাফল্য বর্ণনা করা উচিত নয়। বরং ঘোষণায় মৃত ব্যক্তির জন্য সকলকে দোয়া করার আহবান জানাতে হবে।
২. গোসল এবং কাফনের কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়ার পর লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিতে হবে। মিতব্যয়িতার সাথে একাজ সম্পাদন করতে হবে।
৩. পুরুষের মৃত দেহ পুরুষ এবং নারীর মৃত দেহ নারী গোসল করাবে। স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে জীবিত জন মৃতের গোসল করাবে।
৪. মৃত ব্যক্তিকে পানি দিয়ে এবং সম্ভব হলে জলপদ্ম (Lotus Leave) দিয়ে বেজোড় সংখ্যাং ৩, ৫ বা আরো বেশিবার গোসল করাবে এবং ডান দিক থেকে গোসল শুরু করাবে। সবশেষে গোসলের সময় কপূর দেয়া যেতে পারে। মৃত ব্যক্তি নারী হলে তার চুল তিনটি বিনুনি করে মাথার পিছনে রেখে দিতে হবে।
৫. মৃতের কাফনের কাপড় সাধারণ মানের হওয়া উচিত এবং বাহুল্য এক্ষেত্রে সমর্থনযোগ্য নয়। স্বাস্থ্যগত কারণ ছাড়া ‘কফিন’ ব্যবহার করার প্রয়োজ নেই। [‘কফিন’ অর্থ আরবি নয় বং শব্দটি ইংরেজি অর্থ প্রকাশ করেছে অর্থাৎ দাফনের আগে লাশ রাখার জন্য বাক্স বা খাঁচার ব্যবহার প্রসঙ্গ।]
[*** এদেশে ছোট শহর ও পল্লী এলাকায় সংবাদপত্র না থাকায় সাধারণতঃ মাইকের সাহায্যে মৃত্যু সংবাদ প্রচার করা যায়- অনুবাদক]
৭. শহীদের মর্যাদাসম্পন্ন লাশের ক্ষেত্রে তাদের শরীর থেকে অলংকার খুলে ফেলতে হবে এবং রক্ত সম্বলিত কাপড় চোপড়েই (না ধুয়ে) দাফন করতে হবে।
৭. পবিত্র হজ্ব বা উমরাহ পালনকালে কোন মুসলমানের মৃত্যু হলে তার দেহ সম্ভব হলে পানি ও জলপদ্ম দিয়ে গোসল করাতে হবে এবং দু’খণ্ড কাপড় পরে তিনি হজ্ব বা উমরাহ পালন করেছিলেন তা দিয়েই দাফন করাতে হবে। এক্ষেত্রে কোন প্রকার সুগন্ধী বা আতর মৃতদেহে লাগানোর প্রয়োজন নেই বা মাথা ঢাকতে হবেনা। ***
৮. যে ব্যক্তি মৃতদেহ গোসল করিয়েছে তার গোসল করা উচিত এবং যারা লাশ বহন করবে তাদে অজু করা উচিত।
৯. যারা মৃতদেগ গোসল করাবে তারা মৃত ব্যক্তির কোন প্রকার শারীরিক অসম্পূর্ণতা লক্ষ্য করে থাকলে তা অন্যদের কাছে বলবে না। ভাল দিকের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।
১০. মৃতদেহ গোসল ও কাফনের কাপড় পরানোরপর বিলম্ব না করে জানাজার নামাজ পড়ে কবর দেয়ার দাগিত করা হয়েছে।

দাফন কাজে অনুগমন

১. কোন মুসলমানের দাফনে অবশ্যই অন্যান্য ‍মুসলমানের যোগ দেয়া উচিত। সুতরাং মৃত ব্যক্তি বা তার আত্মীয়-স্বজন সরাসরি পরিচিত হোক বা না হোক দাফন কাফনের মিছিলে যোগ দিতে কোন মুসলমানের বিলম্ব করা উচিত নয়।
২. দাফন কাজে যোগদানের বিষয়টি দু’টি পর্যায়ে বিভিক্তঃ প্রথম পর্যায় জানাজার নামাজ পড়া এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ‍মৃত ব্যক্তির দাফন পর্যন্ত। যারা প্রথম পর্যায়ে গো দেবেন তারা দ্বিতীয় পর্যায় সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উত্তম।
[***মালিকি ও হানাফি মতে ইহরাম অবস্থায় মৃত ব্যক্তির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা সমর্থন করেনা।]
৩. শিশুসহ ‍মৃত্যবরণকারী প্রত্যেক ‍মুসলমানের জানাজা পড়তে হবে। জানাজার জন্য লাশ মসজিদে নিয়ে যাবার প্রয়োজন নেই। মসজিদের বাইরে মসজিদের প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ পড়তে হবে।
৪. জানাজায় কেউ কেউ বিশেষতঃ মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনরা অন্যদের আসার জন্য প্রতীক্ষা না করে জানাজায় অংশ নেয়া উচিত।
৫. দাফন যাত্রার গতি ‍খুব দ্রুত হওয়া উচিত নয়।
৬. দাফন কাজে যারা পদব্রজে অনুগমন করবে তারা কফিনের সামনে বা পিছনে অথবা ডানে বা বামে থেকে হাঁটবে। যারা ঘোড়ায় চড়ে বা গাড়িতে যাবে তারা পিছনে চলবে।
৭. লাশের অনুগমনকালে ধুপ-ধুন বা মোমবাতি নেয়া, জোরে বা উচ্চস্বরে ‘আল্লাহ’ বলা, সশব্দে কাঁদা বা জোরে শোরে কোরআন পড়া নিষিদ্ধ।
৮. দাফনের মিছিলের বক্তৃতা সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত।
৯. লাশের কোন মিছিল দেখলে মুসলমানদের উচিত দাঁড়িয়ে যাওয়া।
১০. কবরস্থান দূরে না হলে লাশের কফিন গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহনে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
১১. যারা লাশ বহন করবে তাদের অজু করা উচিত। এর ফলে তারা শারীরিকভাবে এবং আবেগপ্রবণতার দিক থেকে সতেজ থাকবে।
১২. দাফন মিছিলে অনুগমনকা কবরস্থান দূরে না হলে গাড়িতে যাওয়ার চাইতে হেঁটে যাওয়াই ভাল। দাফনের পর ফিরে আসার সময় গাড়িতে আসা যেতে পারে।

দাফন

১. ‍মুসলমানদের একান্তভাবে ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ কবরস্থান সংরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অমুসলমানদের কবরস্থানে মুসলমানদের দাফন না করা এবং মুসলিম কবরস্থানেও অনুরূপ বিধান করা অতীব জরুরি।
২. কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর বিশেষভাবে অনুরোধ করে হলেও তার লাশ পুড়িয়ে ফেলা যাবে না। এ ধরনের অনুরোধ কখনই পূরণ করা চলবে না।
৩. শহীদান (যারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে বা অন্যান্য কারণে নিহত হয়ে শহীদের মর্যাদাপ্রাপ্ত) ছাড়া অন্যান্যদেরকে কবরস্থানে দাফন করতে হবে। শহীদদের তাদের শাহাদাতস্থলে দাফন করতে হবে।
৪. যে পাড়ায় বা মহল্লাহয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে সেখানেই তাকে দাফন করা উচিত। ‍মৃত ব্যক্তির নিজ দেশে নিয়ে যাওয়া অথবা অন্য শহরে স্থানন্তরিত করা বাঞ্ছিত নয়।
৫. নিম্নোক্ত ব্যতিক্রম ছাড়া মৃত্যুর পরপরই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাফন সম্পন্ন করতে হবে:
(ক) রাতে
(খ) সূর্যোদয় থেকে সূর্য-দিগন্তে ৪.৫ ডিগ্রি না উঠা পর্যন্ত (পুরাপুরি সূর্য উছা পর্যন্ত)।
(গ) মধ্যাহ্নগগনে সূর্যের অবস্থান কালে (সূর্য যখন মধ্য রেখায় অবস্থান করে) তার মধ্য রেখা অতিক্রম করা পর্যন্ত।
(ঘ) সূর্যাস্তের আগে যে সময় সূর্যের রশ্মি নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে পুরোপুরি সূর্যাস্ত পর্যন্ত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এ সময়ের মধ্যে মৃত ব্যক্তির দাফন করা নিষিদ্ধ।
৬. রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃদন্দ অথবা ধনীদের জন্য বিশেষ কবরস্থান নির্বাচন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ইসলাম জীবনে ও মরণে শ্রেণীভেদ প্রত্যাখ্যান করেছে।
৭. যুদ্ধালে মহামারীর সময় একই কবরে একাধিক ব্যক্তিকে দাফন করতে হলে জীবিতকালে যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করেছে তাকেই আগে দাফন করতে হবে।
৮. শুধু পুরুষ লোকেরাই ‍মৃত ব্যক্তির কবর স্থাপন করবে। মৃতের পুরুষ আত্মীয়রাই সত্যিকার অর্থে তাকে (নারী হোক বা পুরুষ হোক) কবরে নামানোর হকদার।
৯.মৃতের গোসল, কাফন পরানো বা কবরে নামানোর কাজে ভাড়াটে লোক নিয়োগ করা অনুচিত। মৃত ব্যক্তির আত্মীয় ও পরিবারকে এসব কাজ সম্পদান করতে হবে। জীবনে ও মরণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের উপর ইসলাম গুরুত্ব আরোপ করেছে।
১০. মৃতকে কিবলামুখী করে ডানদিকে কবরে শইয়ে দিতে হবে।
১১. মৃত ব্যক্তিকে কবরে স্থাপনকারীরা বলবে: “বিসমিল্লাহে ওয়াআলা মিল্লাতে রাসূলিল্লাহে” (আল্লাহর নামে এবং তার রহমতে ও রাসূলুল্লহর (সা.) সুন্নাহর অনুসরণে); কবরের পিছন দিক হতে লাশ কবরে স্থাপন করতে হবে।
১২. কবরস্থানে লাশ স্থাপন করা পর্যন্ত কবরে দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। যারা কবর লাশ স্থাপন করবে তারা ছাড়া আত্মীয়-স্বজনরা বসে থাকতে পারবে।
১৩. কবরে লাশ নামানোর পর এবং তার উপর ঢাকনা দেওয়ার পর কবরের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তিন মুঠি মাটি কবরে স্থাপন করবে।
১৪. মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির তওবা করানো একটি নব্য রেওয়াজ। ব্যক্তির মৃত্যুর আগে তওবা করাতে হবে।
১৫. মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা সুন্নত।

কবর দেওয়ার পর

১. মৃত ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলে আত্মীয়-স্বজনের উচিত তার ঋণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করা, অবশ্য যদি তাদের সামর্থ্যে কুলায়।
২. ইসলামি শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক না হলে মৃত ব্যক্তির সর্বশেষ ইচ্ছা পূরণ করতে হবে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়, ইসলাম যেহেতু নির্দিষ্ট লোকদের জন্য উত্তরাধিকার আইন কার্যকর করেছে, সেহেতু মৃত ব্যক্তি তার কোন উত্তরাধিকারীকে অতিরিক্ত অর্থ দেয়ার অছিয়ত করলে তা পূরণ করা ঠিক হবেনা।

শোক প্রকাশ

১. শোকসন্তপ্তদের সান্ত্বনা, সহানুভূতি ও সমবেদনা প্রকাশ মুসলমানদের অন্যতম কর্তব্য। এর ফলে মুসলিম সমাজে সম্প্রীতির সম্পর্ক জোরদার হয়। সুতরাং মৃত্যুর পর শোকাহত পরিবারের সঙ্গে সামাজিকভাবে মেলামেশা করা, তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা ইসলামি আচরণের বৈশিষ্ট্য।
২. কারো প্রতি সমবেদনা প্রকাশের ভাষা খুব সতর্কভাবে চয়ন করতে হবে। খোদার ইচ্ছাকে মেনে নিতে উৎসাহিত করা এবং সহানুভূতি প্রকাশের জন্য যথার্থ শব্দ চয়ন করতে হবে।
৩. উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সমবেদনা প্রকাশের ইসলামি ভাষা হচ্ছে: গপরাল্লাহ লিমাইয়াতিকুম (হে খোদা মৃতের গোনাফ মাফ কর) এবং ইন্নাল্লিাহি মা আখাযা ওয়ালাহু মা’আতা ওয়াকুল্লু শাইয়িন ইন্দাহু ইলা আজালীন মুসাম্মা (খোদা যা নিয়েছেন বা দিয়েছেন তা প্রকৃত অর্থে তারেই এবং প্রত্যেক কাজের জন্য তাঁর নির্দিষ্ট সময় রয়েছে)।
৪. শোকাহত লোকদের সান্ত্বনা ও উৎসাহদান যতদূর প্রয়োজন হয় দিতে হবে। শোকাহত সদস্যদের সাথে মাঝে মাঝে সাক্ষাৎ করতে হবে।
৫. শোকসন্তপ্ত পরিবার আগত লোকজনদের রান্নাবান্না করতে বা খাদ্য পরিবেশন করতে পারেনা। বরং বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশিী ও আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের খাদ্য তৈরির জন্য; করণ পরিবারের সকলে প্রিয়জন হারানোর বেদনায় থাকে আচ্ছন্ন।
৬. শোকবিধুর লোকজনকে সমবেদনা জানানো সদাচরণ সন্দেহ নেই, তবে এতে বাড়াবাড়ি করা চলবে না। বক্তৃতা হবে সংক্ষিপ্ত। হালকা কথাবার্তা, রসিকতা এবং হাসাহাসির মত বিষয় পরিহার করতে হবে।
৭. কোন মুসলমানের মৃত্যুর পর সবরকম বিদয়াত কাজ (যেমন চতুর্দশ দিবসে কবরে পাশে বসে সারারাত ধরে বিলাপ করা ইত্যাদি) পরিহার করতে হবে।
শোক পালন
১. ইসলামে মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করার অনুমতি থাকলেও এ ব্যাপারে ইসলামে দৃষ্টিভঙ্গি এবং বর্তমানকালে মুসলমানদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান।
২. মৃত আত্মীয়দের জন্য মহিলাদের তিন দিনের বেশি শোক প্রকাশ করতে নেই। বিধবারা চার মাস দশ দিন শোক প্রকাশ করতে পারে।
৩. ক্ষতির পরিমাণ যত বেশিই হোকনা কেন, কারো দৃষ্টিতে দিশেহারা হয়ে গেছে, এমন হওয়া চলবেনা। শোকাহত লোকদের সংযম প্রদর্শন করে হবে এবং খোদার শোকর করে তাদেরকে বলতে হবে, “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হি রাজেউন” (নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব)
৪. আত্মীয় বা বন্ধুর মৃত্যুতে শোকাহত হওয়অ স্বাভাবিক ব্যাপার। মৃতদের জন্য বিলাপ করতে দেখা স্বাভাবিক ব্যাপার এবং ইসলামে তা অনুমোদিত। ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হচ্ছে বুক চাপড়ে, ‍চুল বা কাপড় ছিঁড়ে বিলাপ করা বা তীক্ষ্ণ চীৎকার করা।
৫. মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ কালে ইসলামি শিক্ষার পরিপন্থী কোন বাক্য যাতে উচ্চারিত না হয় তার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে; যেমন- “আমার এখন কি উপায় হবে”? অথবা “আমাদের এখন ভরণ পোষণকারী চলে গেল”। এসবের অর্থ হচ্ছে আল্লাহ ব্যতীত মানুষের উপর নির্ভর করা।
৬. মুসলমানদের কর্তব্য হচ্ছে: শোক প্রকাশকারীদের এভাবে শোক প্রকাশ করতে মানা করা।
৭. ইসলামের মতে, বিধবার শোক প্রকাশকাল পর্যন্ত বিয়ে করা উচিত নয়। সুতরাং এ সময়ের মধ্যে বিধবার প্রতি বিয়ের প্রস্তাব দেয়া অভদ্রতা।
৮. শোক প্রকাশরত মহিলার জাফরান রঙ্গের কাপড়, অলঙ্কার না পরলে, চুলে মেহেদী বা চোখে আতর না লাগলে ভাল হয়।
এই অধ্যায়ে আমরা দাফন কাফনের ব্যাপারে খুবই সাধারণ ও প্রয়োজনীয় বিধান আলোচনায় সীমিত থেকেছি। যারা এ ব্যাপারে আরো তথ্য চান, তাদেরকে ইসলামি আইনের বিভিন্ন গ্রন্থাদি পড়াশোনা করতে হবে।

Page 18 of 24
Prev1...171819...24Next

© Bangladesh Jamaat-e-Islami

  • আমাদের সম্পর্কে
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • যোগাযোগ
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস

@BJI Dhaka City South