পানির ব্যাপারে ছয়টি কার্যকর মূলনীতি
১. পানি প্রকৃতপক্ষে পাক। অর্থাত্ মৌলিক দিক দিয়ে পাক। এ জন্যে যতোক্ষণ পর্যন্ত তার নাপাক হওয়ার প্রমাণ পাওয়া না যাবে, ততোক্ষণ তা পাক বলতে হবে। যেমন ধরুন বনের মধ্যে কেন গর্তে পানি রয়েছে তা পাক। তবে যদি কোন যুক্তি প্রমাণে তা নাপাক হওয়া নিশ্চিত হয় তাহলে নাপাক মনে করতে হবে।
২. সন্দেহের কারণে নিশ্চিত বিষয় পরিত্যাগ করা যাবে না। যেমন ধরুন, কোন ঘরে পানি রাখা আছে। সেখানে থেকে কুকুর বেরুতে দেখা গেল। এখন সন্দেহ হয় যে, হয়তো কুকুর তাতে মুখ দিয়েছে। অথবা কুকুরকে মুখ দিতে দেখা যায়নি, আর না কোন অবস্থাগত প্রমাণ পাওয়া যায় যে, কুকুর পানিতে মুখ দিয়েছে। এমন অবস্থায় পানি পাক মনে করতে হবে। কারণ তার পাক হওয়াটা নিশ্চিত। নাপাক হওয়ার শুধু সন্দেহ হয়। সন্দেহের কারণে নিশ্চিয়তা দূর হয় না।
৩. কঠিন অবস্থায় হুকুম লাঘব হয়। যেমন ধরুন পাখীর পায়খানা নাপাক। এখন কূপকে তার থেকে রক্ষা করা বড়ো কঠিন জন্যে হুকুম এই যে, পাখীর পায়খানাতে কূপের পানি নাপাক হয় না।
৪. অনিবার্য প্রয়োজনে নাজায়েয জিনিসও জায়েয হয়ে যায়। যেমন কোন সময়ে পিপাসায় প্রাণ যায় যায়। পাক পানি পাওয়া যচ্ছে না। শুধু নাপাক পানি পাওয়া যায়। এমন অবস্থায় নাপাক পানি পান করা জায়েয।
৫. শরীয়তের হুকুম লাগাবার সময় অধিক বস্তুর উপর নির্ভর করতে হবে। যেমন ধরুন কোন পাত্রে পাককারী পানি এবং ব্যবহৃত পাক পানি মিশ্রিত হয়েছে। তার মধ্যে যার পরিমাণ বেশী হবে তার উপরে হুকুম হবে। যদি মুতাহহের পানি বেশী হয় তাহলে সমস্ত পানি মুতাহহের মনে করতে হবে। তা দিয়ে অযু গোসল জায়েয হবে। আর যদি মুস্তামাল (ব্যবহৃত) পানি বেশী হয় তাহলে সমস্তটাই মুস্তামাল মনে করতে হবে। তা দিয়ে অযু গোসল জায়েয হবে না।
৬. কোন নতুন বিষয় জানা গেলে, যখন তা জানা যাবে তখন থেকে মানতে হবে। যেমন ধরুন কোন কূপে মৃত ইঁদুর দেখতে পাওয়া গেল। এখন হুকুম এই যে, যখনই দেখা যাবে তখন থেকে কূপের পানি নাপাক মনে করতে হবে। তার পূর্বে যদি ঐ পানি দিয়ে গোসল করা হয়ে থাকে তাহলে তা জায়েয মনে করতে হবে।
পানির মাসয়ালা
পানি-যা দিয়ে তাহারাত দুরস্ত
১. বর্ষার পানি, নদী, সমদ্র, পুকুর, ঝর্ণা, কূপ, টিউবওয়েল প্রভৃতির পানি, মিঠা হোক অথবা লোনা এবং এমনি শিশির, বরফ ও বরফগলা পানি পাক। এ সবের প্রত্যের ধরনের পানি দিয়ে বিনা দ্বিধায় অযু গোসল করা জায়েয।
২. গোবর, পায়খানা প্রভৃতি দ্বারা আগুন জ্বালিয়ে পানি গরম করলে তা পাক থাকবে এবং তা দিয়ে অযু গোসল করা দুরস্ত হবে।
৩. কোন পুকুর, হাউজ অথবা গর্তে বহুদিন ধরে পানি আবদ্ধ রয়েছে, অথবা পাত্রে বহুদিন যাবত পানি রাখা আছে, এ কারণে তার রং, গন্ধ অথবা স্বাদ বদলে গেছে, তথাপিও পানি পাক এবং তা দিয়ে বিনা দ্বিধায় তাহারাত হাসিল করা যাবে।
৪. বনে জংগলে ছোট বড় গর্তে যে পানি জমা হয় তা পাক। বিনা কেরাহাতে তা দিয়ে তাহারাত হাসিল করা যায়। তবে কোন যুক্তি প্রমাণ দ্বারা যদি নাপাক হওয়া নিশ্চিত হয় অথবা প্রবল ধারণা জন্মে তাহলে তা দিয়ে অযু-গোসল করা ঠিক হবে না।
৫. পথের মধ্যে লোকে ঘড়া ও মটকাতে পানি রেখে দেয় যা থেকে ছোট, বড়ো, নগরবাসী, গ্রামবাসী সকলে পানি পান করে। এ ব্যাপারে পুরাপুরি সতর্কতাও অবলম্বন করা হয় না। এ পানি পাক এবং তার দ্বারা অযু-গোসল করা যাবে। তবে কোন যুক্তি প্রামাণ দ্বারা নাপাক হওয়া সাব্যস্ত হলে অন্য কথা।
৬. ছোট শিশু যদি পানির মধ্যে হাত দেয় এবং তার হাত নাপাক হওয়া সম্পর্কে না নিশ্চিত হওয়া যায় আর না সন্দেহ হয় কিন্তু যেহেতু শিশুরা সাবধানতা অবলম্বন করে না বলে মনে হয় যে, হয়তো তার হাতে নাজাসাত লেগেছিল, এমন অবস্থায় এ পানির হুকুম এই যে, তা পাক এবং তা দিয়ে অযু-গোসল দুরস্ত হবে।
৭. অমুসলমানদের পাত্রের পানি পাক। কেননা সাধারণত সকলেই নাজাসাত থেকে দূরে থাকতেচায়। তবে যুক্তি প্রমাণ দ্বারা তা নাপাক প্রমাণিত হলে তার দ্বারা গোসল দুরস্ত হবে না।
৮.পানির মধ্যে যদি পাক জিনিস পড়ে যায় এবং তার দ্বারা পানির রং অথবা গন্ধ অথবা স্বাদ বদলে যায়, শর্ত এই যে, ঐ জিনিস পানির মধ্যে দিয়ে জাল দেয়া হয়নি আর না তার দ্বারা পানি গাঢ় হয়েছে যেমন স্রোতের পানির সাথে বালু মিশানো রয়েছে। অথবা জাফরান পড়ে পানিতে তার কিছুটা রং এসে গেল, অথবা সাবান প্রভৃতি গলে গেল অথবা এ ধরনের আর কোন পাক জিনিস পড়ে গেল, এ সকল অবস্থাতে পানি পাক থাকবে এবং তা দিয়ে অযু গোসল জায়েয।
৯. ঐসবকূপ, যার থেকে বিভিন্ন রকমের লোক পানি নেয় এবং তাদের হাত-পা, বালতি বদনা প্রভৃতি অপরিস্কার থাকে, ধূলাবালিতে ভর্তি থাকে তবুও ঐসব কূপের পানি পাক। অবশ্যি যারা পানি নেয় তাদের হাত-পা বা পাত্র নাপাক হওয়ার যদি কোন প্রমাণ পাওয়া যায় তা অন্য কথা।
১০. গাছের পাতা পড়ার কারণে পানির তিনটি গুণ অথবা কোন একটি বদলে গেলেও পানি পাক থাকে। তা দিয়ে অযু গোসল দুরস্ত।
১১. কাপড় অথবা শরীর পরিস্কার করার জন্যে অথবা পানি পরিস্কার করার জন্যে সাবান, কুলপাতা অথবা অন্য এমন কোন কিছু দিয়ে পানি জ্বাল দেয়া হলো এবং তাতে পানি গাঢ় না হয়ে তারলই থাকলো, তাহলে তা দিয়ে অযু গোসল সবই দুরস্ত হবে যদিও তার রং, গন্ধ এবং স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়।
১২. যে পানিতে পাক পাত্র, চাউল, তরিতরকারী প্রভৃতি ধোয়া হয় অথবা পাক কাপড়ে চুবড়ানো হয় এবং তাতে পানির একটি গুণই বদলে যায় অথবা কিছুই বদলায় না, এমন অবস্থায় সে পানি দিয়ে অযু গোসল দুরস্ত হবে।
১৩. শূকর এবং কুকুর ছাড়া অন্য কোন জীবিত পশুকে যে পানিতে গোসল করানো হয়, আর যদি পশুর গায়ে কোন নাপাকী লেগে না থাকে এবং তার মুখের লালা পানিতে না লাগে, তাহলে সে পানি পাক। এমনি কোন পানিতে শূকর এবং কুকুর ছাড়া কোন পশু নেমে পড়ে বা গোসল করে এবং শরীরে কোন নাপাকী না থাকে, তাহলে সে পানি পাক। শর্তএই যে, পশুর মুখ উপর দিকে থাকে এবং লালা না পড়ে। ঘোড়া এবং অন্য কোন পশু যার গোশত হালাল তার লালা পানিতে পড়লেও পানি পাক থাকবে। তা দিয়ে নিসন্দেহে অযু-গোসল করা যায়।
১৪. যদি পানিতে কিছু পরিমাণ দুধ পড়ে যায় এবং তাতে পানির রং কিছুটা পরিবর্তন হোক বা না হোক তা দিয়ে বিনা দ্বিধায় অযু-গোসল করা যাবে।
১৫. স্রোতের পানি নাপাক হওয়ার পর নাপাকীর প্রভাব যখনই নষ্ট হবে, তখন পুনরায় সে পানি পাক হবে। তা দিয়ে তাহারাত করা যাবে।
১৬. রক্ত চলাচল করে না এমন জীব মাছি, মশা, ভোমর প্রভৃতি পানিতে পড়ে মরে গেলে অথবা মরে পানিতে পড়লে সে পানি পাক থাকবে এবং তা দিয়ে অযু-গোসল করা যাবে।
১৭. পানির জীব যদি পানিতে মরে, যেমন মাছ, কাঁকড়া, কাছিম, ব্যাঙ প্রভৃতি তাহলে পানি পাক থাকবে। বিনা কেরাহাতে তা দিয়ে তাহারাত হাসিল করা যায়।
বিঃ দ্রঃ-স্থলের এবং পানির ব্যাঙ সম্পর্কে একই হুকুম। তবে স্থলের ব্যাঙের মধ্যে রক্ত হলে এবং তা পানিতে মরলে পানি নাপাক হবে।
এমন পানি যা দিয়ে তাহারাত দুরস্ত নয়
১. অল্প বদ্ধ পানিতে পেশাব, রক্ত অথবা মদের এক ফোঁটা পড়লে অথবা অন্য কোন নাজাসাত সামান্য পরিমাণে পড়লে অথবা রতি পরিমাণ পায়খানা পড়লে সমস্ত পানি নাপাক হয়ে যাবে। তাতে পানির রং, স্বাদ ও গন্ধ বদলাক না বদলাক তা দিয়ে তাহারাত দুরস্ত হবেনা।
২. রক্ত চলাচল করে এমন জীব যদি অল্প পানিতে পড়ে মরে অথবা মরে পড়ে তাহলে পানি নাপাক হবে এবং রক্ত চলাচল করে না এমন জীবের মধ্যে যে সব মানুষের রক্ত চুষে (যেমন জোঁক, বড়ো মাছি, বড়ো ছারপোকা) সেগুলো মরে গেলে তাতে পানি নাপাক হবে যে ব্যাঙের রক্ত হয় তা পানিতে মরলে পানি নাপাক হবে এবং তা দিয়ে তাহারাত দুরস্ত হবে না।
৩. পায়খানা এবং গোবরে যে পোকা হয় তা অল্প পানিতে মরলে পানি নাপাক হবে।
৪. কোন হাউজে অল্প পানিতে নাজাসাত ছিল। তারপর তাতে পানি ঢেলে দিয়ে অনেক বেশী করা হলো্ তথাপি সব পানি নাপাক হবে তাহারাত দুরস্ত হবে না।
৫. যে পানিতে অন্য কিছু মিশানো হয় অথবা পাকানো হয়, তারপর তাকে আর সাধারণ পানি বলা হয় না। (যেমন শরবত, শিরা, শুররা, ছাতু প্রভৃতি), তা দিয়ে অযু-গোসল দুরস্ত হবে না।
৬. যে সব প্রবহমান ও তরল বন্তুকে পানি বলা হয় না, তা দিয়ে অযু গোসল জায়েয নয় যেমন আখের রস, কেওড়া, গোলাব, সির্কা প্রভৃতি। এমনি ফলের আরক, ফলের পানি প্রভৃতি দিয়েও অযু-গোসল হবে না। যেমন লেব-কমলার রস বা আরক, তরমুজ ও নারিকেলের পানি ইত্যাদি।
৭. যদি পানিতে কোক পাক জিনিস দিয়ে জ্বাল দেয়া হয় এবং তাকে সাধারণত পানি বলা হলেও তা কিছুটা গাঢ় হয় তা দিয়েও অযু-গোসল করা যাবে না।
৮. পানিতে দুধ অথবা জাফরান পড়ার পর ভালোবাবে দুধ বা জাফরানের রং হয়ে গেল। তা দিয়ে অযু-গোসল হবে।
৯. এমন কোন জীব পানিতে মরলো অথবা মরে পানিতে পড়লো যা পানির জীব নয় কিন্তু পানিতে থাকে, যেমন হাঁস। তাহলে সে পানি দিয়ে অযু-গোসল হবে না।
১০. মায়ে মুস্তামাল (ব্যবহৃত পানি) যদিও পাক, অর্থাঃ তা গায়ে বা কাপড়ে লাগলে তা নাপাক হবে না, কিন্তু তা দিয়ে অযু-গোসল জায়েয নয়। এ জন্যে যে সে নিজে পাক হলেও অপরকে পাক করতে পারে না।
১১. পাক পানিতে ব্যবহৃত পানি মিশে গেল এবং ব্যবহৃত পানির পরিমাণ বেশী হলো, তখন সমস্ত পানিই ব্যবহৃত পানিতে গণ্য হবে এবং তা দিয়ে অযু-গোসল হবে না।
এমন পানি যা দিয়ে তাহারাত মাকরুহ
১. রোদে যে পানি গরম হয়, তা দিয়ে অযু-গোসল মাকরুহ হয়। এর থেকে শরীরে কুষ্ঠের সাদা দাগ হতে পারে।
২. অল্প পানিতে মানুষের থুথু, কাশি পড়লে তা দিয়ে অযু-গোসল মাকরুহ হবে।
৩. কোন অমুসলিম (যার পাক নাপাকের অনুভূতি নেই) যদি পাক পানিতে হাত দেয় কিন্তু হাতে নাপাকী সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না, শুধু সন্দেহ হয় যে, যেহেতু সাধারণত অমুসলিম পাক নাপাকির অনুভূতি রাখে না, সে জন্যে হয়ত তার হাত নাপাক ছিল, এমন অবস্থায় সে পানি দিয়ে অযু-গোসল করা মাকরুহ হবে।
৪. অযু নেই এমন ব্যক্তির যমযমের পানিতে অযু না করা উচিত এবং এমন ব্যক্তির সে পানিতে গোসল করা উচিত নয় যার গেসাল করা ফরয। এ পানি দিয়ে নাপাক ধোয়া এবং এস্তেঞ্জা করা মাকরুহ।
৫. যে স্থানে কোন জাতির উপর আল্লাহর আযাব নাযিল হয়েছে, সে স্থানের পানিতে অযু-গোসল করা মাকরুহ।
৬. বিড়াল, ইঁদুর এবং হারাম পাখীর ঝুটা পানিতে অযু-গোসল মাকরুহ।
৭. গাধা এবং খচ্চরের ঝুটা পানিতে পড়লে অযু-গোসল করা সন্দেহযুক্ত। কারণ পাক নাপাক কোনটাই নিশ্চিত করে বলা যায় না। সে জন্যে এ পানিতে অযু-গোসলের পর তায়াম্মুম করতে হবে।
ঝুটা পানি প্রভৃতির মাসয়ালা
১. মানুষের ঝুটা পাক। মুসলমান হোক কিংবা অমুসলমান, দ্বীনদার হোক অথবা বদকার নারী হোক অথবা পুরুষ, জানাবাত অবস্থায় হোক কিংবা হায়েয নেফাস অবস্থায় হোক, সকল অবস্থায় তাদের ঝুটা পাক। অবশ্যি শারাব এবং অন্য কোন নাপাক জিনিস খাওয়ার পর পরই পানি ঝুটা করলে তা নাপাক হবে।
২. হালাল প্রাণীর ঝুটা পাক, পাখী হোক অথবা তৃণভোজী পশু হোক। যেমন গরু, মহিষ, ছাগল, হরিণ, ঘুঘু, কবুতর ইত্যাদি। ঘোড়ার ঝুটাও পাক।
৩. রক্ত চলাচল করে না এমন প্রাণীর ঝুটাও পাক তা হারাম হোক বা হালাল হোক। পানির জীবের ঝুটাও পাক, তা হালাল হোক বা হারাম হোক। তবে নাজাসাত খাওয়ার পর পরই পানি ঝুটা করলে তা নাপাক হবে। তার দ্বারা তাহারাত জায়েয হবে না।
৪. হারাম প্রাণী যা সাধারণত ঘরে বাস করে যেমন ইঁদুর, বিড়াল এবং ঐসব পাখী যা হারাম অথবা ঐসব ছোট্ট প্রাণী যা ছুটাছুটি করে এবং ইচ্ছা করে খায়, যেমন মুরগী, হাঁস প্রভৃতি তাদের ঝুটা মাকরুহ। মুরগী বাঁধা থাকলে তার ঝুটা পাক। বিড়াল ইঁদুর খাওয়ার পর পরই পানি ঝুটা করলে তা নাপাক হবে।
৫. শূকর, কুকুর এবং সকল প্রকার হিংস্র জীবের ঝুটা নাপাক। যেমন বাঘ, ভালুক, বাঁদর, শকুন প্রতিটির ঝুচা নাপাক।
৬. বনে বাসকারী হারাম পশু, যেমন হাতী, গণ্ডার প্রভৃতির ঝুটাও নাপাক।
৭. দুধ, দৈ, ছালন প্রভৃতিতে বিড়াল মুখ দিলে তা খাওয়া জায়েয।
৮. গাধা ও খচ্চরের ঝুটা সন্দেহযুক্ত। তার দ্বারা অযু গোসলও সন্দেহযুক্ত হবে। এমন পানিতে অযু করার পর তায়াম্মুম করতে হবে।
৯. শিকারী পাখীর ঝটা মাকরুহ। যেমন শ্যেন, বাজপাখী ইত্যাদি।
১০. ইঁদুর রুটি, বিস্কুট খানিকটা কেটে ফেলেছে। ঐ অংশটুকু কেটে ফেলে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
১১. যেমব জীবের ঝুটা নাপাক তাদের ঘামও নাপাক। যাদের ঝুটা মাকরুহ তাদের ঘামও মাকরুহ।
১২. পর পুরুষের ঝুটা খানাপিনা নারীদের জন্যে মাকরুহ।