নাজাসাতে হুকমী
নাজাসাতে হুকমী নাপাকীর এমন এক অবস্থা যা দেখা যায় না। শরীয়তের মাধ্যমে তা জানা যায়। যেমন অজুহীন হওয়া, গোসলের প্রয়োজন হওয়া। নাজাসাতে হুকমীকে হাদাসও বলে।
নাজাসাতে হুকমীর প্রকার ভেদ
নাজাসাতে হুকমী বা হাদাস দু’প্রকারঃ হাদাসে আসগার এবং হাদাসে আকবার।
হাদাসে আসগার
পেশাব পায়খান করলে, পায়খানার দ্বার দিয়ে বায়ু নির্গত হলে, শরীরের কোন অংশ থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হলে, মুখ ভরে মবি হলে, ইস্তেহাযার রক্ত বের হলে, ঠেস দিয়ে ঘুমালে যে নাপাকীর অবস্থা হয় তাকে হাদাসে আসগার বলে। এর থেকে পাক হতে হলে অযু করতে হবে। পানি পাওয়া না গেলে অথবা পানি ব্যবহার ক্ষতিকারক হলে তায়াম্মুম দ্বারাও পাক হওয়া যায়। হাদাসে আসগার অবস্থায় নামায পড়া যাবে না, কুরআন পাক স্পর্শ করা যাবে না। কিন্তু যাদের হাতে সর্বদা কুরআন থাকে এবং বার বার অযু করা মশকিল অথবা কুরআন পাঠকারী যদি শিশু হয় তাহলে অযু ছাড়া চলতে পারে। বিনা অযুতে অর্থাৎ হাদাসে আসগার অবস্থায় মৌখিক কুরআন পাঠ করা যায়।
হাদাসে আকবার
স্ত্রীলোকের সাথে সহবাস করার পার অথবা যে কোনভাবে কামভাবসহ বীর্য নির্গত হলে, অথবা স্বপ্নে বীর্যপাত হলে এবং হায়েয ও নেফাসের রক্ত বের হলে যে নাপাকীর অবস্থা হয় তাকে বলে হাদাসে আকবার। হাদাসে আকবার থেকে পাক হতে হলে গোসল করতে হবে। গোসল করা সম্ভব না হলে তায়াম্মুম দ্বারাও পাক হওয়া যায়। হাদাসে আকবারের অবস্থায় নামায পড়া যাবে না, কুরআন পাক স্পর্শ করা যাবে না, মৌখিক কুরআন তেলাওয়াতও করা যাবে না এবং মসজিদে প্রবেশ করাও যাবে না। কিন্তু অত্যাবশ্যাক কারণে মসজিদে যাওয়া যাবে। যেমন গোসলখানার রাস্তা মসজিদের ভেতর দিয়ে, পানির পাত্রের জন্যে মসজিদে যাওয়ার অনুমতি শরীয়ত দান করে।