নামাযের মাকরুহ সময়
এ সময় তিন প্রকারের। এক- যে সময় প্রত্যেক নামায নিষিদ্ধ। দুই- যে সময়ে প্রত্যেক নামায মাকরুহ। তিন- যে সময়ে শুধু নফল নামায মাকরুহ।
যে যে সময়ে প্রত্যেক নামায নিষিদ্ধ
১. সূর্য যখন উঠতে থাকে এবং যতোক্ষণ না তার হলুদ রং ভালোভাবে চলে যায় এবং আলো ভালোভাবে ছড়িয়ে না পড়ে।
২. ঠিক দ্বিপ্রহরের সময়-যতোক্ষণ বেলা গড়ে না যায়।ভ
৩. সূর্য লালবর্ণ ধারণ করার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে যদি কোন কারণে ঐ দিনের আসর নামায পড়া হয়ে না থাকে, তাহলে পড়তে হবে, কাযা করা চলবে না।
উপরোক্ত তিন সময়ে প্রত্যেক নামায নিষিদ্ধ তা সে ফরয হোক সুন্নাত কিংবা নফল, ওয়াজেব হোক বা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। এ সময়ে শুকরিয়া সিজদা এবং সিজদা তেলাওয়াতও নিষিদ্ধ। প্রথম থেকে নামায শুরু করার পর যদি এ মাকরুহ সময় এসে পড়ে তাহলে নামায বাতিল হয়ে যাবে। তবে জানাযা এলে তা বিলম্ব না করে পড়ে নিতে হবে।
যে যে সময়ে নামায পড়া মাকরুহ
১. যখন পেশাব পায়খানার চাপ পড়ে অথবা বায়ু নিঃসরণের প্রয়োজন হয়।
২. ভয়ানক ক্ষুধা লেগেছে এবং খানা সামনে হাযির। যদি মনে হয় যে, খানা না খেলে নামাযে মন বসবে না। এ অবস্থায় নামায পড়লে হয়ে যাবে কিন্তু মাকরুহ হবে। এ সব প্রয়োজন সেরে নামায পড়া উচিত, যাতে করে নিবিষ্ট মনে নামায পড়া যায়।
যে যে সময় শুধু নফল নামায মাকরুহ
১. যখন ইমাম খুতবা দেয়ার জন্যে নিজের জায়গা থেকে উঠবেন। তা জুমার খুতবা হোক, ঈদের হোক, বিয়ের হোক বা হজ্জের হোক।
২. ফজরের নামাযের পর সূর্য উদয় এবং তাঁর আলো ছড়িয়ে পড়া পর্যন্ত সময়ে।
৩. আসরের নামযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
৪. ফজরের সময় ফজরের সুন্নাত ব্যতীত অন্য কোন নফল নামায।
৫. ফরয নামাযর সময় তাকবীর বলা হয়।
৬. ঈদের নামযের আগে ঘরে হোক বা মাঠে।
৭. ঈদের নামাযের পর ইদগাহে নফল নামায।
৮. আরাফাতে যোহর আসরের মাঝে এবং আসরের পরে।
৯. মুযদালফায় মাগরেবে এশার মাঝে এবং পরে।
১০. মাগরেবের সয় মাগরেবের নামাযের প্রথমে।
এশার নামায বেশী বিলম্বে পড়া এবং অর্ধেক রাতের পরে পড়াও মাকরুহ। মাগরেবে নামায বিলম্বে পড়া যখন তারকা পুঞ্জ ভালোভাবে বের হয়ে আসে।