বেতর নামায পড়ার নিয়ম
এশার নামাযের পর যে নামায পড়া হয় তাকে বেতর বলে। তাকে বেতর বলার কারণ এই যে, তার রাকয়াতগুলো বেজোড়। বেতর নামায ওয়াযেব। নবী (স) তার জন্যে বিশেষ তাকীদ করেছেন। তিনি বলেন-
যে ব্যক্তি বেতর পড়বে না আমাদের জামায়াতের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। [আবু দাওদ, হাকেম। এ তাকীদের কারণে ইমাম আবু হানীফা (র) একে ওয়াজেব বলেন। অবশ্য আহলে হাদীস, ইমাম শাফেয়ী এবং কাযী আবু ইউসুফের মতে বেতর নামায সুন্নাত।] বেতরের নামায মাগরেবের মত তিন রাকায়াত। ২ ইমাম শাফেয়ী এবং আহলে হাদীস এক রাকায়াত পড়ার পক্ষে। আহলে হাদীসের নিকটে তিন, পাঁচ, সাত এবং নয় রাকয়াত পর্যন্ত পড়াও জায়েয। এ জন্যে যে, হাদীস থেকে তা প্রমাণিত আছে। পড়ার নিয়ম এই যে, যদি কেউ তিন বা পাঁচ রাকায়াত এক সালামে পড়তে চায় তাহলে মাঝখানে তাশহুদের জন্যে না বসে শেষ রাকয়াতে বসে তাশাহ্হুদ দরুদ পড়ে সালাম ফেরাবে। সাত অথবা নয় রাকয়াত এক সালামে পড়তে হলে শেষ রাকয়াতের আগে বসবে এবং শুধু ‘আত্তাহিয়্যাতৎ পড়ে দাঁড়াবে। তারপর এক রাকায়াত পড়ে আত্তাহিয়াত, দুরুদ ও দোয়া পড়ে সালাম ফেরাবে। -[নামাযে মুহাম্মদী মাওলানা মুহাম্মদ জুনাগড়ী (র)।] অধিকাংশ সাহাবী ফকীহ তিন রাকয়াত পড়তেন।
বেতর নামায পড়ার নিয়ম এই যে, ফরয নামাযের মতো দু’রাকায়া নামায পড়ুন। তারপর তৃতীয় রাকয়াতে সূরা ফাতেহার পর কোন ছোটো সূরা অথবা কয়ে আয়াত পড়ুন। তারপর তাকবর বলে দু’হাত কান পর্যন্ত এমনভাবে উঠান যেমন তাকবীর তাহরীমায় উঠান। তারপর হাত বেঁধে আস্তে আস্তে দোয়া কুনুত পড়ুন। [আহলে হাদীসের মতে রুকুর পর হাত বাঁধার পরিবর্তে আসমানের দিকে দু’হাত তুলে দোয়া কুনুত পড়তে হবে।
(****) অর্থ : হে আল্লাহ আমাকে মাফ কর। (*****) অর্থ পবিত্র ও মহান প্রকৃত বাদশাহ সকল ত্রুটি বিচ্যুতির উর্ধে। (****) অর্থ: প্রভু ফেরেশতাদের এবং জিবরাইল আমীনের (আবুদ দাউদ, নাসায়ী)