কুরআন ব্যাখ্যার মূলনীতি
শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী
আল-ফাউযুল কবীর ফী উসুলিত তাফসীর
(বাংলা)
অনুবাদক
অধ্যাপক আখতার ফারুক
সম্পাদনা
মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল
প্রকাশকের কথা
শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ) এর খ্যাতনামা গ্রন্থ “আল ফাউযুল কবীর ফী উসুলিত তাফসীর নতুন করে কোন পরিচয়ের অপেক্ষা রাখে না। জনাব অধ্যাপক আখতার ফারুক উক্ত কিতাবের অনুবাদ করে নাম দিয়েছেন “কুরআন ব্যাখ্যার মূলনীতি”।
অনেক পূর্বেই এর পহেলা সংস্করণ নীঃশেষিত হয়। বইটির গুরুত্ব ও প্রয়জনীয়তা উপলব্ধি করেই কুতুব খানায়ে রশিদিয়া, ঢাকা। পূণ্রমূদ্রণে হাত দেয় এবং ১৯৯৩ সনে প্রথম প্রকাশ করে।
বর্তমানে বই খানার কপি শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ভাবে প্রকাশের প্রযোজন দেখা দেয়। তাই নতুন ভাবে কম্পোজ করে প্রুব দেখতে গিয়ে অনুবাদকের মধ্যে বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। আমাদের পিতা হযরত মাওঃ মুহাম্মদ সাহেব, সাবেক মুহাদ্দিস, মাদরাসায়ে নুরিয়া, ঢাকা। মূল কিতাব সামনে রেখে ভুল-ত্রুটি গুলি সংশোধন করেন এবং বেশ কিছু স্থানে শিরনাম, হাওলা সহ কিছু বিষয় সংযোজন করেন। যার কারণে বর্তমান সংস্করণটি পূর্বের তুলানায় সুন্দর ও সমৃদ্ধ হয়েছে। গবেষণে মূলক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাবলী প্রকাশের যে দায়িত্ব কুতুব খানায়ে রশিদিয়া কাঁধে নিয়েছে এ বইটি প্রকাশের মাধ্যমে তার কিছুটা পালিত হল বলে মনে করি।
আশা করি মহা সাধকের এই অমর গ্রন্থের অনুবাদও তার মূল গ্রন্থের ন্যায় উপকারী ও জনপ্রিয়তা হাসিল করতে সক্ষম হবে। আল্লাহ পাক দয়ে করে এই কিতাবের লেখক, অনুবাদক, সম্পাদক ও প্রকাশকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসকে নাজাতের অসিলা করে দিন। আমীন!
বিনীত
নোমান ও ইমরান
১২/১২/১৪২৪হিঃ
৩/২/০৪সন
অনুবাদকের বক্তব্য
অনুবাদকের অনুবাদকার্য সংক্রান্ত কিছু কথা থেকে যায়। এখানে আমি সেটাই ব্যক্ত করতে চাচ্ছি মাত্র।
এ দেশের শিক্ষিত সমাজে হযরত শাহ অয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রঃ) পরিচয়ের অপেক্ষা রাখেন না আদৌ। তেমনি রাখে না তাঁর বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ ‘আল ফাওযুল কবীর ফী উসুলিত তাফসীর’। আরবী, ফারিসী ও উর্দু এই তিন ভাষাতেই এ গ্রন্থ গোটা মুসলিম জাহানে ছড়িয়ে আছে। প্রায় সব দেশেরই ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরের ক্লাশসমূহে এ গ্রন্থ পাঠ্য হয়ে চলেছে বহু দিন থেকে। আমি তার বাংলা অনুবাদ করে নাম দিলাম ‘কুরআন ব্যাখ্যার মূলনীতি’।
এ গ্রন্থ কূপে সমুদ্রে এসে ঠাঁই নিয়েছে। তাই তার মন্থন করে তলদেশ থেকে মনিমুক্তা আহরণ করে সবাইকে উপহার দেয়া যেন তেন ডুবুরির কাজ নয়। সেক্ষেত্রে আমার মত নগণ্য ডুবুরী যদি কিছুমাত্র সফলতাও অর্জন করে থাকে, তা নেহাত আল্লাহর অনুগ্রহ ও মুল গ্রন্থাকারের আমর প্রেরণা শক্তির ফল শ্রুতি বৈ আর কিছুই নয়।
তাই এ অনুবাদক তার অনুবাদ কার্যের জন্যে কোনই কৃতিত্বের বাপ্রশংশার দাবী রাখে না। প্রশংসা ও কৃতিত্বের মালিক- মোখতার একমাত্র বিশ্ব প্রতিপালক। অনুবাদক বরং তার দ্বারা বাংলা ভাষায় এ বিরাট খেদমতটি প্রথম সম্পাদনের সুযোগ দানের জন্যে আল্লাহর দরবারে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
এ কার্যটি দ্বারা বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের কাহারও যদি কুরআন বুঝার কিছুমাত্র সুযোগ-সুবিধা ঘটে, তা হলেই শ্রম সার্থক মনে করব। মহান আল্লাহ আমার এ শ্রমটি তাঁর দরবারে সেবা হিসেবে প্রহণ করলে জীবন সার্থক ভাববো।
আরজ গুজার
আখতার ফারুক
লেখকের সংক্ষিপ্ত জীবনী
লেখকের আসল নাম ওয়ালিউল্লাহ, উপাধি কুতুবুদ্দীন ও হুজাতুল ইসলাম। তার ডাক নাম শাহ অয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দাসে দেহলভী, এই নামেই বিশ্বে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। তার পিতার নাম শাহ আব্দুর রহীম। বংশ পরিচয় পিতার দিকদিয়া হযরত ওমরে ফারুখ (রাঃ), মাতার দিকদিয়া মুসা কাজিম (রাঃ) পর্যন্ত পৌঁছে। জন্ম ১৭০৪ খৃষ্টাব্দে মুতাবিক ১১১৪ হিজরী সনের ১৪ই শাহওয়াল বুধবার দিল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন। ১১৭৬ হিজরী সনের ২৯শে মুহাররম মাসে ১৭৬৩ খৃষ্টাব্দে যোহরের সময় দিল্লীতে ইনতেকাল করেন।
পাঁচ বছর বয়সেই কুরআন শিক্ষার জন্য তাকে মকতবে ভর্তি করা হয়। সাত বৎসর বয়সে তিনি কুরআনের হাফেজ হন। হেফজ শেষ করার সাথে সাথে সাত বছর বয়স থেকে ফার্সি পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। দশ বছর বয়সে শরহে মুল্লাজামী আয়ত্ত করেন।
মাত্র তিন বছর বয়সে তিনি নাহু ছরফে এমন দক্ষতা অর্জন করেন যে, উক্ত বিষয়ের বিশেষজ্ঞগন পর্যন্ত তার সামনে এসে মাথা নত করতে বাধ্য হতেন। লোগাত, বালাগাত, ফেকাহ, হাদীস, তফসীর, তাসাওফ, আকায়েদ, মান্তেক, চিকিৎসা শাস্ত্র, দর্শন, অংক, জ্যোতি বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ক কিতাব তার পিতা শাহ আঃ রহীম সাহেব (রঃ) এর নিকট পড়েন। মাত্র পনের বছর বছর বয়সে এই সমস্ত বিষয়ের উপর তিনি পান্ডিত্য অর্জন করেন। পুঁথিগত সকল বিদ্যা সমাপ্ত্য করে তিনি তার পিতার হাতে আধ্যাত্মিক জ্ঞানার্জনের জন্য বাইয়াত হন। তিনি আধ্যাত্ম চর্চার ক্ষেত্রে এরূপ অর্জন করেন যে অল্প সময়ের ভিতর তিনি এই জগতেও যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেন। আধ্যাত্মিক তালীম শেষ হলে তার পিতা তার মাথায় দস্তারে ফজিলত বেধে দেন। এবং তাকে সুলুকের তালীমদানের অনুমতি প্রদান করেন।
শাহ সাহেবকে তার পিতা চৌদ্দ বছর বয়সে সুন্নাতে শা’দীর কাজ সম্পন্ন করান।
শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রঃ) ছিলেন ভারত বর্ষের জ্ঞানের জগতের শ্রেষ্ঠ নক্ষত্র। শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন জ্ঞান পিপাষুদের তৃষ্ণা নিবারনের হাউজে কাউসার। আল্লাহ তায়ালা পাকভারত উপ মহাদেশে হাদিস ও সুন্নাতে রাসুল এর প্রভার, প্রসার, ও উন্নতী শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রঃ) ও তার সন্তান-সন্ততী শিষ্য, সাগরেদদের দ্বারা ঘটিয়েছেন। ভারতবর্ষে হাদিসের সনদ শাহ সাহেবের উপর নির্ভরশীল। এ উপমহাদেশে শাহ সাহেবের অবস্থান জান্নাতের তুবা বৃক্ষের ন্যায়, যার মূল শাহ সাহেবের বাড়িতে আর শাখা প্রশাখা প্রতি মুসলিমের ঘরে ঘরে।
জ্ঞানের প্রতি শাখায় রয়েছে তার লিখনী, বিষেশ করে হাদীস তফসীর উভয় শাস্ত্রের মূলনীতির উপরে তার লিখনীই যুগ শ্রেষ্ঠ।
১। ফার্সি ভাষায় তার কোরআন তরজুমা, আরবী কাব্যের সাদৃশে। (২) আল ফাউযুল কবীর ফি উসুলিত তফসীর। (৩) আল ইরশাদ ইলা মুহিম্মাতি ইলমিল ইসনাদ। (৪) হুজুতুল্লাহিল বালিগা। (৫) ইকদুল যীদ ফী আহকামিল এজতিহাদি আততাকলিদ (৬) আল আনছাফ ফি বয়ানি সাবিলিল ইখতিলাফ (৭) ইযালাতুল খিফা আন খিলাফাতিল খুলাফা (৮) আত তাফহিমাতুল ইলাহিয়্যা (৯) আল মুসাফফা শরহে মুয়াত্ত্বা (ফার্সি) (১০) আল মিসাওয়া শরহে মুয়াত্ত্বা (আরবী) এছাড়াও চল্লিশের উপরে রয়েছে শাহ সাহেবের লিখনী কিতাব।
ভুমিকা
এ অক্ষম বান্দার ওপরে আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপা ও অনুকম্পা রয়েছে। তার ভেতরে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল মহাগ্রন্থ কুরআন বুঝবার ক্ষমতা দান। আল্লাহর রাসুলের ও অশেষ ঋন রয়েছে এ নগন্যের উপরে। তার ভেতরে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, পবিত্র কুরআন প্রচারের ব্যাবস্থা। রাসুলুল্লাহ (সঃ) স্বয়ং প্রাথমিক যুগের মুসলিমদের কুরআন শিখিয়েছেন। তাঁরা পরবর্তী যুগের লোকের কাছে তা পৌঁছিয়ে গেলেন। এভাবেই কুরআন প্রচারের ধারা অব্যাহত থাকে। এমনকি মৌখিক বর্ণনা ছাড়া লেখনীর ধারা বয়েও তা এ দীন বান্দা পর্যন্ত পৌছে গিয়েছে।
(আরবী********)
“হে আল্লাহ! তোমার সেরা অনুগ্রহ ও কল্যানের প্রতিভু এবং আমাদের শাফায়াতকারী ও নেতা মহানবীর উপরে অনুগ্রহ বর্ষন কর। তেমনি তাঁর ছাহাবা, বংশধর ও উম্মতের সব আলেমদের ওপরে অনুগ্রহ বর্ষন কর। হে শ্রেষ্ঠতম দয়ালু। তোমার অসীম দয়ায় তা কর।
আল্লাহর হামদ ও রাসুলের ওপর দুরদ পাঠের পরে অবদুর রহীম তনয় দীন ওয়ালিউল্লাহর বক্তব্য এইঃ আল্লাহ তায়ালা যখন তাঁর পাক কালাম বুঝার দ্বারা আমার জন্যে মুক্ত করেছেন, তখন আমি এমন কয়েকটি জরুরী নিয়ম নীতি সম্বলিত একখানা বই লেখার সংকল্প নিলাম যেন আল্লাহর কৃপায় সেই কয়েকটি জরুরী নিয়ম নীতি সম্বলিত একখানা বই লেখার সংকল্প নিলাম যেন আল্লাহর কীইপায় সেই কয়েকটি মাত্র নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেই কুরআন বুঝতে ইচ্ছুকদের পথ সুগম হয়ে যায়। যদিও অনেকে কুরআন অধ্যয়নে জীবনপাত করেছে, এমনকি বিজ্ঞ ব্যাখ্যাকারকদেরও অনেকে সাহায্য নিয়েছে, তথাপি তাদের খুব কম লোকেরই এসব নিয়ম নীতি জানা থাকার কথা।
আমি এ পুস্তকটীর নাম দিলাম, ‘আল-ফাউযুল কবীর ফী উসুলিত তাফসীর’ (কুরআন ব্যাখ্যার মুলনীতিতে বিরাট সাফল্য)।
সব ব্যাপারেই আমরা আল্লাহর কাছ থেকে শক্তি পায়া থাকি। তাই তাঁর ওপরেই আমি নির্ভর করছি। তিনিই আমা উত্তম অভিভাবক এবং তিনিই আমার জন্যে যথেষ্ট।
(আরবী********)ঃ তাফসীর এর আবিধানিক অর্থ আলোকিত করা ও ব্যাখ্যা করা। পরিভাষায় “তফসির” ঐ জ্ঞান এর নাম যাহাতে কুরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্য বিকাশ নিয়ে আলোচনা করা হয়। মানুষের সাধ্য-সামর্থ অনুপাতে।
(আরবী********)ঃ ‘কালামুল্লাহ’ আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্য ও বুঝান হিসাবে।
(আরবী********)ঃ আল্লাহ প্রদত্ত্ব দিশা অনুযায়ী চলা, মজবুত রশী দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরা এবং চরম ও চিরস্থারী সফলতা অর্জন করা।
(আরবী********)
(১) আল্লাহ তায়ালা নিজ কালাম। কুরআন শরীফের ব্যাখ্যার দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন। (আরবী********) (সুরা ক্কিয়ামাহ ১৯) এই আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা নিজ কালামের প্রথম মুফাসসির, আর এটুকুই তফসিরের মরযাদার জন্য যথেষ্ট।
(২) কুরয়ানের তাফসির (ব্যাখ্যা প্রদান) হুজুর সালল্লাহু আলাইহি অসালল্লামের অজিফা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
(আরবী********) (সুরা নাহাল ৪৪) হুজুর (সাঃ) নিজের কথা ও কর্মের দ্বারা উম্মতের সামনে কুরআনে পাকের তফসির পেশ করেছেন। সেই হিসাবে নবী (সাঃ) কুরআনে পাকের দ্বিতীয় মুফাসির এটাও তফসীরের মঈযাদার জন্য যথেষ্ট।
(৩) হুযুর পুর নুর (সাঃ) নিজ চাচাত ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস এর জন্য দুয়া করেছেন (আরবী********) (বুখারী শরীফ) অন্য হাদিসে বর্ণিত রয়েছে (আরবী********) (হাকিম)। আর শ্রেষ্ঠি সাহাবী ফকীহে উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর শ্রেষ্ঠ মুফাসির হওয়ার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। (আরবী********) (হাকিম)। ইহাও তফসির শ্রেষ্ঠ বিষয় হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
(৪) কুরআন শিক্ষা গ্রহণকারী ও প্রদানকারী কে হাদীসে সর্বোত্ত্বম ব্যক্তি বলা হয়েছে। (আরবী********) এই হাদিসের ব্যাপকতার মধ্যে শব্দ ও অর্থ উভয়টা অন্তর্ভুক্ত। তফসীর শ্রেষ্ঠ বিষয় হওয়ার জন্য এ হাদিসই যথেষ্ট।
আহকাম
শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী
পুস্তকটির বিষয়বস্তু পাঁচটি অধ্যায়ে সীমাবদ্ধ। প্রথম অধ্যায়ঃ পঞ্চ ইলমের বর্ণনা। ১। ইলমুল আহকাম। ২। ইলমুল জদল। ৩। ইলমুল তাযকির বি-আলা-ইল্লাহ। ৪। ইলমুল তাযকির বি-আইয়্যমিল্লাহ। ৫। ইলমুল তাযকীর বিল-মাউত। আর কুরআন অবতীর্ণ ও হয়েছে এই পঞ্চ ইলমের বর্ণনার জন্য। দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ কুরয়ানের আয়াতের দুর্বোধ্যতার কারণসমুহ ও তার সমাধানের বর্ণনা। তৃতীয় অধ্যায়ঃ কুরয়ানের চমকপ্রদ অ আশ্চার্য বর্ণনা রীতি। চথুর্থ অধ্যায়ঃ তফসীরের পদ্ধতির বর্নণা এবং সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেঈনদের মধ্যে তফসীর নিয়ে বিরোধের মীমাংসা। পঞ্চম অধ্যায়ঃ কুরআনের দুর্বোদ্ধ স্থান সমূহের ব্যাখ্যাদান, শানে নুযূল ইত্যাদির সমাধান দানে তফসীরকারকদের জন্য যে পরিমান জ্ঞান অত্যাবশ্যক তার বর্ণনা।