প্রথম পরিচ্ছেদঃ উত্তম ব্যাখ্যা-রীতি
কুরআন মজীদের দুর্বোধ্য স্থানগুলোর উত্তম ব্যাখ্যা-রীতি হচ্ছে আদি ব্যাখ্যাকার হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে উদ্ধৃত ইবনে আবি তালহা (রাঃ)-এর বর্ণনা। ইমাম বুখারী (রাঃ) তাঁর বিখ্যাত বুখারী শরীফে প্রায়ই সেই রীতি অনুসরণ করেছেন।
উত্তম ব্যাখ্যার দ্বিতীয় রীতিটি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে জহ্হাক নকল করেছেন।
তৃতীয় নিয়মটি হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) নাফে ইবনে আযরকের প্রশ্নাবলীর জবাবে বর্ণনা করেছেন। এ তিন ধরনের ব্যাখ্যাই আল্লামা সুয়ূতী তাঁর মশহূর গ্রন্থ ‘ইতকানে’ উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া কুরআনে দুর্বোধ্য স্থানগুলোর আরেকটি ব্যাখ্যা আল্লামা বুখারী (রাঃ) ব্যাখ্যাদাতা ইমামদের থেকে নকল করেছেন। আরেকটি ব্যাখ্যা সাহাবা তাবেঈন ও তাবে-তাবেঈন ব্যাখ্যাকারদের থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
আমার মনে হয়, এ পুস্তকের পঞ্চম ও শেষ অধ্যায়ে এ ধরনের ব্যাখ্যাগুলো যদি সে সব আয়াতের শানে নুযুলসহ৮ একত্র করি, তা হলে ঠিক হবে। সে অধ্যায়টিকে স্বতন্ত্র একটি পুস্তক হিসেবে রচনা করলে যার ইচ্ছে হয়, সেটাকে এর অন্তর্ভুক্ত করেই দেখে নিতে পারে। আর যদি কেউ সেটাকে আলাদাভাবে করতে চায় তাও পারবে। সবাই নিজ নিজ রুচিমত কাজ করতে ভালবাসে।
এখানে আরেকটি কথা বুঝে নেয়া দরকার, নিকটতম অর্থে গবেষণা চালিয়ে ও শব্দাবলীর বিভিন্নরূপ ব্যবহার সামনে রেখে বিষয়টিকে আরও ব্যাপকতা ও উন্নয়ন দান করেছেন। এ পুস্তকে কেবল আগেকার তাফসীরগুলোর সমাবেশ ঘটানোই উদ্দেশ্য। তার উপরে টীকা-টিপ্পনী লেখার সঠিক স্থান এটি নয়। প্রত্যেক কথা যথাস্থানেই খাটে।