অতিথির অধিকার
অতিথির সমাদর ঈমানের দাবী
(আরবী******)
১৭৮.রাসূলুল্লাহ(সা) বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে, সে যেন অতিথির সমাদর করে।
গৃহকর্তাকে বিব্রত করা অতিথির অনুচিত
(আরবী******)
১৭৯.রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান রাখে, সে যেন অতিথির সমাদর করে। প্রথম এক রাত ও একদিন অতিথিকে সর্বোত্তম আপ্যায়নের দিন। আতিথেয়তা তিন দিন পর্যন্ত । (অর্থাৎ দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বেশী কষ্ট করে আপ্যায়ন করা নৈতিকভাবে জরুরী নয়। ) এরপর সে যে কিছু করবে তা তার জন্য সদকায় পরিণত হবে। আর অতিথির জন্য গৃহকর্তার কাছে এত দীর্ঘ সময় অবস্থান করা বৈধ নয়, যাতে সে বিব্রত বোধ করে।
এ হাদিসটিতে অতিথি ও গৃহকর্তা উভয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গৃহকর্তাকে বলা হয়েছে, সে যেন অতিথির সমাদর করে। সমাদর করার অর্থ শুধু খাওয়ানো দাওয়ানো নয়। বরং হাসিমুখে কথা বলা ও হাসিখুশি ব্যবহার করা সবই। আর অতিথিকে বলা হয়েছে যে, কারও বাড়ীতে অতিথি হয়ে গেলে সেখানে এত দীর্ঘ দিন পড়ে থেক না যে গৃহকর্তা বিরক্ত ও অস্থির হয়ে পড়ে। মুসলিম শরীফের এক হাদীসে এ বিষয়টির উত্তম বিশ্লেষণ রয়েছে। রাসূল (সা) বলেছেনঃ কোন মুসলমানের জন্য তার ভাই এর নিকট এত দীর্ঘ সময় অবস্থান করা বৈধ নয়, যাতে সে বিব্রত বোধ করে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো হে আল্লাহর রাসূল! কিভাবে বিব্রত বোধ করবে? রাসূল (সা) বললেনঃ এত দীর্ঘ সময় অবস্থান করে যে এক সময় তার কাছে আতিথেয়তা করার জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।