রোগীর দেখাশুনা ও পরিচর্যা
রোগীর সেবা ও পরিচর্যার গুরুত্ব
(আরবী********)
২০৩. রাসূলুল্লাহ(সা) বলেছেন কেয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ওহে আদম সন্তান, আমি রোগাক্রান্ত ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে যাওনি। সে বলবে, হে আমার প্রভু, আপনি তো সারা বিশ্বের প্রতিপালক, আপনি কিভাবে রোগাক্রান্ত হলেন এবং আপনাকে কিভাবে দেখতে যাব? আল্লাহ বলবেন: তুমি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা রোগাক্রান্ত ছিল, কিন্তু তুমি তাকে দেখতে যাওনি। যদি তাকে দেকতে যেতে, তবে আমাকে তার কাছেই পেতে।
রোগীকে দেকতে যাওয়ার অর্থ শুধু তার কাছে চলে যাওয়া ও কেমন আছে জিজ্ঞেস করা নয়। বর রোগীর যথার্থ তদারকী এই যে, সে দরিদ্র হলে তার ওষুধ পথ্যের ব্যবস্থা করা দরকার। আর দরিদ্র না হলেও হতে পারে যে, তার সময়মত ওষুধ এনে দেয়া ও খাওয়ানোর লোক নেই। সে ক্ষেত্রে তার ওষুধ পথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহের ব্যবস্থা করাই হলো তার যথার্থ সেবা, পরিচর্যা তদারকী।
রোগীর খোঁজ খবর নেয়ার আদেশ
(আরবী****)
২০৪.রাসূলুল্লাহ(সা) বলেছেন তোমরা রোগীর খোঁজ খবর নাও, ক্ষুধার্তকে খানা খাওয়াও এবং বন্দীর মুক্তির ব্যবস্থা কর। (বোখারী)
রোগীকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়াও পরিচর্যার অংশ
(আরবী******)
২০৫.রাসূল (সা) এর একজন ইহুদী ভৃত্য ছিল, যে রাসূল এর সেবা করতো। সে রোগাক্রান্ত হলে রাসূল (সা) তাকে দেখতে গেলেন। তিনি তার মাথার কাছে বসলেন ও তাকে বললেন: তুমি ইসলাম গ্রহণ কর। ভৃত্যটির বাবা তার কাছেই ছিল। সে তার বাবার দিকে তাকালো। বাবা তাকে বললো তুমি আবুল কাসেমের (রসুলুল্লাহর) আদেশ মান্য কর। সে তৎক্ষণাৎ ইসলাম গ্রহণ করলো। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা) তার কাছ থেকে একথা বলতে বলতে বেরিয়ে এলেন যে, আল্লাহর শোকর, যিনি তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করলেন। (বোখারী)
রাসূল(সা) এর পবিত্র ও নিখুঁত স্বভাবচরিত্র সম্পর্কে শত্রু ও বন্ধু সবাই ওয়াকিবহাল ছিল। সকল ইহুদী রাসূল (সা) এর শত্রু ছিল না। এই ইহুদীর রাসূল(সা) এর সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাই সে নিজের ছেলেকে তাঁর ভৃত্য হিসাবে কাজ করতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।
রোগীর পরিচর্যার পদ্ধতি
(আরবী*****)
২০৬. ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেনঃ রোগীর পরিচর্যার ক্ষেত্রে বেশী শব্দ না করা ও অল্প সময় অবস্থান সুন্নাত। (মেশকাত)
এ আদেশ সর্ব সাধারণ রোগীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু রোগী যদি অন্তরঙ্গ বন্ধু বা প্রিয়জন হয় এবং তার কাছে বেশীক্ষণ অবস্থান করা রোগী পছন্দ করবে বলে বুঝা যায়, তাহলে বেশীক্ষণ অবস্থান করতে পারে।