ওমর তিলমেসানী ও ইখওয়ান
অনুবাদঃ এম. আমীর হোসাইন আল মাদানী
স্ক্যান কপি ডাউনলোড
বিষয়সূচী
গ্রন্থকার পরিচিতি
উপক্রমণিকা
প্রথম অধ্যায়
আমার পরিচয়
শহর থেকে গ্রাম
জাঁকজমকপূর্ণ অট্টালিকা
পিতামহের জায়গীরসমূহ ও তার শাহী মেজাজ
পূর্বপুরুষের দেশ আলজেরিয়া
মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহাবের সাথে সম্পর্ক
শিক্ষা জীবনের সূচনা
কল্পনার জগতে বিচরণ
সহজাত প্রবণতা
কব্য ও কবিত্ব এবং সাহিত্য ও সংগীত
দ্বীনী জ্ঞান চর্চার দিকে প্রত্যাবর্তন
আল্লাহর সন্তুষ্টি
সিনেমা দেখা
আদরের দুলাল
জাতীয় মর্যাদাবোধ
গ্রাম থেকে শহরে
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
বি. এ. ডিগ্রী লাভ
মুষ্টিযুদ্ধ
কঠোর তত্বাবধান
বিবাহ বন্ধন
আদর্শ জীবন সংগিনী
সতী সাধ্বী স্ত্রী ও আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন স্বামী
যুবক যুবতীদের প্রতি উপদেশ
আইনের পরীক্ষায় অকৃতকার্যতা
আদর্শ শিক্ষকমণ্ডলী
মহিলাদের ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভংগী
ভুল বুঝাবুঝির অবসান
প্রাচীন প্রতিনিধিত্ব
ইনসাফের দাবী
আইন ব্যবসা শুরু
সততা ও দ্বীনদারী
নির্বাচনে অংশগ্রহণ
আত্মপ্রচার বিমুখতা
দ্বিতীয় অধ্যায়
ইবরাহীম আবদুল হাদীর নির্যাতন
বর্বরতা ও পাশবিকতার প্রতীক নাসের
শিক্ষালাভের জন্য দর্শন
পিস্তলের নল
উজীর আযমের প্রতিক্রিয়া
ইমাম হাসানুল বান্নার শাহাদাত
বায়ুমান যন্ত্র মোরগ
এই মহত্ব নীচতা
ফেরেশতা থেকে শয়তান
বিপ্লবের প্রাথমিক গতি-প্রকৃতি
রাজনৈতিক উপলব্ধি
সংবাদপত্র পাঠ
আলো ছায়া
জনসাধারণের রেফারেন্ডাম
আইন কলেজের শিক্ষা সমাপণী
যৌবন কাল ও দুরন্তপনা
আইন কলেজের মর্যাদা
সাহিত্য রসিকতা
অবসর গ্রহণ ও অধ্যয়ন
দ্বীনি বই-পুস্তকের প্রতি অনুরাগ
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সুরুচি
চুপ থাকাই কল্যাণকর
হালাল রিযিক
সরকারী গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রলোভন
ওকালতির পেশা একটি প্রশস্ত ময়দান
দ্বীনের দাবী
তৃতীয় অধ্যায়
নির্বাপিত প্রেমাগ্নি আলোহীন
কালের দুর্যোগ ও সময়ের দুর্বিপাক
তুমিই বলো এ কেমন কথা
ইখওয়ানে যোগদানের পর
ঘৃণা ও ভালবাসা সবই একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে
আমার কর্মপন্থা আমীরি নয় ফকীরি
গ্রন্থকীট নয় গ্রন্থকার
আমীর-উমরাহ ও মন্ত্রীর দরবারেও বে-নিয়াজী
সত্য পথের আহবায়ক আল্লাহর দ্বারের ভিক্ষুক
মঙ্গলবারের দরস ও উহার প্রেক্ষিত
দরবেশের দরবার
চতুর্থ অধ্যায়
মহাপ্রাণ ব্যক্তিত্বের সাথে স্মরণীয় সফর
বায়ুর গতি নির্ণয়ক যন্ত্র
এখানে হতাশার কোন স্থান নেই
নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ
আদর্শ সমালোচনা
সহিত্য সমালোচনা
পঞ্চম অধ্যায়
আকীদাগত কারণে ইসরাঈলের সাথে শত্রুতা
ক্যম্প ডেভিড চুক্তি
ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক
ষষ্ঠ অধ্যায়
কচিকাচাঁদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা
পরিবর্তনের সূচনা
কুরআন ও তলোয়ার
ইখওয়ানের প্রতি অপবাদ
দাওয়াতের প্রচার ও প্রসার
ইউনিভারসিটিতে দাওয়াতের কাজ
সাংবাদিকতার জগতে ইসলামী আন্দোলন
সংগঠন শামিল হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়
ইখওয়ানের সংগঠনভুক্ত ও দলবদ্ধ হওয়ার উদ্দেশ্য
নামকরণ
সপ্তম অধ্যায়
ইখওয়ানের প্রশিক্ষণ শিবিরসমূহ
কুরআন এবং তলোয়ার
শান্তির শ্লোগান ও যুদ্ধের প্রস্তুতি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর আদর্শে
উৎসর্গীত আমার পিতা-মাতা
তরবারী ধারণকারী বাহু
পরাজয় আমাদের ভাগ্যলিপি নয়]
কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদ অব্যাহত থাকবে
ভিত্তিহীন অভিযোগ
ইখওয়ানের দাওয়াত শরীয়তের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন
অষ্টম অধ্যায়
মহান সন্তানের পরাজয়
মু’মিনগণ একে অপরের ভাই
তোমরা সবাই আদমের সন্তান আর আদম ছিলেন মাটির তৈরী
ইখওয়ানের ফিকহী দৃষ্টিভংগী
ইসলামে অমুসলিমদের অধিকার
করণীয় কি?
ইসলামী শিক্ষা ও তার প্রভাব
একটা মজার ব্যাপার
ধূমপান বর্জন
প্রশংসনীয় নৈতিক চরিত্র
অদম্য সাহস থাকলে পাথরও পানির মত মনে হয়
মু’মিনের আসল সম্পদ ঈমান
আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করা
নাহাস পাশা ও ইংরেজদের রক্তচক্ষু
মতবিরোধের অধিকার
হাসানুল বান্না এবং হাসান আল হুদাইবি
মানুষ হচ্ছে খনি সদৃশ
দাওয়াতে হকের আলোচনা
জিহাদের প্রকারভেদ
নবম অধ্যায়
দুটো ভিন্ন দৃষ্টিকোণ
স্মৃতিকথা লিপিবদ্ধ করণের উদ্দেশ্য
জেলখানার মধ্যে মজার কুস্তী
কারাগারের দারোগাগণ
অত্যাচারীদের পরিণাম
দৃঢ় সংকল্প অথবা অনুমতি
গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা
অতীত গৌরব পুনঃ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা
মৌলিক ও সাধারণ উদ্দেশ্যাবলী
মু’মিনসলভ বিচক্ষণতা
এই বিশ্বস্ত ব্যক্তিগণের কঠোর হস্তক্ষেপ রহস্যময়
জুলুমের দানব ও ধৈর্যের পাহাড়
নিম্নে পতিতদেরও নিম্নতম
অবশ্যই আখেরাতের আযাব খুবই অপমানকর
প্রীতি ও সৌহার্দ্যের শাহাদাতগাহ
মূলনীতি ও কর্মপদ্ধতি
ইমাম শহীদের পয়গাম
ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
শক্তি অর্জন ও ইখওয়ানুল মুসলিমুন
সব সংশয়ের সমাধান এবং সব জটিলতার চাবিকাঠি
ব্যাপকভিত্তিক ঘোষণাপত্র ও বাস্তবায়নযোগ্য কর্মসূচী
আল্লাহর আইন
মুসলিমদের ইসলাম বিচ্যুতি
আমাদের হাতিয়ার
মুসলিম উম্মাহর নিকট আমাদের নবী
বিপর্যস্ত ও ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করণ
ব্যথার উপশম
নাহওয়ান নূর’ পুস্তিকা
ইমাম হাসানুল বান্নার দ্বিতীয় পুস্তিকা
ইখওয়ানের দৃষ্টিতে সমাধান
জাতিসমূহের উত্থান ও পতনের রহস্য
সৌভাগ্যের দিন
মুসলিম উম্মাহর সার্বিক ঐক্যের মূল উৎস
রাজনৈতিক দলসমূহ ও ইখওয়ানুল মুসলিমুন
বিশ্বজনীন ইসলামী আন্দোলন
মিসরীয় যুবসমাজ ও ইখওয়ানুল মুসলিমুন
নিশ্চয়ই তোমাদের এ উম্মাত একই উম্মাতের অন্তর্ভূক্ত
আমাদের দাওয়াত পূর্ববর্তীদের দাওয়াতের নতুন সংস্করন
শত্রুর সাক্ষ্য
বাইয়াতের তাৎপর্য
সংস্কারের পর্যায়সমূহ
জিহাদের সংজ্ঞা
অনুকূল ও প্রতিকূল সর্বাবস্থায় লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-ই উদ্দেশ্য
ইতিহাস ও ইতিহাস সৃষ্টিকারী ব্যক্তিসমূহ
ফুৎকারে এ প্রদীপ নির্বাপিত করা যাবে না
ভূপৃষ্ঠে আমাদের স্থায়ীত্ব প্রতিষ্ঠিত
হত্যার চক্রান্ত
নেতার আনুগত্য
ইবলীস ও তাঁর পরামর্শ সভা
প্রদীপ্ত সূর্য ঢাকা পড়লো অন্ধকারে
মজলুমের আর্তনাদ
অত্যাচারীকে অবকাশ দেয়ারও তাৎপর্য রয়েছে
দ্বিতীয় মুর্শিদে আ’ম এর নির্বাচন
মুর্শিদে আম হাসান আল হুদাইবির ব্যক্তিত্ব
প্রথম ও দ্বিতীয় মুর্শিদে আ’মে-এর ব্যক্তিত্বের তুলনা
দৃঢ়তার পাহাড়
নতুন ফাঁদে পুরাতন শিকারী
এ সংগীত বসন্তের মুখাপেক্ষী নয়
শকুনী ও বাজপাখীর জগত এক নয়
দশম অধ্যায়
আল্লাহ সর্বোত্তম নিরাপত্তা দাতা
সর্বক্ষণ বেগবান
সসম্মানে মুক্তিদান
নাসেরকে কাফের ঘোষনা করার ব্যাপারে হাসান
আল হুদাইবির ভূমিকা
জামায়াতুল তাকফীর ওয়াল হিজরাহ
সা’দাত কর্তৃক আলোচনার আহবান ও তার ফলাফল
সম্ভাবনাসমূহ
ইখওয়ানের লিখিত ভূমিকা
ইখওয়ানের গুরুত্ব ও দেশপ্রেম
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত
রাটনো নির্দেশ
আমীরুল উমারা
মিথ্যার কোন ভিত্তি থাকে না
আতিথেয়তার পরীক্ষা
ইখওয়ানের প্রতি নাসেরের শত্রুতা
একাদশ অধ্যায়
শহীদ আবদুল কাদের আওদার জনপ্রিয়তা
জেল-জুলুম ও বন্দিত্ব
নাসেরের দায়াদ্রচিত্ততা ও ইনসাফ
আদালতের আচরণ
যিনি হন্তা তিনিই সাক্ষী ও বিচারক
অত্যাচারীরা সাবধান
মন্ত্রীত্বের প্রলোভন
শাইখ আল বাকুরী
রাজনৈতিক পরিশুদ্ধি
সেই ওয়াদা করেছে যা পূর্ণতা লাভ
উম্মে কুলসুমের গান ও আমরা
শিল্প ও শিল্পি
নীল উপত্যকার আধুনিক ফেরাউন
খর্বকায় নেতা ও মিসরের ইতিহাস
হোসনী মোবারকের অপূর্ণাঙ্গ সংস্কার
ইসলামী দুনিয়ার প্রথিকৃৎ
সাজসরঞ্জাম কম থাক আর বেশী থাক বেরিয়ে পড়ো
আল্লাহ জুলুমকেই জুলুমের প্রতিপক্ষ বানিয়ে দেন
যদি সত্যবাদী হও তাহলে আস
মর্দে মু’মিন
জামাল আবদুন নাসেরের বিদ্বেষ
কৃষি সংস্কার না কৃষি বিপর্যয়
যে ভূমি থেকে কৃষক তার খাদ্য পায় না
দ্বাদশ অধ্যায়
প্রকৃত অবস্থার স্বরূপ উদঘাটন
বৃটিশ দূতাবাসের সাথে আলোচনা
দুশ্চরিত্রদের বাহানার অন্ত থাকে না
বিশৃংখল রাজ্য অযোগ্য রাজা
সত্য প্রকাশিত হয়ে পড়েছে
মু’মিনের দূরদিৃষ্টি ও শয়তানী চক্রান্ত
নাসেরের সাথে সাক্ষাত
নাজীবের বিরুদ্ধে নাসেরের ষড়যন্ত্র
গৃহযুদ্ধেল আশংকা
ত্রয়োদশ অধ্যায়
বিপ্লবের রোয়েদাদ
পাশ্চাত্য দূতাবাসসমূহ ও ইখওয়ান
হতে পারে তোমরা যা অপছন্দ করো তাই
তোমাদের জন্য কল্যাণকর
জুলুমের রাতের অবসান
একদিন কিংবা একদিনের কিছু অংশ
এই উচ্চ মর্যাদা যিনি লাভ করেছেন
স্বাধীনতা অমূল্য সম্পদ
প্রবৃত্তির আকাংখা ও তার পূজা
মুর্শিদে আ’ম এর আহবান ও আমার উপস্থিতি
মুসিবত কেটে গেল
সিন্ধি সাহেবের পুরস্কার ও পরিণতি
চতুর্ধশ অধ্যায়
ঐতিহাসিক দুর্ঘটনা
জেনালের নাজিবের সাথে নাসের পন্থিদের দুর্ব্যবহার
ইখওয়ান ও আযাদ অফিসার-এর প্রথম পরিচয়
একটা মজার অভিজ্ঞতা
নাসের কাপুরুষ না বীরপুরুষ
জীবনপাত করার পুরস্কার
ক্ষমতার লোভ ও সেনাবাহিনী
রক্তই আর্তনাদ করে বলে দেবে খুনীর বাহুর পরিচয়
নাসেরের ইখওয়ানুল মুসলিমুনে যোগদান
ফারুকের দেশ ত্যাগ
আসল চেহেরা
কৃতকর্মের ফলশ্রুতি ও নাসের
বিক্রয়যোগ্য সম্পদ নাকি শিষ্টাচার
নিঃসেন্দেহে দুঃখের পর রয়েছে সুখ
ওগো মু’মিন বান্দাহ- তুমিই সৌভাগ্যবান আবার তুমিই হতভাগা
জামাল সালেমের পরিণতি
পঞ্চদশ অধ্যায়
মাহফিল পন্ড
নিকৃষ্টতম গুপ্তচরবৃত্তি
যেমন রাজা তেমন প্রজা
চেষ্টা দ্বারাই অভ্যাস গড়ে উঠে
আমাদের দূরদৃষ্টিকে ব্যাপকতা দাও
ত্রুটিমুক্ত ব্যবস্থা
সিরাজের দাওয়াত
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল
আমি কি আর আমার ক্ষমতাইবা কি?
বদদোয়া ও তার লক্ষ্য
জিহাদে অংশ গ্রহণের দাবী
ইখওয়ানের নামে ব্যাংগ বিদ্রূপ
ফিরিঙ্গি সভ্যতার দাস
ষষ্ঠদশ অধ্যায়
হাতের কঙ্কন দেখতে আর্শির কি প্রয়োজন?
রেকর্ড সংশোধনের জন্যে
শাহ ফারুকের শাসনকালের প্রাথমিক অধ্যায়
ইখওয়ানের আদর্শনীতি
সপ্তদশ অধ্যায়
আমার সমালোচনা পদ্ধতি
গন্তব্যে তারাই গিয়ে উপনীত হয়েছে যারা সফরে অংশগ্রহণ করেনি
নাসেরের সর্প স্বভাব ব্যক্তিত্ব
গুজবে কান দেয়া বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়
মাথা উলংগ অথচ পায়ে মাথার রাজ মুকুট
অষ্টাদশ অধ্যায়
উনবিংশতম অধ্যায়
ইংরেজদের প্রতি আমাদের ঘৃণার কারণ
শহীদ ইবরাহীম আত তীব
শহীদ হিন্দাভী দুওয়াইর
শহীদ আবদুল কাদের আওদার চিঠি
হে দিব্যদৃষ্টির অধিকারীগণ! শক্তির নেশা বিপজ্জনক
ইখওয়ানের ওপর নির্যাতন চালানোর পুরষ্কার
বাদী নিজেই বিচারক
জামাল সালেমের পরিণতি
বিংশতম অধ্যায়
ইখওয়ানের নেতৃত্ব
কাকে বিশ্বাস করবেন
আবেগের ওপর যুক্তির বিজয়
আপন বন্ধুদের সাথে সাক্ষাত
তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহ তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করেন
একবিংশতম অধ্যায়
কৌশলের জন্য ত্যাগ ও তিতিক্ষা অত্যাবশ্যক
ব্যক্তিত্বের লালন ও খ্যাতির আনন্দ
ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি
মুসলমানদের ঘাড়ের শিরা ও ইহুদী থাবা
সাংবাদিকতার ইসলামী নীতি
স্বৈরাচারীরা সাবধান!
বাইশতম অধ্যায়
পরিবার সংগঠন ও তার বাস্তবরূপ
গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের পার্থক্য
ভিন্ন ভিন্ন মানদন্ড
তাঁরই সম্মুখে আনুগত্যের মস্তক রয়েছে অবনত
‘আদ দাওয়া’ অফিসে ইহুদী বুদ্ধিজীবিদের আগমন
প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের আতিথেয়তা
আফগান জিহাদ এবং ইখওয়ানুল মুসলিমুন
হয়তো আমার কথা তোমার ভাল লাগবে
নির্বাচনী ময়দানে
তেইশতম অধ্যায়
সুদান আশার আলোকচ্ছটা।
কামাল আতাতুর্কের ধর্মহীন গণতন্ত্র
বিপ্লবী কাউন্সিল কর্তৃক ইখওয়ানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ
মিসর ও সিরিয়ার ঐক্য
জেনারেল নাজীবের সামরিক পদত্যাগ
ওয়াফদ পার্টির শাসনকাল
গোপন অধিবেশন
ভ্রান্ত অর্থনৈতিক কর্মপন্থা ও তার ফলাফল
দাসদেরকে দাসত্বে সম্মান করা
কালের আয়নায় মিসর ও মিসরের বাইরের অবস্থা
মুর্শিদে আ’ম এর সিরিয়া ও লেবানন সফর
এসব কিছুই পূর্ব পরিকল্পিত
আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তোমরা শুধু তাই লাভ করতে পারো
সর্বাবস্থায় অস্থিরতা জাঁহাপনা।
মিষ্টার গান্ধির উদ্ধৃতি ও উদাহরণ
মূর্তির প্রেম থেকে হাত গুটিয়ে নাও এবং আপন
খুদীতে নিমগ্ন হয়ে যাও
দুনিয়ার এই ধন-সম্পদ-এই আত্মীয়-পরিজনের সম্পর্ক
হাসানের উৎসাহ এবং সৌন্দর্য থেকে বঞ্চনা
চব্বিশতম অধ্যায়
ইখওয়ানের সামরিক সংগঠন
দেশ ও জাতির হিফাজতে সেনাবাহিনীর সাথে সহযোগীতা
হাসাল আল হুদাইবির নির্দেশনা বনাম সামরিক সংগঠন
বিষনাশক বিষে রূপন্তরিত হলো
তোমাদের কিন্তু লজ্জা নেই
নাসেরের ব্যক্তিত্বঃ ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক
সাদাত নাসেরের স্থলভিষিক্ত
সাদাতের দৃষ্টান্তমূলক পরিণাম
সেনাবাহিনীর কাজ দেশের সীমান্ত রক্ষা, রাজনীতি নয়
বন্তুত তোমরা খুব কমই শিক্ষা গ্রহণ করে থাকো
একমুষ্টি মাটি কিন্তু জমিন থেকে আসমান পর্যন্তা বিস্তৃত
সুয়েজখাল জাতীয়করণ
হোসনি মোবারকের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভংগী
পঁচিশতম অধ্যায়
সাদাতের হত্যা এবং ইখওয়ান
বিশ্লেষণ ও গুজব
আমার পথ ধনীর পথ নয় দারিদ্রের
সাদাতের বক্তৃতা
ধৈর্যের শেষ সীমা
কাঁপছে পাহাড় কাঁপছে তৃণভূমি ও নদীনালা
ঔদ্ধত্যে মোহাবিষ্ট দুর্বিনীত মস্তুক অবনত হলো
আবারো জুলুমের ঝঞ্ঝা
জিন্দানখানার পুরনো মেহমান
এসো হে বুলবুল! এক সাথে আহাজারি করি
সাদাত ও তার ইসরাঈলী বন্ধু
ছাব্বিশতম অধ্যায়
ইসলাম না সমাজতন্ত্র
দাস আর প্রভূ বলে কিছুই রইল না
যারা আসতে চাও জাহাজ জ্বালিয়ে দিয়ে এসো
বিশ্ব রাজনীতি পরিক্রমা ও ইখওয়ান
ভালুক ও নেকড়ের বানরের ন্যায় পিঠা বন্টন
আত্মনির্ভরতার অভাব ও মানসিক গোলামী
মিসরের অর্থনীতি এবং সরকারের ধ্বংসনীতি
সমৃদ্ধি লাভ কি এভাবেই সম্ভব!
করার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ
মুসলিম দূতাবাসগুলোর স্বপ্ন
সাংস্কৃতিক দলঃ উম্মাতে মুসলিমার প্রতিনিধি
ইরাক-ইরান যুদ্ধ ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ ছাড়া কিছুই নয়
হোসনি মোবারক ও জাফর নিমেরীর সাক্ষাতকার
মানুষের মৌলিক অধিকাসমূহই নাগরিকদের মধ্যে দায়িত্বানুভূতি সৃষ্টি করতে পরে
সাতাইশতম অধ্যায়
মাঝে মধ্যেই সেই প্রাচীন কিসসা কাহিনীর সান্নিধ্যলাভ
হিজাবের পথের ধূলাবালির আকাংখা
যবের রুটি ও আলী হায়দারের বাহু
আযাদ অফিসার-এর বিশ্বাসঘাতকতা
তাকওয়াই সর্বোত্তম পথের সম্বল
আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব
উন্নত নৈতিক চরিত্রের নমুনা ও বীরত্বের উদাহরণ
কালের অবদান যুগ স্রষ্টা
সমস্যবলীর সমাধান করার উত্তম যোগ্যতা
ঈমান প্রবৃদ্ধিকর ঘটনাবলী
আটাশতম অধ্যায়
শোকাহত হৃদয়ের বেদনাদায়ক ক্ষত
জাতীয় আত্মমর্যাদাবোধ অধপতন থেকে মুক্তির পথ
কর্মফলেই জান্নাত ও জাহান্নাম
নব্যক্রুসেডের যুদ্ধসমূহ
মহাবিচারকের আদালত
আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে
ঊনত্রিশতম অধ্যায়
ইসলামী ঐক্যের আহবায়ক
আবু লাহাব নীতির বিদায় ও নবী মোস্তফা সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমন
যাদের শৌর্যবীর্য
হিকমাত ও কৌশল মু’মিনের হারানো মিরাস
যুগের বিপ্লব
বিভিন্ন মানদন্ড ও পরস্পর বিরোধী আচরণ
আল্লাহ তায়ালা তার নুরকে (দ্বীনকে) পূর্ণতা দান করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে
ইখওয়ান ও শ্রমিক সংগঠনসমূহ
সুস্পষ্ট ঘোষণা
ত্রিশতম অধ্যায়
মন্ত্রীত্বের আকাংখায়
পরীক্ষা নিরীক্ষার পর্যায়
স্বরণীয় ছবি
বন্ধুদের মাঝে বিনম্র কিন্তু হক ও বাতিলের দ্বন্দ্বে ইস্পাত কঠিন
সৎলোকদের সাহচর্যের প্রভাব
মুরীদ থেকে মুর্শিদে আ’ম
একটা তাজা উদ্যম একটা মহৎ ইচ্ছা
তারা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল
পরিপূর্ণ সৌন্দর্য থেকে পূর্নাঙ্গ প্রেম
একত্রিশতম অধ্যায়
সত্যের পথে আহবানকারীর জীবন ও চরিত্র
বাহুবল ও শক্তি প্রয়োগ
সা’দ জগলুল পাশার গাম্ভীর্য
শাহ অপেক্ষাও অধিক শাহ পূজারী
ইখওয়ানের শহীদগণকে ইহুদীদের ইংগীতেই ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে
বিশ্রি ও ন্যক্কারজনক খেলা
পি. এইচ. ডি- এর থিসিস ও ইখওয়ান
যাতে করে আল্লাহর দ্বীনের পতাকাই থাকে সমুন্নত
বত্রিশতম অধ্যায়
আশা-আকাংখা ক্ষীণ কিন্তু উদ্দেশ্য মহান
চিত্তাকর্ষক বাচনভংগী ও মনোমুগ্ধকর দৃষ্টি
অন্তর ও দৃষ্টির মুসলিম
বাঁচার জন্য খাওয়া নাকি খাওয়ার জন্য বাঁচা
আমাদের মত কেউই নয়
সাইয়েদ কুতুব শহীদ
সাইয়েদ কুতুব শহীদের উপর মিথ্যা অভিযোগসমূহ
আবদুর রহমান সিন্ধি মরহুম
আবদুল কাদের আওদা শহীদ
জনাব সালেহ আবু রাকীক
উম্মাতের নামে পয়গাম
মানুষের অসহায়ত্ব
স্বাধীনতার ইসলামী তাৎপর্য
স্মৃতিচারণ সম্পর্কিত প্রসংগ কথা
গ্রন্থকার পরিচিতি
মুহতারাম ওমর তেলমিসানী ইখওয়ানুল মুসলিমুনের তৃতীয় মুর্শিদে আম। বর্তমানে তিনি জীবনের আশিটি বসন্তু পাড়ি দিয়ে এসেছেন। তাঁর সুনাম ও মর্যাদা সমকালীন ইতিহাসে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার অপেক্ষা রাখে না। ইখওয়ানের ওপর বিপদ মুসিবতের সময় অতিবাহিত হয়েছে। সে সময় তিনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দী জীবনযাপন করেছেন। তাসত্তেও কোন স্বৈরাচারী শাসকের সম্মুখে তাঁর মস্তুক অবনত হয়নি। ভয়-ভীতি ও প্রলোভনের সাহায্যেও তাঁকে বাগে আনার বহু চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এরূপ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আল্লাহ তায়ালা তাঁকে অনমনীয়তা দান করেছেন।
পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন আইনজীবি। তথাপি তিনি যেরূপ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে আজীবন দাওয়াতে হকের দায়িত্ব পালন করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর নাম শোনার সংগে সংগে দাওয়াতে হকের একজন একনিষ্ঠ কর্মী এবং ইসলামী আন্দোলনের একজন অক্লান্ত পথপ্রদর্শকের চিত্র চোখের সামনে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তিনি যৌবন উন্মেষের শুভ থেকেই সকল প্রকার আকর্ষণ মুক্ত একটা অদম্য কাফেলার সাথে এসে একাত্ম হন এবং তাদের সাথেই সারাজীবন পথ পরিক্রমা অব্যাহত রাখেন। একজন নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে তিনি নিজেকে অত্যন্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত এক সাথীরূপে প্রমাণ করতে সক্ষম হন। যখন নেতৃত্বের শুরু দায়িত্ব তাঁর ওপর অর্পণ করা হয় তখন এ মহান যিম্মাদারী ও দায়িত্বের বোঝা তিনি অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পালন করেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে হৃদয়গ্রাহী ভাষায়, উন্নত দৃষ্টিভংগী ও সুকোমল ব্যবহারের নেয়ামত দ্বারাও পরিপূর্ণরূপে ধন্য করেছেন। তিনি ছিলেন একটি শ্রেষ্ঠ কাফেলার প্রধান।
“তার স্মৃতিকথা” সর্বপ্রথম আরবী ভাষায় প্রকাশিত আন্তর্জাতিক দৈনিক “আশশারকুল আওসাত” পত্রিকায় ১৯৮৪ সালের ৩রা জুলাই রোজ সোমবার থেকে প্রকাশিত হতে থাকে। তার এ “স্মৃতিকথা” একটা সাক্ষাতকার হিসেবে প্রখ্যাত সাংবাদিক ইমাম আল গাজী বিন্যস্ত করেন। “আশশারকুল আওসাত” এ প্রকাশিত তার “স্মৃতিকথার” প্রথম কিস্তিই সৌভাগ্যবশতঃ আমি পড়ার সুযোগ পেয়ে যাই এবং তখনই আমার মনে হয় যে বিভিন্ন ভাষায় এর অনুবাদ হওয়া দরকার। আমি তখন উচ্চ শিক্ষার্থে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সউদী সরকারের শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে মদীনা মুনাওয়ারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। ইতিমধ্যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে ইসলামী বিপ্লব হয়ে গেছে। সুতরাং ইরানের বিপ্লবী আন্দোলন ও ইখওয়ান সংগঠনের নিষ্ঠাবান কর্মী এবং দায়িত্বশীলগণের সাথে মিলিত হবার যখনই সুযোগ পেতাম খোলামেলা আলাপচারিতার মাধ্যমে তাদের সুদীর্ঘ ও তিক্ত বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা জেনে নিয়ে আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনকে আরো বেগবান করার জন্য নিজের ঈমান, মনোবল ও যোগ্যতাকে আরো শানিত করে নিতে চেষ্টা করতাম। সুতরাং মুর্শিদে আম-এর জীবনের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের সঞ্চয় অবগত হবার লোভ সম্বরণ করতে পারলাম না। তাই অল্প কয়েকদিনেই আমি কয়েক কিস্তির বাংলা তরজমা করে ফেললাম এবং আমি এ অনুবাদকর্ম ১৯৮৫ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহের সমাপ্ত করে ফেলি। অনুবাদের কাজ সাধারণত তখন করতাম যখন ইউনিভার্সিটিতে ক্লাশ থাকতো না। প্রধানত সালাতুল আছর থেকে এশা পর্যন্ত সময়কেই কাজে লাগাতে চেষ্টা করতাম। প্রতি সপ্তায় দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি পাওয়া যেতো। শেষের দিকে ভ্রাতৃপ্রতীম ক্বারী হাবীবুর রহমান যথেষ্ট সহযোগীতা প্রদান করে। আমি তার দ্বারা অনুবাদ লিখার কাজ করতাম আর তিনিও দ্রুত গতিতে এবং নির্ভুলভাবে তা লেখার দায়ত্ব পালন করতেন। এভাবে খুব অল্প সময়েই কাজ সুসম্পন্ন হয়ে যায়। অতপর এ অংশগুলো সংশোধনও করে নেয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা ক্বারী সাহেবকে সর্বোত্তম বিনিময় দ্বারা ধন্য করুন। এ পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে গ্রন্থাকার পরিচিত তুলে ধরার আবশ্যকতা বোধ করছি।
ঈসায়ী চলতি শতাব্দীর চল্লিশের দশকে দ্বীনের সংস্কার সাধন ও পুনরুজ্জীবন দানের মহতী আন্দোলন “ইখওয়ানুল মুসলিমুন” নামে মিসরে শুরু হয়। এ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সাইয়েদ হাসানুল বান্না শহীদ। এ সুমহান ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ অত্যন্ত মহৎগুণবলী দ্বারা ধন্য করেছেন। তাঁর পরিচালিত আন্দোলন প্রতিষ্ঠার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এতবেশী জনপ্রিয়, সর্বব্যাপী ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয় যে বাতিল পন্থী সমস্ত দলের মধ্যে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বাতিল দল মত নির্বিশেষে এ আন্দোলনকে উৎখাত করার জন্য সযত্ন প্রয়াস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার নুর তথা দ্বীনে হক কখনো বাতিলের ফুৎকারে নির্বাপিত হয়ে যেতে পারে না। আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। অথচ তা নিশ্চিহ্ন করার দূরভিসন্ধি গ্রহণকারীরা ধরা পৃষ্ঠ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাইয়েদ হাসানুল বান্নার শাহাদাতের পর জনাব হাসান আল হুদাইবি আন্দোলনের মুর্শিদে আম নির্বাচিত হন। তিনি অত্যন্ত সাহসিকতা ও বিজ্ঞজনোচিতভাবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে থাকেন। তার নেতৃত্বকালীন সময় ছিলো কঠোর পরীক্ষার অ্ধ্যায়। এ পর্যায়েই সাইয়েদ কুতুব ও ইখওয়ানের অন্যান্য বহু গুণধর ব্যক্তিত্বকে ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলানো হয়। তথাপি আত্মনিবেদিত ও প্রবল ঈমানের বলে বলীয়ান ইখওয়ান ত্যাগ স্বীকার করতে থাকে এবং অকুতোভয়ে তাদের লক্ষ পানে অগ্রসর হতে থাকে। হাসান আল হুদাইবি (র) এর ইনতিকালের পর ইখওয়ানের প্রাক্তন সদস্য এবং ত্যাগ ও কুরবানীর মূর্তপ্রতীক শাকখ ওমর তিলমেসানী মুর্শিদে আম নির্বাচিত হন। তিনি ইখওয়ানের তৃতীয় আমীর বা মুর্শিদে আম। তার বয়স এখন আশি বছর। তা সত্ত্বেও তার যুবকসুলভ মনোবল দেখে ঈমান তাজা হয়ে উঠে। নিশ্চিতরূপে বিশ্বাস জন্মে যে আল্লাহর প্রেমে বিভোর ব্যক্তি কখনো বুড়িয়ে যায় না বা দুর্বল হয়ে পড়ে না।
ওমর তিলমিসানী হচ্ছেন ইখওয়ানের ইতিহাসের আমানতদার। তাঁর বক্ষ এমন উজ্জল ও অকৃত্রিম ইতিহাসের উৎস, যা বর্তমান শতাব্দীতে সালফ ও সালেহীনদের স্মৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছে। অন্যুন প্রায় অর্ধ শতাব্দী যাবত এ সংগঠনের প্রথম সারিতে কাজ করার সৌভাগ্য তিনি লাভ করেছেন। আরবী ভাষায় প্রকাশিত আন্তর্জাতিক দৈনিক “আশশারকুল আওসাত” পত্রিকার পক্ষ থেকে একবার উস্তাদ তিলমিসানীর সাথে সাক্ষাতকারের আবেদন জানানো হয়। তখন মুর্শিদে আম- এর শারীরিক অবস্থা ভাল যাচ্ছিল না। তদুপরী অতিসম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে একটা বড়ো ধরনের অপারেশান করা হয়েছিলো। তা সত্ত্বেও যে তিনি পত্রিকার প্রতিনিধি ইমাম আল গাজীকে প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি তার স্মৃতিকথাকে সাক্ষাতাকার হিসেবে পাঠকগণের সমীপে উপস্থাপন করবেন। তার ঈমান প্রবৃদ্ধিকর স্মৃতি কথামালাগুলোই এখন “আশশারকুল আওসাত” পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। ১৯৮৪ সালের ২৩ শে জুলাই সোমবার এর প্রথম কিস্তি প্রকাশিত হয়। তারপর প্রতি সপ্তাহে তিন দিন সোম, বৃহস্পতি ও শনিবার তা নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে।
“আশশারকুল আওসাত” আমাদের সময়কার সংবাদপত্র জগতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী একটি দৈনিক। এ দৈনিকটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে একই সাথে বিশ্বের ছয়টি স্থান থেকে প্রকাশিত হয়। লন্ডন, প্যারিস, জিদ্দা, রিয়াদ, কাসাব্লাঙ্কা (মরক্কো) এবং নিউইয়র্ক-এর মুদ্রণ ও প্রকাশনার কেন্দ্র। এ পত্রিকায় ইসলামী ও পশ্চিমাজগতের পণ্ডিত, সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, রাজনীতিবিদ এমনকি বিশ্ববিখ্যাত ক্রিড়াবিদগণের স্মৃতিকথা প্রকাশ করে আসছে। পূর্বেই বলা হয়েছে যে, পত্রিকাটির প্রকাশনা অনেক বেশী। সাক্ষাতকার প্রদানকারী খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ অথবা আত্মকাহিনী লেখক সাহিত্যিকদেরকে অত্যন্ত মোটা অংকের সম্মানী প্রদান করা হয়। পত্রিকার প্রতিনিধি যখন মুর্শিদে আমের খেদমতে তা প্রকাশ করেন। তখন তিনি অত্যন্ত দ্বিধাহীনচিত্তে বলেন, “আমি ইখওয়ানুল মুসলিমুনের ইতিহাস বিক্রি করতে চাই না।”
আমি যখন প্রথম কিস্তিতে এ খবর পাঠ করি, তখন তাতে অত্যন্ত আনন্দিত হই। কিন্তু মনের মধ্যে একথাও জাগে যে, পারিশ্রমিক গ্রহণ করে তা ইখওয়ানের বাইতুলমালে জমা দিলে তাতে তো কোন ক্ষতি ছিল না। কিন্তু কিছুদিন পর আমাকে স্বেচ্ছা প্রণোদিতভাবে একথা বলতে বাধ্য হতে হয়েছে যে, মুর্শিদে আম-এর উপরোক্ত সিদ্ধান্ত ছিলো সঠিক ও যথার্থ। আমি জানতে পেয়েছি যে, “আশশারকুল আওসাত” এর সুধী পাঠকগণের ওপর ও মন্তব্যের এমন সুদূর প্রসারী প্রভাবই পড়েছে যা হাজার হাজার কর্মী বছরের পর বছর অবিশ্রান্ত মেহনতের পরও ফেলতে পারতো না।
মুর্শিদে আম-এর এ সাক্ষাতকার থেকে তার ব্যক্তিগত অবস্থার পরিচয়ও পাওয়া যায়। কিন্তু মোটামুটিভাবে এটা সংগঠন, আন্দোলন এবং এর কঠোর প্রাণ কাফেলার সামগ্রিক কার্যক্রম অনেক ত্যাগ ও কুরবানীর রক্তে সিক্ত ঘটনা প্রবাহ প্রকাশ করার মোক্ষম সুযোগ বিশেষ।
আজকের প্রকাশনায় সাইয়েদ হাসানুল বান্নার সাথে উস্তাদ তিলমিসানীর প্রথম সাক্ষাতকারের পর্যালোচনা সম্মানিত পাঠকদের সম্মুখে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ আলোচনা তাঁর সাক্ষাতকারের তৃতীয় ও চতুর্থ অংশে উল্লেখিত হয়েছে।
অনুবাদের কাজ চলাকালীন সময়ে মনে মনে ভাবছিলাম যে এ “স্মৃতিকথা” গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হলে এর নাম কি রাখা যেতে পারে? সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারেই মনের কোণে ভেসে ওঠে “স্মৃতির আমানত”। আর এখন এটা আল্লাহর রহমতে “ওমর তিলমেসানী ও ইখওয়ান” নামে গুণীজন ও সুধী পাঠকগণের খেদমতে হাজির করা হলো।
অবশ্য এ সাক্ষাতকার কিংবা “স্মৃতিকথাগুলোকে” সাধারণ প্রচলিত পদ্ধতিতে বিন্যস্ত করা হয়নি। এ স্মৃতিকথা পড়তে গিয়ে সুধী পাঠকগণ বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাবেন যে, মুর্শিদে আম নিজেও এদিকে ইংগিত দিয়েছেন। কখনো কখনো মনে হয় যেন কোন কোন বিষয়ের পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও জনাব তিলমিসানী কেবলমাত্র তার স্মৃতি শক্তির সাহায্যে এবং কোন প্রকার লিখিত রেকর্ডের সাহায্য না নিয়েই সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং কোন প্রকার লৌকিকতা ছাড়াই তার স্মৃতির প্রদীপ প্রজ্জলিত করেছেন। তাঁর দৃষ্টিভংগী ছিল এই যে, স্বীয় পয়গাম ও আন্দোলনের পরিচিতি পাঠকদের নিকট পৌছে দেয়া। সুতরাং এ চিন্তাধারাকে কেন্দ্রবিন্দু বানিয়ে তিনি সাক্ষাতকার প্রদান করেন। আমার তো মনে হয় যে জনাব মুর্শিদে আম মৌমাছির মত প্রতিটি ফুল থেকে রস আহরণ করেছেন এবং রোগ নিরাময়কারী মধু দ্বারা তাঁর মৌচাক ভর্তি করেছেন। তিনি কোন কথা বর্ণনা করার সময় যেমন কোন কৃত্রিমতার আশ্রয় নেননি। তেমনি কোন প্রকার মেকিত্বের প্রলেপ দিতেও চেষ্টা করেননি। সত্যিই ন্যায় ও সত্যের একজন নিষ্ঠাবান দায়ীর চরিত্র মাহাত্মা এরূপ হওয়াই শোভনীয়। এরপর থাকে চরম উৎকর্ষ ও পরিপূর্ণতার কথা। সেটা কেবল আল্লাহ তায়ালার গুণাবলীর অংশ। সাধারণ মানুষ ভুল ভ্রান্তিও করে আবার সঠিক পথের সন্ধানও লাভ করে। কিন্তু সে নিষ্পাপ নয়। আল্লাহ তায়ালা শুদুমাত্র নবী রাসূলগণকেই নিষ্পাপ বৈশিষ্ট্য দান করেছেন।
জনাব মুর্শিদে আম এর কথা আরবী ও ইংরেজী সাময়িকী ও দৈনিক পত্রিকায় বহুবার পড়ার সুযোগ পেয়েছি। তাঁর সাক্ষাতকার দেখার সৌভাগ্যও আমার হয়েছে। তাঁর লিখিত কতিপয় দুর্লভ ও মূল্যবান প্রবন্ধ ‘আদ দাওয়া’ এবং আল মুখতারুল ইসলামী’ এর মত পত্রিকার পৃষ্ঠায় আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছিলো। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর সাথে সাক্ষাতের দুর্লভ সুযোগও আমি পেয়ে যাই। তিনি সুদানে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনে যোগদানের জন্য আগমন করেছিলেন। উক্ত সম্মেলনে যোগদানের সুযোগও আমার হয়েছিলো। সেখানেই তাঁর সাথে আমার সাক্ষাত হয়। যে ভালোবাসা ও একান্ত আপনার মত করে তিনি আমাকে সান্নিধ্য দান করেন। তা চিরদিন স্মৃতিপটে গাঁথা থাকবে। যদিও তিনি ছিলেন বয়সের ভারে ক্লান্ত এবং দুর্বল কিন্তু জেহাদী চেতনায় উদ্দীপ্ত এ মহাপ্রাণ ব্যক্তি সর্বদা কর্মমুখর ও প্রাণ চঞ্চল থাকেন।
কনফারেন্স চলাকালীন সময়ে তাঁর কোন প্রোগ্রাম বা ভাষণ দেয়ার দায়িত্ব ছিলো না। কিন্তু সম্মেলন কক্ষে অথবা তার বাইরে যেখানেই তাকে পাওয়া যেতো, উপস্থিত সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ হতো তাঁর উপর। অধিবেশনের বিরতির সময়ও মানুষ ভক্তি ভরে ও আবেগ আপ্লুত হয়ে তাঁর কাছে ছুটে যেতো। এটা ছিল ইখওয়ানুল মুসলিমুনের প্রতি জনসাধারণের আবেগ ও ভক্তির বহিপ্রকাশ। আমি যখনই তার প্রতি লক্ষ্য করতাম, তখনই ইখওয়ানের ইতিহাস আমার মনের দিগন্তে উদ্ভাসিত হয়ে উঠতো। তিনি এ ইতিহাসেরই আমানতদার এবং আন্দোলনের প্রাণ প্রবাহ।
মিসর ও মিসরের বাইরে যেখানেই তিনি যেতেন সেখানেই হক-এর অনুসন্ধানকারীগণ তাঁর প্রতি দৃষ্টি মেলে চেয়ে থাকতো। মিসর সরকার তার প্রোগ্রাম বানচাল করার জন্য যতই বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টা করতো, ততই তার সুনাম ও সুখ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়তো। সম্মানিত পাঠকগণ! এ স্মৃতিকথা পাঠের সময়ও দেখতে পাবেন যে তিনি তাঁর বিদেশ সফরের আলোচনা করেছেন। রওয়ানা হওয়ার এবং ফিরে আসার সময় যেভাবে এয়ার পোর্টে এবং ইমিগ্রেশনে অফিসারগণ তাঁকে কষ্ট দিতো তা শুধু অনুতাপের বিষয়ই নয় বরং পুরোপুরি লজ্জাজনক ও কঠোরভাবে নিন্দার যোগ্যও বটে। তার অসীম উৎসাহ উদ্দীপনা ও একান্ত সদিচ্ছা আন্তরিকতার কারণেই তিনি তাদের এরূপ অশালীন আচরণে কখনো কিছু মনে করতেন না।
কুয়েতের প্রভাবশালী সাময়িকী “আল মুজতামা” তার ১৯৮৫ সালের পহেলা জানুয়ারী তারিখে প্রকাশিত সংখ্যার সম্পাদকীয়তে লিখেছেনঃ জীবনের আশিটি বছর অতিক্রম করে আসার পরও শাইখ ওমর তিলমিসানীর অদম্য সাহস এবং সৎ উৎসাহ তাঁকে প্রাণ চঞ্চল করে রাখছে। গত সপ্তায় এক দিনেই তিনি তিনটি জনসমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন। প্রথম অধিবেশন “হিযবুত তাজামুম” (মিসরের একটি বিরোধী রাজনৈতিক দল)- এর কেন্দ্রীয় দফতরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হয়। অতপর যুব চিকিৎসক ইউনিয়নদের ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত কায়রোতে অবস্থিত ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় দফতরের এক বিরাট সমাবেশে তিনি বক্তব্য রাখেন। তৃতীয় অধিবেশনের আয়োজন করে আইনজীবিদের ইউনিয়ন সিরাতুন্নবী (সা) উপলক্ষে। সেখানেও তিনি ভাষণ দান করেন। প্রতিটি অধিবেশনেই তিন সহস্রাধিক লোকের সমাগম হয়।
একটা বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, হিযবুত তাজাম্মুর কেন্দ্রীয় দফতরে যখন তিনি তাশরীফ আনেন তখন উপস্থিত সকলের মধ্যে অত্যন্ত আবেগময় অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তাকে স্বাগত জানানোর জন্য একধারে তিন মিনিট পর্যন্ত করতালি দেয়া হতে থাকে এবং মুহর্মূহ গগনবিদায়ী শ্লোগানের ধ্বনিতে আকাশ বাতাস মুখরিত হতে থাকে। এমন সাদর ও উষ্ণ অভ্যর্থনা কোন বক্তা বা নেতাকে জানানো হয়নি। অথচ স্বয়ং “হিযবুত তাজাম্মুর” প্রধান জনাব খালেদ মুহীউদ্দীনও বক্তাদের মধ্যে শামিল ছিলেন।
আরো মনে রাখা দরকার যে, সাইয়েদ তিলমিসানী তাঁর বাম চক্ষুর অপারেশন শেষে মাত্র কয়েক সপ্তাহ পূর্বে সুইজারল্যান্ড থেকে ফিরে এসেছিলেন। এসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি সক্রিয় নেতা হিসেবে সর্বদা কর্মতৎপর থাকেন।
এ খরবটি চলতি সপ্তাহের একটা আরবী পত্রিকা থেকে শুধু নমুনাস্বরূপ উল্লেখ করলাম। অন্যথায় মুর্শিদে আমের কর্মব্যস্ততার বিস্তারিত বিবরণ খুবই বিস্ময়কর ও চমকপ্রদ।
ইখওয়ান ও জামায়াতে ইসলামী কার্যক্রমের তুলনামূলক আলোচনা সম্বলিত একটা নিবদ্ধ এ গ্রন্থে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমরা আশা করি সুধী পাঠকগণ “ওমর তিলমেসানী ও ইখওয়ান” পাঠ করে সাইয়েদ ওমর তিলমিসানী ও ইখওয়ানুল মুসলিমুন তথা মিসর ও আরব দেশসমূহের সাধারণ অবস্থা সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য অবগত হতে পারবেন। এ প্রবন্ধ থেকে দুটি ইসলামী আন্দোলনকে তুলনা করে পাঠকগণ উপলব্ধি করতে পারবেন যে, সংস্কার আন্দোলনগুলোকে দুনিয়ার সবখানেই একটি প্রতিকুলতার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তাছাড়া সব আন্দোলনের মনযিলে মকসুদ এক হওয়া সত্ত্বেও নিজ নিজ এলাকা ও পরিবেশ তাদেরকে আপনাপন কর্মসূচী তৈরী করে নিতে হচ্ছে।
অনুবাদকালে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি যাতে বক্তার মূল বক্তব্য সঠিকভাবে পাঠকদের সম্মুখে উপস্থাপন করা যায়। তাই এটা শাব্দিক বা আক্ষরিক অনুবাদ নয় বরং ভাবানুবাদের সযত্ন প্রয়াস মাত্র। বিজ্ঞ সধী ও গুণীজনদের খেদমতে আরজ এই যে, কোন প্রকার ত্রুটিবিচ্যুতি ও দুর্বলতা তাঁদের দৃষ্টিগোচর হলো তারা যেন সেদিকে যথাযথভাবে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করতে মর্জি করেন।
মূল প্রবন্ধ অধ্যয়ন করার সময় সুস্পষ্টভবে অনুভূত হয়েছে যে, যেসব চিন্তাধারা আল্লামা ইকবাল মারহুম ইম্মাহর প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে সঞ্চারিত করার প্রান্তকর প্রয়াস পেয়েছিলেন, শাইখ ওমর তিলমিসানীও সেই একই ভাবধারায় উদ্দীপ্ত।
অনুবাদের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সমস্ত উপশিরোনামগুলো আমাদেরই উদ্ভাবিত। যে নিয়তে মুর্শিদে আম তার স্মৃতিকথা লিপিবদ্ধ করিয়েছেন আল্লাহ সেই মহৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার তাওফিক দান করেন। অর্থাৎ চিন্তা চেতনার ধারা যেন বদলে যায় এবং মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি ব্যক্তি তাদের হারানো মর্যাদা পুনরায় অর্জন করার জন্য কুরআন ও সুন্নাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে। কবির ভাষায়ঃ তোমার চেতনায় যদি বিপ্লবের সৃষ্টি হয় তাহলে। আশ্চর্য নয় যে চারদিকের বিরাজমান পরিবেশই বদলে যাবে! তোমার প্রার্থনা হচ্ছে যেন তোমার আকাংখা পূরণ হয়! আর আমার দোয়া হচ্ছে যেন তোমার আকাংখাই বদলে যায়!!
কবি আরো বলেছেন :
“জগত যদিও অন্য রকম হয়ে গেছে বলে মনে হয়!
তবুও দাঁড়াও তোমরা আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে!!
এ জমিন, এ আলো বাতাসে তোমরা রুখে দাঁড়াও আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে।
‘আনাল হক’ ধ্বনিকেক যিনি আগুনের রুপান্তরিত করেছেন তোমরা শিরা উপশিরায় সেই রক্ত প্রবহামান। অতএব উঠে দাঁড়াও।
ওয়াসসালাম।