জামায়াত অনলাইন লাইব্রেরি
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস
জামায়াত অনলাইন লাইব্রেরি

পরিবার ও পারিবারিক জীবন

অন্তর্গতঃ উচ্চতর অধ্যয়ন, পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
Share on FacebookShare on Twitter

সূচীপত্র

  1. গ্রন্থকারের কথা
  2. প্রসঙ্গ কথা
  3. মুখবন্ধ
  4. প্রথম অধ্যায়
  5. পরিবার ও বর্তমান সভ্যতা
  6. পরিবার-বিরোধী যুক্তির জবাব
  7. বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পরিবার
  8. পরিবার ও বিশ্বপ্রকৃতি
  9. যৌন স্পৃহার সুষ্ঠু পরিতৃপ্তি ও বিয়ে
  10. ইসলামের দৃষ্টিতে নারী ও পুরুষ
  11. ইসলামে নারী ও পুরুষের আদর্শ
  12. ইসলামে নারীর মর্যাদা
  13. দ্বিতীয় অধ্যায়
  14. পরিবার গঠন
  15. বিয়ে এবং তার গুরুত্ব
  16. বিয়েতে কুফু’র প্রশ্ন
  17. যেসব মেয়ে-পুরুষের পারস্পরিক বিয়ে হারাম
  18. বিয়ের প্রস্তাব
  19. ছেলেমেয়ের বিয়ের ব্যাপারে পিতামাতার দায়িত্ব
  20. স্ত্রীর অধিকারের গুরুত্ব
  21. একাধিক স্ত্রী গ্রহণ
  22. তৃতীয় অধ্যায়
  23. পরিবার সংরক্ষণ
  24. পর্দার ব্যবস্থা
  25. মহিলাদের সামাজিক দায়িত্ব
  26. চতুর্থ অধ্যায়
  27. পারিবারিক জীবনের বৃহত্তর লক্ষ্য
  28. পঞ্চম অধ্যায়
  29. পারিবারিক জীবনে বিপর্যয় ও পুনর্গঠন
  30. উপসংহার
  31. পারিবারিক জীবনের পুনর্গঠন
  32. গ্রন্থপঞ্জী

যৌন স্পৃহার সুষ্ঠু পরিতৃপ্তি ও বিয়ে

বিবাহিত হয়ে পারিবারিক জীবন-যাপন ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেকটি বয়স্ক স্ত্রী-পুরুষের জন্যে অপরিহার্য কর্তব্য। এতে যেমন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জীবন-যাপন সম্ভব, তেমনি যৌন মিলনের স্বাভাবিক অদম্য ও অনিবার্য স্পৃহাও সঠিকভাবে এবং পূর্ণ শৃঙ্খলা, নির্লিপ্ততা ও নির্ভেজাল পরিতৃপ্তি সহকারে পূরণ হতে পারে কেবলমাত্র এ উপায়ে।

বস্তুত মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই যে যৌন মিলনের স্পৃহা বিদ্যমান, তার পরিপূরণ ও চরিতার্থতার সুষ্ঠু ব্যবস্থা হওয়া একান্তই আবশ্যক। বর্তমান দুনিয়ায় যৌন মিলন স্পৃহা পরিপূরণের জন্যে বিয়ের বাইরে নানাবিধ উপায় অবলম্বিত হতে দেখা যাচ্ছে। কোথাও হস্তমৈথুন গ্রহণ করা হয়েছে এবং স্বীয় হস্তদ্বয়ের সাহায্যে নিজের যৌন উত্তেজনা প্রশমিত করার দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। আধুনিক সভ্য সমাজের এক বিরাট অংশ আজ এ মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত। এর ফলে ব্যাপক হয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রকারের অভিনব যৌন ও মানসিক রোগ। এ রোগ একবার যাকে ভালোভাবে পেয়ে বসে, তার পক্ষে এ থেকে নিষ্কৃতি লাভ যেমন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে, তেমনি বিয়ে করে সাফল্যজনকভাবে পারিবারিক জীবন-যাপন করা তার পক্ষে কোনোদিনই সম্ভবপর হয় না। কেননা তার অন্যান্য বহু রকমের রোগের সঙ্গে দ্রুত বীর্য-বীর্য-স্খলনের রোগ সৃষ্টি হওয়ার কারণে সে কোনো দিনই স্বীয় স্ত্রীকে যৌন তৃপ্তি দিতে সক্ষম হতে পারে না। আর তা না হলে কোনো স্ত্রীই তার সঙ্গে বিবাহিতা হয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে রাজি হবে না।

কোথাও কোথাও দেখা যায়, যৌন মিলন স্পৃহা পরিপূরনের জন্যে সমমৈথুন (homo sexuality) বা পুংমৈথুনের পথ অবলম্বন করা হচ্ছে। এর ফলে নারী বা পুরুষ তারই সমলিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার স্ত্রী-পুরুষ উভয় শ্রেণীর লোকদের মধ্যেই এই রোগ বর্তমানে মারাত্মক ও সংক্রামক হয়ে দেখা দিয়েছে। আমেরিকার ডঃ কিনসে এ সম্পর্কে দীর্ঘকালীন গবেষণা ও অনুসন্ধান পরিচালনার পর ১৯৪৮ সনে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেন, তাতে তিনি বলেনঃ আমেরিকার পুরুষদের এক-তৃতীয়াংশেরও অধিক লোকদের মধ্যে এ রোগ অতি সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বৃটেনে তো এই কুকর্মকে আইনসিদ্ধই করে নেয়া হয়েছে প্রবল আন্দোলনের মাধ্যমে।

বস্তুত ছোট বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে যদি উচ্ছৃঙ্খল যৌন লালসা দেখা দেয়, তাহরে তারা স্বাভাবিকভাবেই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অনাসক্ত হয়ে পড়ে। বরং তার প্রতি তাদের মনে জাগে ঘৃণা ও বিরাগ। আর সমলিঙ্গের প্রতি তারা হয় আকৃষ্ট। ধীরে ধীরে এ রোগই উৎকর্ষ হয়ে সমমৈথুনের মারাত্মক  কুঅভ্যাস শক্তভাবে গড়ে ওঠে। সূচনায় যদিও তা এক বালকসূলভ চপলতা মাত্র, কিন্তু ক্রমে তা দৃঢ়মূল অভ্যাসে পরিণত হয়। আর তাই শেষ পর্যন্ত এক অবাঞ্ছিত সামষ্টিক রোগের রূপ পরিগ্রহ করে।

এসব রোগের মনস্তাত্ত্বিক কারণ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকগণ বলেছেন, যে সব ছেলে মায়ের অসদাচরণ দেখতে পায়, স্ত্রী জাতির প্রতি তাদের মনে তীব্র অশ্রদ্ধা ও ঘৃণার উদ্রেক হয়। এ কারণে তারা সমলিঙ্গের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। মা বাপকে কিংবা কোনো নিকটাত্মীয় পুরুষ স্ত্রীলোককে তার যা কিছু করতে দেখে অথবা করে বলে তাদের মনে ধারণা জন্মে, তারা তাই সমলিঙ্গের ছেলেমেয়েদের সাথে করতে শুরু করে। ফলে এরা কোনোদিনই বিবাহিত হয়ে বিপরীত লিঙ্গের সাথে স্থায়ী যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হয় না। বরং বহু দিনের এ কুঅভ্যাসের ফলে বিপরীত লিঙ্গ সম্পর্কে তাদের মনে এক প্রকারের ভীতির সঞ্চার হয়। বিয়ে করা তাদের পক্ষে আর কখনও সম্ভব নয় না কিংবা বিয়ে করে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়া তাদের ভাগ্যে জুটে না।

প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক সিগমণ্ড ফ্রয়েড তাঁর Psychology of Everyday Life গ্রন্থে লিখেছেনঃ

এই সমমৈথুন নিষ্ফল ও ব্যর্থ প্রচেষ্টা মাত্র। এর ফলে মানুষের মনুষ্যত্ব চরমভাবে লাঞ্ছিত হয়, মানুষের জীবনীশক্তি ও প্রজনন ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে যায়। যে উদ্দেশ্যে মানুষকে নারী ও পুরুষ করে সৃষ্টি করা হয়েছে, এসব কাজে তা বিনষ্ট ও ব্যর্থ হয়ে যায়। এ ধরনের কাজে মানুষ মনুষ্যত্ব হারিয়ে নিতান্ত পশুতে পরিণত হয়ে যায়। বিবাহিত হয়ে সুস্থ পবিত্র জীবন যাপন করা ও স্থায়ী যৌন মিলন ব্যবস্থায় পরিতৃপ্ত হওয়া এ কুঅভ্যাসের লোকদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিয়ে করে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির ভরণ-পোষণ করাকে তারা অবাঞ্ছিত ঝামেলা মনে করে থাকে। বর্তমান জগতে এ ধরনের স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা কিছুমাত্র কম নয়।

ঠিক এই কারণেই ইসলামে এ সব কাজ –যৌন স্পৃহা পূরণের এসব অন্ধকারাচ্ছন্ন গলি খুঁজা ও বাঁকা চোরা পথ অবলম্বন –চিরতরে হারাম করে দেয়া হয়েছে। সমমৈথুন সম্পর্কে কুরআন শরীফে কঠোর বাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। লুত নবীর সময়কার এ বদ-অভ্যাসের লোকদের জিজ্ঞেস করা হয়েছেঃ

(আরবী***************************************************)

 তোমরা পুরুষেরা দুনিয়ায় পুরুষদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছ, আর পরিত্যাগ করছ তোমাদের জন্যে সৃষ্ট তোমাদের স্ত্রীদের? –তোমরা হচ্ছ সীমালংঘনকারী লোক।

এ আয়াত পুরুষদের দ্বারা পুরুষদের (এবং মেয়েদের দ্বারা মেয়েদের)-কে যৌন উত্তেজনা পরিতৃপ্ত করা (লেওয়াতাত)-কে স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করে দিয়েছে। যৌন উত্তেজনা পরিতৃপ্তির জন্য আল্লাহ তা’আলা স্ত্রী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্যে বিপরীত লিঙ্গের সৃষ্টি করেছেন এবং তার জন্যে নির্দিষ্ট স্থান বা দেহাংশ রয়েছে। আর এ উদ্দেশ্যে কেবল তাই গ্রহণ করা কর্তব্য, উভয়ের পক্ষে বাঞ্ছনীয়। এ হচ্ছে সকলের প্রতি আল্লাহ তা’আলার বিশেষ নেয়ামত। এ নেয়ামত গ্রহণ না করে যারা এর বিপরীত সমমৈথুন মনোযোগ দেয় তারা বাস্তবিকই আল্লাহর নির্দিষ্ট সীমা লংঘন করে, তারা মানবতার কুলাংগার। কুরআন মজীদে এজন্যে কঠোর দণ্ডের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ

(আরবী*****************************************************)

তোমাদের মধ্যে যে দুজন পুরুষ (বা স্ত্রী) এ অন্যায় কাজ করবে, তাদের দুজনকেই শাস্তি দাও। তার পরে যদি তারা তওবা করে ও নিজেদের চরিত্র সংশোধন করে নেয়, তবে তাদের ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতীব তওবা কবুলকারী দয়াবান।

অর্থাৎ দুজন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ একজন নারী অথবা দুজনই নারী যদি চরিত্রহীনতার কাজ করে বসে, তবে সে দুজনকেই কঠোর শাস্তি দিতে হবে। শাস্তি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সদুপদেশ ও ভারো নসীহতও করতে হবে। এ আয়াত যখন নাযিল হয়, তখন (হিজরীর তৃতীয়-চতুর্থ বছর পর্যন্ত) যিনা ও লেওয়াতাত উভয়-রকম পাপেরই শাস্তি ছিল এই। জ্বিনার শাস্তির হুকুম পরে নাযিল হয়; কিন্তু লেওয়াতাতের শাস্তিস্বরূপ অন্য কিছু নাযিল হয়নি। ফলে কুরআনবিদদের মধ্যে আয়াতটির প্রয়োগক্ষেত্র নিয়ে কিছুটা মতভেদের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন দেখা দেয়, জ্বিনার এই শাস্তি লেওয়াতাতের ব্যাপারে প্রযোজ্য, না পূর্বশাস্তিই এ ব্যাপারে বহাল রাখা হয়েছে! এর অপরাধীকে কেবল হত্যা করা হবে, না অপর কোনো রকম শাস্তি দেয়া হবে? –অনেক এ আয়াতকে যিনার ব্যাপারেই প্রযোজ্য বলেছেন, অনেকে বলেছেন, লেওয়াতাতের ব্যাপারে প্রযোজ্য। আবার অনেকে এই উভয় প্রকারের অপরাধের শাস্তির ব্যাপারে এ আয়াত প্রযোজ্য বলে মনে করেছেন।

হাদীস শরীফে এ অপরাধের দণ্ড হিসাবে বলা হয়েছেঃ

(আরবী**********************************************************)

যে দুজনকেই তোমরা লেওয়াতাতের (সমমৈথুন) কাজ করতে দেখতে পাবে, তাদেরকেই তোমরা হত্যা করবে।

লেওয়াতাতকারী বিবাহিত কোন কি অবিবাহিত, ইমাম মালিক, ইমাম শাফয়ী, আহমদ ইবনে হাম্বল, ইসহাক ইবনে রাহওয়ায় ও অন্যান্য ফিকাহবিদের মতে তাদের ওপর রজম –পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলার দণ্ড –কার্যকর করতে হবে। হাসান বসরী, ইবরাহীম নখয়ী, আতা ও আবূ রিবাহ প্রমুখ মনীষী বলেছেনঃ

(আরবী************) –জ্বিনাকারীর জন্যে দণ্ডই লেওয়াতাতকারীর দণ্ড।

সুফিয়ান সওরী ও কুফার ফিকাহবিদদের মতও এই। (তিরমিযী, ১ম খণ্ড, ১৮৯ পৃঃ)

(আরবী*************************************)

আমার উম্মতদের সম্পর্কে যেসব বিষয় আমি আশংকা বোধ করি ও ভয় পাচ্ছি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশংকার বিষয় হচ্ছে লেওয়াতাতের পাপে লিপ্ত হওয়া।

বস্তুত তিরমিযী শরীফের এক হাদীসের ঘোষণানুযায়ী লেওয়াতাতকারী আল্লাহর অভিশপ্ত, আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত। হযরত আলী (রা) লেওয়াতাতকারী দুই ব্যক্তিকে আগুনে জ্বালিয়ে হত্যা করেছিলেন। নবী করীম (স) বলেছেনঃ ‘নারী যখন অপর নারীর সংস্পর্শে যৌন তৃপ্তি গ্রহণ করে, তখন তারা দুজনই ব্যভিচারিণী’।

হস্তমৈথুনকারী সম্পর্কে রাসূলে করীম (স) বলেছেনঃ হস্তমৈথুনকারী অভিশপ্ত।

এ দীর্ঘ আলোচনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, প্রত্যেক নারী-পুরুষের স্বাভাবিক যৌন স্পৃহা পরিতৃপ্তির জন্যে আল্লাহ তা’আলা সুষ্ঠু ও পবিত্র পথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আর সে পথ হচ্ছে বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রী-পুরুষের মিলিত হওয়া। এ ছাড়া অন্য যত পথই রয়েছে –মানুষ ব্যবহার করছে –সবই স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ, মনুষ্যত্বের পক্ষে অন্য সব পথই হচ্ছে সর্বতোভাবে মারাত্মক। এজন্যে আল্লাহ তা’আলা নারী-পুরুষের নৈতিক চরিত্র সম্বন্ধে সাবধান ও সতর্ক হতে বলে বিয়ের একমাত্র পথ পেশ করেছেন এবং বিয়ে ছাড়া অন্যান্য সব পথকেই সীমালংঘনকারী বলে ঘোষণা করেছেন। বলেছেনঃ

(আরবী*******************************************************)

আর সফলকাম হবে সে-সব মু’মিন, যারা তাদের যৌন-স্থানকে পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ করে। তারা নিষ্কলংকের সাথে যৌন সম্ভোগ করে কেবলমাত্র তাদের বিয়ে করা স্ত্রীদের সঙ্গে কিংবা ক্রীতদাসীদের সঙ্গে। আর যারা এ নির্দিষ্ট ছাড়া অন্য পথে যৌন অঙ্গের ব্যবহার করবে, তারা নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারী।

এ আয়াত থেকে স্পষ্ট জানা গেল যে, বান্দার কল্যাণ নির্ভর করে তার যৌন অঙ্গের সংরক্ষণ ও ঠিক ব্যবহারের ওপর। এ না হলে বান্দাহর কল্যাণ লাভের আর কোন পথ বা উপায় নেই।

এ আয়াত মোটামুটি তিনটি কথা প্রমাণ করে। যে লোক স্বীয় যৌন অঙ্গের সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবহার করে না, সে কখনই কল্যাণ প্রাপ্ত হতে পারে না। সে অবশ্যই ভৎসিত ও ধিকৃত হবে, সে হবে সীমালংঘনকারী। আর সীমালংঘনকারী মাত্রই কল্যাণ থেকে হবে বঞ্চিত। বরং সে সীমালংঘনের অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হবে।

ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল বলেছেনঃ

(আরবী********************************************)

নরহত্যার পর জ্বিনা-ব্যভিচার অপেক্ষা বড় গুনাহ আর কিছু আছে বলে আমার জানা নেই।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) একদা নবী করীম (সা)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ (আরবী**********) –সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি? রাসূলে করীম (স) বললেনঃ (আরবী********) –আল্লাহ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে কাউকে মেনে নেয়াই হলো সবচেয়ে বড় গুনাহ’। তিনি আরো বললেনঃ তারপরে সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে খাদ্যাভাবের ভয়ে সন্তান হত্যা করা এবং তার পরের বড় গুনাহ হচ্ছেঃ (আরবী*********) –তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তোমাদের ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।

এ থেকে জানা গেল, জ্বিনা মূলতই কবীরা গুনাহ। তবে প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তা করা সবচেয়ে বড় গুনাহ। (আরবী***********)

সূরা আহযাব-এর এক আয়াতাংশৈ যৌন অঙ্গের হেফাযত করা –জায়েয পথে তার ব্যবহার করা এবং অন্য পথে তার ব্যবহার না করা সম্পর্কে অনুরূপ তাগিদ করা হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন।

(আরবী********************************************)

যারা নিজেদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে, তারা পুরুষ হোক কি স্ত্রীলোক –আর যারা খুব বেশী আল্লাহর স্মরণ করে স্ত্রীলোক কি পুরুষ –আল্লাহ তাদের জন্যে বহু বড় সওয়াবের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।

যৌন অঙ্গের অর্থনৈতিক চরিত্রকে পবিত্র রাখা এবং যৌন অঙ্গকে খারাপ পথে ও হারামভাবে ব্যবহার না করা। এ চরিত্র যারা গ্রহণ করবে আর যেসব নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী –আল্লাহর স্মরণ করবে, বিশেষ করে যৌন অঙ্গের ব্যবহারের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ পালন করবে তাদের জন্যে আল্লাহ তা’আলা বড় পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন। ইসলামে নৈতিক চরিত্রের যা মূল্যমান, দুনিয়ার পাপের কোনো ধর্ম বা জীবন বিধানেই তা খুঁজে পাওয়া যাবে না। বরং বলা যায়, অন্য কোন মানবিক বিধানেই তার দৃষ্টান্ত নেই। এ কারণে রাসূলে করীম (স) সব সময়ই নও-মুসলিম নারীর নিকট থেকে যিনা না করার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করতেন। কুরআন মজীদের সূরা ‘আল-মুমতাহিনা’য় এই প্রতিশ্রুতির কথা নিন্মোক্ত ভাষায় উদ্ধৃত হয়েছেঃ

(আরবী************************************)

এবং তারা প্রতিশ্রুতি দিত এই বলে যে, তারা ব্যভিচার করবে না আর তাদের সন্তান হত্যা করবে না।

 

Page 8 of 26
Prev1...789...26Next

© Bangladesh Jamaat-e-Islami

  • আমাদের সম্পর্কে
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • যোগাযোগ
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • বিভাগ ভিত্তিক
    • আল কুরআন
    • আল হাদিস
    • ফিকাহ
    • ঈমান
    • ইসলাম
    • পারিবারিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক
    • আন্দোলন ও সংগঠন
    • সীরাত ও ইতিহাস
    • সীরাতে সাহাবা
    • মহিলাদের বিশেষ বই
    • রাজনীতি
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • রুকন সিলেবাস
    • রুকন সিলেবাস (স্বল্প শিক্ষিত)
    • রুকন সিলেবাস (শিক্ষিত)
  • কর্মী সিলেবাস
  • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (শিক্ষিত)
    • বাৎসরিক পাঠ্যসূচি (স্বল্প শিক্ষিত)
  • উচ্চতর অধ্যয়ন
  • অডিও বই
  • অন্যান্য
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • আলোচনা নোট
    • বইনোট
    • প্রবন্ধ
    • কবিতা
    • বুলেটিন
    • স্মারক
    • ম্যাগাজিন
    • এপস
    • রিপোর্ট বই
    • ছাত্রী সিলেবাস

@BJI Dhaka City South