হাদীসেন বাস্তব অনুসরণ
সাহাবায়ে কিরাম (রা) নবী করীম (স)-এর নিকট হইতে প্রাপ্ত হাদীস কেবল মুখস্থ রাখিয়া ও বৈঠকসমূহে উহার মৌখিক প্রচার ও পর্যালোচনা করিয়াই ক্ষান্ত থাকিতেন না। সেই সঙ্গে তাঁহারা উহাকে বাস্তবে রূপায়িত করিতেও যথাসাধ্য চেষ্টা করিতেন। নবী করীম (স) যখন কোন আকীদা ও নিছক তত্ত্বমূলক কথা বলিয়াছেন,তখন সাহাবায়ে কিরাম তাহা মুখস্থ করিয়া লইয়াছেন, মনে-মগজে উহাকে দৃঢ়ভাবে আসীন করিয়া লইয়াছেন এবং সেই অনুযায়ী নিজ নিজ আকীদা ও বিশ্বাস গড়িয়া তুলিয়াছেন। আর যখন কোন আদেশ-নিষেধমূলক উক্তি করিয়াছেন, কোন কাজ করার আদেশ বা কোন কাজ করিতেন নিষেধ করিয়াছেন, কোন শাসনতান্ত্রিক ফরমান জারী করিয়াছেন, তখন সাহাবায়ি কিরাম (রা) সঙ্গে সঙ্গে উহাকে কাজে পরিণত করিয়াছেন। উহাকে যতক্ষণ নিজেদের নৈমত্তিক অভ্যাসে পরিণত করা না গিয়াছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁহারা উহার চর্চা ও অভ্যাস করিতে চেষ্টার একবিন্দু ক্রিট করেন নাই। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলিয়াছেনঃ
******************************************************
আমাদের কেহ যখন দশটি আয়াত শিক্ষালাভ করিত, তখন উহার অর্থ ভালরূপে হৃদয়ঙ্গম করা ও তদনুযায়ী আমল করার পূর্বে সে আর কিছু শিখিবার জন্য অগ্রসর হইত না।[*************]
ইহার অর্থ এই দাঁড়ায় যে, সাহাবায়ে কিরাম নবী করীম (স)- এর নিকট হইতে যাহা কিছু শিক্ষালাভ করিতেন, তাহা তাঁহারা প্রথমে আমলে আনিবার জন্যই সর্বপ্রযত্নে চেষ্টা করিতেন। ফলে রাসূলের প্রত্যেকটি কথা, আদেশ ও ফরমান সাহাবায়ে কিরাম কর্তৃক অনতিবিলম্বে কার্যকর ও বাস্তবায়িত হইত।
নবী করীম (স)- এর নিম্নলিখিত ধরনের অসংখ্য আদেশবাণী হইতেও এই কথারই প্রমাল মেলে যে, ইসলামের মৌলিক আইন-কানুন সাহাবাদের বাস্তব জীবনে রূপায়িত করিয়া তোলার দিকে নবী করীম (স) নিজে বিশেষ লক্ষ্য রাখিতেন। মুসলিমগণ ব্যক্তিগত জীবনে তাঁহার নির্দেশ মানিয়া চলে কিনা সেদিকে তিনি কড়া নজর রাখিতেন। ইসলামরে ব্যবহারিক আচার-আচরণ ও অনুসরণের উপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হইত। ইসলামী আকীদা ও আইন মুসলমানদের অভ্যাসে ও স্বভাবে পরিণত করার জন্য বিশেষ যত্ন লওয়া হইত। দৃষ্টান্তস্বরূপ রাসূলের অসংখ্য আদেশমূলক বাণীর মধ্য হইতে এখানে দুইটি বাণীর উল্লেখ করা যাইতেছে। তিনি বলিয়াছেনঃ
******************************************************
তোমরা আমাকে যেভাবে নামায পড়িতে দেখ, ঠিক সেইভাবেই নামায পড়।[সহীহ বুখারী, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০৭৬।]
হজ্জ উদযাপন সম্পর্কে নবী করীম (স) বিদায় হজ্জের ভাষণে ইরশাদ করিয়াছেনঃ
******************************************************
তোমরা আমার নিকট হইতে হজ্জ উদযাপনের নিয়ম-কানুন গ্রহণ কর। [[(ক). ******************* মুসলিম শরীফে কথাটি এইভাবে উল্লিখিত হইয়াছেঃ
******************************************************
তোমরা যেন তোমাদের হ্জ্জ উদযাপনের নিয়মাবলী গ্রহণ কর-জানিয়া লও।
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী লিখিয়াছেনঃ
******************************************************
******************************************************
রাসূলের উক্ত কথার ভাবার্থ এই যে, আমার হজ্জ উদযাপনে আমি যেসব কথা, কাজ ও আল্লাহ সম্পর্কিত বিষয়াদি প্রয়োগ করিয়াছি, তাহা্ হজ্জের অনুষ্ঠান ও পরিচয়। তোমাদের জন্যও সেই নিয়ম ও অনুষ্ঠানাদি নির্দিষ্ঠ। অতএব তোমরা উহা আমার নিকট হইতে গ্রহণ কর, কবুল কর। উহা জানিয়া মুখস্থ করিয়া উহা সংরক্ষণ কর, তদনুযায়ী আমল কর, উহা অন্যন্য লোককেও শিক্ষা দাও। ইমাম নববী বলেনঃ হজ্জের অনুষ্ঠানাদি ও নিয়ম প্রণালীর ব্যাপারে ইহা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি ও উৎস। ইহা ঠিক ‘আমাকে যেমন নামায পড়িতে দেখ, তোমরা্ও সেইরূপ পড়’- এই রকমই একটি হুকুম।]]
এই ফরমানদ্বয় হইতে প্রথম প্রমাণিত হয় যে, কুরআন মজীদে নাময, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত-বন্দেগীর সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকিলেও এইসবের বিস্তারিত নিয়ম- কানুন তাহাতে উল্লেখ করা হয় নাই। অতএব তাহা কুরআন-বাহক বিশ্বনবীর নিকট হইতেই গ্রহণ করিতে হইবে।
দ্বিতীয়ত, প্রত্যেকটি কাজের নিয়ম পদ্ধতি শিক্ষাদানের জন্য রাসূল (স) নিজে সেই কাজ করিয়া লোকদের সম্মুখে বাস্তব দৃষ্টান্ত পেশ করিতেন; কিভাবে কাজ করিতে হইবে, তাহা তিনি নিজে কাজ করিয়া দেখাইয়া দিতেন।
শুধু ইহাই নহে, ইবাদনের কাজে কাহারো কোন ভূল-ক্রটি পরিলক্ষিত হইলে রাসূলে করীম (স) তাহা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধনও করিয়া দিতেন, ভূল ধরিয়া দিয়া তাহা শোধরাইবার জন্যও তাকীদ দিতেন। একদিন তিনি মসজিদে নববীতে একজন সাহাবীর নামায পড়া লক্ষ্য করিতেছিলেন। তিনি দেখিলেন, তাঁহার নামায ঠিক নিয়মে হইতেছে না। নামায সমাপ্ত করিয়া তিনি যখন রাসূলের নিকট আসিলেন, তখন তিনি বলিলেনঃ
******************************************************
তুমি ফিরিয়া যাও, আবার নামায পড়, কেননা তুমি নামায পড় নাই।
অর্থাৎ তোমার নামায পড়া হয় নাই, যেভাবে নামায পড়িতে হয় সেভাবে পড় নাই। অতএব পুনরায় নামায পড়। এইভাবে তিন অথবা চারবার নামায পড়িলেও যখন তাঁহার নামায ঠিক নিয়মে সম্পন্ন হইল না, তখন নবী করীম (স) নিজে বাস্তবভাবে নামায পড়ার নিয়ম-কানুন সবিস্তারে শিক্ষা দিলেন।[বুখারী শরীফ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০।]
এইভাবে সাহাবায়ে কিরাম (রা) রাসূলের সম্মুখে ও সংস্পর্শে থাকিয়া ইসলামের আদর্শিক, নীতিগত ও বাস্তব শিক্ষা এবং ট্রেনিং লাভ করিতেন। কুরআনের আয়াত নাযিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাসূলের নিকট হইতে উহা তাঁহারাই সর্বপ্রথম শুনিতে পাইতেন। কুরআনের কোন আয়াতের ব্যাখ্যা ও বাস্তব রূপ সম্পর্কে রাসূল (স) কিছু ইরশাদ করিলে তাহা সর্বপ্রথম তাঁহাদেরই কর্ণগোচর হইত।
অপরদিকে সাহাবয়ে কিরাম (রা) নিজেরাও রাসূলের যাবতীয় কাজ-কর্ম তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অবলোকন করিতে থাকিতেন, মন ও মগজ দ্বারা তাহা অনুধাবন করিতে চেষ্টা করিতেন। নিম্নোক্ত হাদীস কয়টি ইহার প্রমাণস্বরূপ উল্লেখ করা যাইতে পারেঃ
(ক) কিছু সংখ্যক লোক হযরত খাব্বার ইবনুল ইরত (রা)-কে জিজ্ঞাসা করিলঃ রাসূলে করীম (স) জুহরের নামাযে কুরআন পাঠ করিতেন কি? হযরত খাব্বাব বলিলেন, ‘হ্যা’। তখন তাহারা বলিলঃ
******************************************************
নামাযে রাসূলের কুরআন পাঠ করাকে আপনারা পিছনে থাকিয়া কিভাবে জানিতে পারিতেন?
উত্তরে তিনি বলিলেনঃ
******************************************************
তাহার শ্মশ্রুর নড়াচড়া দেখিয়াই আমরা ইহা জানিতে ও বুঝিতে পারিতাম।[বুখারী শরীফ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০৫; আবু দাউদঃ কিতাবুস সালাত, ১ম খণ্ড, মুস্তাদরাক হাকে, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৭৯।]
(খ) হযরত আবূ সায়ীদ খুদরী (রা) বলেনঃ নবী করীম (স) জুহর ও আসরের নামাযে কতক্ষন দাঁড়াইয়া থাকিতেন, তাহা আমরা অনুমান করিয়া দেখিতাম। দেখিতাম, তিনি প্রথম দুই রাকা’আতে তিন আয়াত কুরআন পারে সমান সময় এবং শেষ দুই রাকা’আতে উহার অর্ধেক পরিমাণ সময় দণ্ডায়মান থাকিতেন।[মুসলিম শরীফঃ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৫; আবূ দাউদ, কিতাবুস সালাত, ১ম খণ্ড।]
সাহাবায়ে কিরাম যে রাসূলের আমল দেখিয়াতদনুযায়ী কাজ করিতেন, তাহা নিম্নোক্ত হাদীস হইতে প্রমাণিত হয়ঃ
এক ব্যক্তি হযরত উমর (রা)- কে বলিলেনঃ ‘আমরা কুরআন মজীদে কেবল ভয়কালীন নামাযে (********) ও নিজ বাড়িতে অবস্থানকালীন নামাযের উল্লেখ দেখিতে পাই; কিন্তু সফরকালীন নামাযের কোন উল্লেখ কুরআন মজীদে পাই না। ইহার কারণ কি? উত্তরে তিনি বলিলেনঃ
আমরা দ্বীন সম্পর্কে কিছুই জানিতান না। এইরূপ অবস্থায় আল্লাহ তা’আলা হযরত মুহাম্মদ (স)-কে রাসূল করিয়া পাঠাইলেন; কাজেই এখন আমরা তাঁহাকে যেভাবে দ্বীনের কাজ করিতে দেখি, ঠিক সেইভাবেই উহা পালন করি।[মুসনাদে আহমদঃ ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৫।]
পূর্বোল্লিখিত হাদীসত্রয় হইতে নিম্নলিখিত কথাগুলি সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত হয়ঃ
(ক) দ্বীন সম্পর্কে কাজকমূ রাসূল নিজে যেভাবে করিতেন, সাহাবায়ে কিরামও তাহা ঠিক সেইভাবেই করিতেন; সাহাবায়ে কিরাম রাসূলের ক্থা ও কাজ উভয়েরই হুবহু অনুকরণ করিতেন এবং এইরূপ করিলেই দ্বীন পালিত হইল বলিয়া মনে করিতেন।
(গ) রাসূলে করীম (স) দ্বীনের কোন কাজ কিভাবে করিতেন তাহা লক্ষ্য করা ও অনুসরণ করার জন্য রাসূলে করীম (স) নিজেও সাহাবিগণকে তাকীদ করিতেন এবং সাহাবায়ে কিরামও নিজেদের দ্বীন পালনের গরযে তাহা পূরণ করিতেন। কেননা দ্বীন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভের একমাত্র উপায় ছিল রাসূলের কথা গ্রহণ ও অনুধাবন এবং তাঁহার কাজকে সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করা ও হাতে কলমে তাঁহার নিকট শিক্ষা গ্রহণ করা।
বস্তুত ইসলামের বিস্তারিত ও খুটিঁনাটি নিয়ম-কানুন জানার জন্য ইসলামের প্রথম সমাজ সাহাবায়ে কিরাম অপরিসীম চেষ্টা ও অনুসন্ধিৎসা চালাইতেন। কুরআনী মূলনীতিসমূহের বুনিয়াদে ইসলামের বিস্তারিত ব্যবস্থা এইভাবে রচিত হইয়াছে।
সাহাবায়ে কিরাম (রা) এমন সব কাজেও রাসূলের হুবহু অনুসরণ করিয়া চলিতেন, যাহাতে রাসূলকে অনুস্মরণ করিয়া চলা শরীয়াত অনুযায়ী অপরিহার্যভাবে প্রয়োজন নহে। নবী করীম (স) একবার কেবলমাত্র একখানি চাদর পরিধান করিয়া নামায পড়িয়াছিলেন। প্রসিদ্দ সাহাবী হযরত জাবির একদিন তাহাই করিলেন। তাঁহার ছাত্রগণ তাহা দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেনঃ ‘আপনার নিকট অতিরিক্ত চাদর থাকা সত্ত্বেও আপনি নামাযের সময় উহা ব্যবহার করিলেন না কেন? উত্তরে তিনি বলিলেন, ‘নবী করীম (স) কর্তৃক এইরূপ রুখসত দেওয়া হইয়াছে বলিয়াই আমি এইরূপ করিলাম, যেন তোমরা এই সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হইতে পার’।[মুসনাদে ইমাম আহমদ, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩২৮।]
হযরত বরা ইবনে আযিব (রা) নামাযের প্রত্যেকটি কাজে রাসূলের সহিত সাদৃশ্য স্থাপনের জন্যে প্রণপণে চেষ্টা করিতেন। একদিন তিনি পরিবারবর্গের লোকদিগকে একত্র করিয়া বলিলেনঃ ‘নবী করীম (স) যেভাবে ওযু করিতেন ও নামায পড়িতেন, তাহা আজ আমি তোমাদিগকে দেখাইব। অতঃপর তিনি ওযু করিয়া জুহর, আসর, মাগরিব ও ইশার নামায জামা’আতের সহিত আদায় করিলেন ও প্রত্যেক কাজই নবীর অনুকরণে সম্পন্ন করিলেন। রাসূল (স) কিভাবে রুকূ সিজদা করিতেন, তাহাও তিনি করিয়া দেখাইলেন’।[মুসনাদে ইমাম আহমদ, ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮৮ ও৩০৩।]
হযরত আনাস (রা) দশ বৎসর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে রাসূলে করীম (স)-এর খিদমত করিয়াছেন। রাসূল (স)- কে যখন যেভাবে যে কাজ করিতে দেখিয়াছেন, তিনি সমগ্র জীবন সেই কাজ ঠিক সেইভাবেই সম্পন্ন করিয়াছেন। তাঁহার নামায পড়ার ধরন ও পদ্ধতি দেখিয়া হযরত আবূ হুরায়রা (রা) বলিতেনঃ ‘ইবনে উম্মে সলীম (আনাস) অপেক্ষা রাসূলের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সাদৃশ্যশীল নামায পড়িতে আর কাহাকেও দেখি নাই’। আইনুত্তামার নামক স্থানের বাহিরের ময়দানে তিনি একদা উষ্ট্রের পৃষ্ঠে আরোহী অবস্থায় নামায পড়িতেছিলেন। উষ্ট্র কেবলামুখী দাঁড়ানো ছিল না। ইহা দেখিয়া সাথিগণ আশ্চর্যান্বিত হইয়া ইহার তাৎপর্য জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি বলিলেন, ‘নবী করীম (স)-কে এইরূপ নামায পড়িতে না দেখিলে আমি কখনই এইরূপ পড়িতাম না’। আর একদিন তিনি একখানা কাপড়ের এক দিক পরিধান করিয়া ও অপর দিক গায়ে জড়াইয়া নামায পড়িলেন। নিকটেই একখানা চাদর পড়িয়াছিল। নামায পড়া শেষ হইলে ইবরাহীম ইবন রাবীয়া (তাবেয়ী) ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। উত্তরে হযরত আানস (রা) বলিলেনঃ ‘আমি নবী করীম (স)-কে ঠিক এইরূপেই নামায পড়িতে দেখিয়াছি’।ফরয কাজ ছাড়া ওয়াজিব ও সুন্নাতের ব্যাপারেও তিনি নবী করীমের হুবহু অনুকরণ ও অনুসরণ করিতেন। নবী করীম (স)- এর মহান পবিত্র জীবন, জীবনের প্রত্যেকটি কাজ ও পদক্ষেপ ছিল তাঁহার এবং তাঁহার ন্যায় সহস্র লক্ষ সাহাবীর নিকট হিদায়াতের উজ্জ্বলতম আলোকস্তম্ভ।
বস্তুত সাহাবীদের এইরূপ অনুসরণের মাধ্যমেই রাসূলের প্রত্যেকটি কথা ও কাজ এবং কাজের বিবরণ চিরদিনের জন্য সুরক্ষিত রহিয়াছে, রাসূলের তৈরী করা সমাজ তাহা কোন দিনই ভুলিয়া যাইতে পারে নাই। রাসূলের হাদীস সংরক্ষণের ইহা এক অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।