এতেকাফের অর্থ
অভিধানে কোনো স্থানে আটকে পড়া অথবা কোনো স্থানে থেমে যাওয়াকে এতেকাফ বলে। শরীয়াতের পরিভাষায় এতেকাফের অর্থ কোনো লোকের দুনিয়ার সংস্রব, সম্বন্ধ ও বিবি বাচ্চা থেকে আলাদা হয়ে মসজিদে অবস্থান করা।
এতেকাফের মর্মকথা
এতেকাফ হচ্ছে এই যে, মানুষ দুনিয়াবি কারবার ও সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং সাংসারিক কর্ম ব্যস্ততা ও প্রবৃত্তির কামনা বাসনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চিন্তা ও কাজের শক্তি এবং যোগ্যতাকে আল্লাহর স্মরণ এবং ইবাদাতে লাগিয়ে দেবে। তারপর সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আল্লাহর প্রতিবেশী হয়ে পড়বে। এ কাজের দ্বারা একদিকে সে ব্যক্তি সকল প্রকার বেহুদা কথাবার্তা ও মন্দ কাজ থেকে বেচে থাকতে পারবে এবং অন্যদিকে আল্লাহর সাথে তার সম্পর্ক মজবুত হবে। তার নৈকট্য লাভ করবে এবং তার ইয়াদ ও ইবাদাতে মনে শান্তি লাভ করবে। কয়েকদিনের তারবিয়াতের এ আমল তার মনের ওপর এমন গভীর ছাপ ফেলবে যে, চারিদিকে দুনিয়ার রং তামাশা ও মন ভুলানো বস্তুসমূহ দেখার পরও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক মজবুত রাখতে পারবে। আল্লাহর নাফরমানি থেকে বাচতে পারবে এবং তার হুকুম পালন করে আনন্দ অনুভব করবে। এমনিভাবে সমগ্র জীবন আল্লাহর বন্দেগীতে কাটিয়ে দেবে।
এতেকাফের প্রকারভেদ
এতেকাফ তিন প্রকার ওয়াজিব, মুস্তাহাব, সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
ওয়াজেব এতেকাফ
মানতের এতেকাফ ওয়াজিব। কেউ এমনি এতেকাফের মানত করলো অথবা কোনো শর্তসহ মানত করলো যেমন কেউ বললো, যদি আমি পরীক্ষায় পাশ করি, অথবা যদি আমার অমুক কাজ হয়ে যায় তাহলে এতেকাফ করবো। তাহলে এ এতেকাফ ওয়াজিব হবে এবং তা পূরণ করতে হবে।
মুস্তাহাব এতেকাফ
রমযানে শেষ দশদিন ব্যতিরেকে যতো এতেকাফ করা হবে তা মুস্তাহাব হবে তা রমযানের প্রথম অথবা দ্বিতীয় দশদিনে অথবা যে কোনো মাসে করা হোক।
সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এতেকাফ
রমযানের শেষ দশ দিনে এতেকাফ করা সুন্নাত মুয়াক্কাদাহ কেফায়া। অর্থাৎ মুসলমানদের সামষ্টিকভাবে এ সুন্নাতের ব্যবস্থাপনা করা উচিত কারণ হাদীসগুলোতে এ বিষয়ে তাকীদ করা হয়েছে।
কুরআন পাকে আছেঃ
*******আরবী*********
আপন স্ত্রীদের সাথে মিলিত হইও না যখন তোমরা মসজিদে এতেকাফ থাকবে। (সূরা আল বাকারাঃ ১৮৭)
নবী (স) নিয়মিতভাবে প্রতি বছর এতেকাফ করতেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি তা পালন করেন। একবার কোনো কারণে এতেকাফ করতে পারেননি বলে পরের বছর বিশদিন পর্যন্ত এতেকাফ করেন। এজন্যে মুসলমানগণ যদি সামষ্টিকভাবে এ সুন্নাত পরিত্যাগ করে তাহরে গোনাহগার হবে। যদি বস্তির কিছু লোকও এ সুন্নাত পালনের ব্যবস্থাপনা করে তাহলে, যেহেতু তা সুন্নাতে কেফায়া, এ অল্প লোকের এতেকাফ সকলের জন্যে যথেষ্ট হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হবে যদি গোটা মুসলিম সমাজ এর থেকে বেপরোয়া হয়ে পড়ে এবং নবীর এ প্রিয় সুন্নাতটি একেবারে টিমে যাবে।
হযরত আয়েশা (রা) বলেন, নবী (স) প্রতি রমযানের শেষ দশদিন এতেকাফ করতেন। এ আমল তার মৃত্যু পর্যন্ত কায়েম থাকে। তার এন্তেকালের পর তার বিবিগণ এতেকাফের নিয়ম পালন করেন। (বুখারী, মুসলিম)
হযরত আনাস (রা) বলেন, নবী (স) প্রতি রমযানের শেষ দশদিন এতেকাফ করতেন। এক বছর তিনি এতেকাফ করতে পারেন নি। সে জন্যে পরের বছর বিশদিন এতেকাফ করেন। (তিরমিযি)
সবচেয়ে উৎকৃষ্ট এতেকাফ
মসজিদুল হারামে এতেকাফ করলে তা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট এতেকাফ। তারপর মসজিদে নববীতে এবং তারপর বায়তুল মাকদেসে। তারপর উৎকৃষ্ট এতেকাফ হয় কোনো জামে মসজিদে করলে যেখানে রীতিমতো জামায়াতে নামায হয়। তারপর মহল্লার মসজিদে যেখানে জামায়াতে নামায হয়।
এতেকাফের শর্ত
এতেকাফের চারটি শর্ত রয়েছে যা ব্যতিরেকে এতেকাফ সহীহ হবে না।
১। মসজিদে অবস্থান
পুরুষের জন্যে জরুরী যে, সে মসজিদে এতেকাফ করবে তাতে পাঁচ ওয়াক্ত জামায়াতসহ নামায হোক বা না হোক। (ইমাম আবু হানিফা (র) এর নিকটে এটা জরুরী যে, যে মসজিদে জামায়াত হয় তাতে এতেকাফ করতে হবে। ইমাম মুহাম্মাদ (রা) ও ইমাম আবু ইউসুফ (র) এর মতে প্রত্যেক মসজিদেই এতেকাফ দুরস্ত হবে। সে যুগে এর ওপরেই ফতোয়া হয়।-দুরুরল মুখতার)মসজিদ ছাড়া পুরুষের এতেকাফ সহীহ হবে না।
২। নিয়ত
অন্যান্য ইবাদাতের জন্যে যেমন নিয়ত শর্ত তেমনি এতেকাফের জন্যে নিয়ত শর্ত। নিয়ত ছাড়া এতেকাফ হবে না নিয়ত ছাড়া এমনি যদি কেউ মসজিদে অবস্থান করে তাহলে এ অবস্থান এতেকাফ হবে না। তারপর এটাও ঠিক যে ইবাদাতের নিয়ত তখন মাত্রই সহীহ হতে পারে যখন নিয়তকারী মুসলমান হয়। তার জ্ঞান থাকতে হবে। বেহুশ বা পাগলের নিয়ত ধরা যাবে না।
৩। হাদীসে আকবর থেকে পাক হওয়া।
অর্থাৎ নারী পুরুষের গোসল ফরয হলে তা করে শরীর পাক করে নেবে এবং নারী হায়েয নেফাস থেকে পাক হবে।
৪। রোযা
এতেকাফ রোযা রাখাও শর্ত। অবশ্য তা শুধু ওয়াজিব এতেকাফের জন্যে। মুস্তাহাব এতেকাফের জন্য রোযা শর্ত নয়। আর সুন্নাত এতেকাফের জন্যে রোযা শর্ত এজন্য নয় যে, তাও রমযান মাসেই করতে হবে।
এতেকাফের নিয়মনীতি
১. ওয়াজিব এতেকাফ অন্ততপক্ষে একদিনের জন্যে হতে পারে। তার কম সময়ের জন্যে হবে না এজন্য ওয়াজিব এতেকাফ রোযা শর্ত।
২. ওয়াজিব এতেকাফ রোযা শর্ত বটে। কিন্তু এটা জরুরী নয় যে, সে রোযা খাস করে এতেকাফের জন্যে করতে হবে। যেমন কেউ রমযান মাসে এতেকাফের মানত করলো। তাহলে এতেকাফ সহীহ হবে। রমযানের রোযাই এতেকাফের জন্যে যথেষ্ট। অবশ্য এটা জরুরী যে এতেকাফে যে রোযা রাখা হবে তা ওয়াজিব হতে হবে, নফল নয়।
৩. ওয়াজিব এতেকাফের মুদ্দত কমপক্ষে একদিন এবং বেশী যতো ইচ্ছা হতে পারে।
৪. মুস্তাহাব এতেকাফের কম মুদ্দত নির্ধারিত নেই, কয়েক মিনিটের এতেকাফও হতে পারে।
৫. ওয়াজিব এতেকাফের জন্যে যেহেতু রোযা শর্ত সেজন্যে কেউ যদি রোযা না রাখার নিয়ত করে তবুও রোযা রাখা অপরিহার্য হবে এবং এজন্যে যদি কেউ শুধু রাতের জন্যে এতেকাফের নিয়ত করে তা অর্থহীন হবে।
৬. যদি কেউ রাত ও দিনের এতেকাফের নিয়ত করে অথবা কয়েক দিনের এতেকাফের নিয়ত করে তাহলে রাত তার মধ্যে শামিল মনে করতে হবে এবং রাতেও এতেকাফ করতে হবে। তবে যদি এক দিনের এতেকাফের মানত করা হয় তাহলে সারাদিনের এতেকাফ ওয়াজিব হবে রাতের এতেকাফ ওয়াজিব হবে না।
৭. মেয়েদের নিজ ঘরেই এতেকাফ করা উচিত। তাদের মসজিদে এতেকাফ করা মকরূহ তানযিহী। সাধারণত ঘরে যে স্থানে তারা নামায পড়ে তা পর্দা দিয়ে ঘিরে নেবে এবং এতেকাফের জন্যে তা নির্দিষ্ট করে নেবে।
৮. রমযানের শেষ দশদিনে যেহেতু এতেকাফ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ কেফায়া, এজন্যে সেটা করা উচিত যাতে বাড়ির কিছু লোক অবশ্যই এর ব্যবস্থা করতে পারে। যদি এর প্রতি অবহেলা করা হয় এবং মহল্লার কেউ যদি এতেকাফ না করে তাহলে সকলেই গোনাহগার হবে।
৯. ওয়াজিব এতেকাফ যদি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে তার কাযা ওয়াজিব হবে। অবশ্য সুন্নাত মুস্তাহাব এতেকাফের কাযা নেই।
এতেকাফের মসনুন সময়
এতেকাফের মসনুন সময় রমযানের ২০ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছু পূর্ব থেকে শুরু হয় এবং ঈদের চাঁদ দেখার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়। তা চাঁদ ২৯শে রমযান উদয় হোক না কেন অথবা ৩০শে রমযানে যে কোনো অবস্থায় মসনুন এতেকাফ পূর্ণ হয়ে যাবে।
এতেকাফকারী ২০শে রমযান সূর্যাস্তের পূর্বে মসজিদে পৌছবে এবং মেয়ে মানুষ হলে বাড়ীর নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাবে যা সে নামাযের জন্যে নির্দিষ্ট করে রেখেছে। ঈদের চাঁদ উদয় না হওয়া পর্যন্ত এতেকাফের স্থান থেকে বের হবে না। তবে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে, যেমন পেশাব-পায়খানা অথবা ফরয গোসল প্রভৃতি কাজে অথবা শরীয়াতের প্রয়োজন যেমন জুমার নামায প্রভৃতির জন্যে বের হওয়া জায়েয। কিন্তু প্রয়োজন পূরণের সাথে সাথেই এতেকাফের স্থানে ফিরে যেতে হবে।
ওয়াজিব এতেকাফের সময়
ওয়াজিব এতেকাফের জন্য যেহেতু রোযা শর্ত সে জন্য তার কমসে কম সময় একদিন। একদিনের কম কয়েক ঘন্টার জন্য এতেকাফের মানত অর্থহীন, কারণ রোযার সময়ই হচ্ছে সুবেহ সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
মুস্তাহাব এতেকাফের সময়
নফল এতেকাফ যে কোনো সময় হতে পারে। না এর জন্যে রোযা শর্ত আর না কোনো বিশেষ মাস বা সময়। যখনই কেউ মসজিদে থাকে নফল এতেকাফের নিয়ত করতে পারে। মসজিদে যে সময়টুকুই থাকবে তার সওয়াব পাবে।
এতেকাফের সময়ে মুস্তাহাব কাজ
১. যিকির আযকার করা দীনের মাসয়ালা মাসায়েল ও এলেম কালামের উপর চিন্তা ভাবনা করা। তসবিহ তাহলিল লিপ্ত থাকা।
২. কুরআন তেলাওয়াত ও তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা।
৩. দরূদ শরীফ ও অন্যান্য যিকির করা।
৪. দীন সম্পর্কে পড়াশুনা করা ও পড়ানো।
৫. ওয়াজ ও তাবলীগ করা।
৬. দীন সম্পর্কিত বই পুস্তক রচনায় লিপ্ত থাকা।
এতেকাফের মধ্যে যেসব কাজ করা জায়েয
১. পেশাব পায়খানার জন্যে বাইরে যাওয়া জায়েয। মনে রাখতে হবে এসব প্রয়োজন এমন স্থানে পূরণ করতে হবে যা মসজিদের নিকটে হয়। মসজিদের নিকটে এমন স্থান আছে কিন্তু তা বেপর্দা অথবা অত্যন্ত নোংরা। তাহলে আপন বাড়ীতে পেশাব পায়খানার জন্যে যাওয়ার অনুমতি আছে।
২. ফরয গোসলের জন্যেও এতেকাফের স্থান থেকে বাইরে যাওয়া জায়েয। তবে মসজিদেই গোসল করার ব্যবস্থা থাকলে সেখানেই গোসল করতে হবে।
৩. খানা খাওয়ার জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়া যায় যদি খানা নিয়ে আসর কোনো লোক না থাকে। খানা আনার লোক থাকলে মসজিদে খাওয়াই জরুরী।
৪. জুমা ও ঈদের নামাযের জন্যেও বাইরে যাওয়া জায়েয। আর যদি এমন মসজিদে এতেকাফ করা হয় যেখানে জামায়াত করা হয় না। তাহলে পাঞ্জেগানা নামাযের জন্যে অন্যত্র যাওয়া জায়েয।
৫. যদি কোথাও আগুন লাগে, অথবা কেউ পানিতে পড়ে ডুবে যাচ্ছে অথবা কেউ কাউকে মেরে ফেলছে অথবা মসজিদ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তাহলে এসব অবস্থায় এতেকাফের স্থান থেকে বাইরে যাওয়া শুধু জায়েযই নয় বরঞ্চ জরুরী। কিন্তু এতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
৬. কেউ যদি কোনো প্রাকৃতিক প্রয়োজনে যেমন জুমার নামাযের জন্যে বের হলো এবং এ সময়ে সে কোনো রোগীর সেবা করলো অথবা জানাযায় শরীক হলো তাহলে তাতে কোনো দোষ হবে না।
৭. যে কোনো প্রাকৃতিক অথবা শরীয়াতের প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয।
৮. জুমার নামাযের জন্যে এতটা পূর্বে যাওয়া, যাতে করে তাহিয়্যাতুল মসজিদ এবং জুমার সুন্নাতগুলো নিশ্চিন্তে পড়া যায়, জায়েয আছে। সময়ের আন্দায এতেকাফকারীর ওপর নির্ভর করে।
৯. কাউকে যদি জোর করে এতেকাফের স্থান থেকে বের করে দেয়া হয় অথবা কেউ তাকে যদি বাইরে আটক রাখে তাহলেও এতেকাফ শেষ হয়ে যাবে।
১০. যদি কাউকে কোনো ঋণদাতা বাইরে আটক করে অথবা সে ব্যক্তি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এতেকাফের স্থানে পৌছাতে বিলম্ব হয়ে যায় তবুও এতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
১১. যদি কেনাবেচার কোনো লোক না থাকে এবং বাড়ীতে খাবার কিছু না থাকে তাহলে প্রয়োজনমত কেনাবেচা করা এতেকাফকারীর জায়েয।
১২. আযান দেয়ার জন্যে মসজিদের বাইরে যাওয়া জায়েয।
১৩. যদি কেউ এতেকাফ করার নিয়ত করতে গিয়ে এ নিয়ত করে যে, সে জানাযার জন্যে যাবে তাহলে যাওয়া জায়েয। অন্য নিয়ত করলে তার জন্যে যাওয়া জায়েয হবে না।
১৪. এতেকাফ অবস্থায় কাউকে দীন সম্পর্কে পরামর্শ অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়া জায়েয। বিয়ে করা, ঘুমানো এবং আরাম করা জায়েয।
এতেকাফে যেসব কাজ না জায়েয
১. এতেকাফ অবস্থায় যৌনক্রিয়া করা এবং স্ত্রীকে আলিঙ্গন করা ও চুমো দেয়াতে বীর্যপাত না হলে এতেকাফ নষ্ট হবে না।
২. এতেকাফ অবস্থায় কোনো দুনিয়ার কাজে লিপ্ত হওয়া মাকরূহ তাহরিমী। বাধ্য হয়ে করলে জায়েয হবে।
৩. এতেকাফ অবস্থায় একেবারে চুপচাপ বসে থাকা মাকরূহ তাহরিমী। যিকির ফিকির, তেলাওয়াত প্রভৃতিতে লিপ্ত থাকা উচিত।
৪. মসজিদে বেচাকেনা করা। লড়াই-ঝগড়া করা, গীবত করা অথবা কোনো প্রকার বেহুদা কথা বরা মাকরূহ।
৫. কোনো প্রাকৃতিক ও শরয়ী প্রয়োজন ব্যতিরেকে মসজিদের বাইরে যাওয়া অথবা প্রাকৃতিক ও শরয়ী প্রয়োজনে বাইরে গিয়ে সেখানেই থেকে যাওয়া জায়েয নয়। তাতে এতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।