সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ
সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ আশি তোলা সেরের হিসেবে এক সের তিন ছটাক গমের আটা (মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর মতে- একজনের সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ এক সের সাড়ে বার ছটাক। সাবধানতার জন্যে দু সের দেয়া ভালো) যব বা যবের আটা, অথবা খুরমা, মুনাক্কা দিতে হলে গমের দ্বিগুণ দিতে হবে। (নবী (স) এর যুগে সম্ভবত যব এবং খুরমা মুনাক্কার মূল্য সমান ছিল)
সদকায়ে ফিতরের বিভিন্ন মাসায়েল
১. যে ব্যক্তি কোনো কারণে রমযানের রোযা রাখতে পারেনি, তারও সদকায়ে ফিতর দেয়া ওয়াজিব। সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়ার জন্যে রোযা শর্ত নয়।
২. সদকায়ে ফিতর খাদ্য শস্যের আকারেও দেয়া যায়, তার মূল্যও দেয়া যায়। দেয়ার সময় ফকীর মিসকিনদের সুবিধা বিবেচনা করে খাদ্য শস্য বা মূল্য দেয়া উচিত।
৩. গমের পরিবর্তে অন্য কিছু যেমন জোয়ার, বাজরা, ছোলা, মটর প্রভৃতি দেয়ার ইচ্ছা থাকলে গম অথবা যবের মূল্যে পরিমাণ হওয়া উচিত।
৪. একজনের সদকায়ে ফিতর একজন ফকীরকেও দেয়া যায় এবং কয়েকজনকেও দেয়া যায়। তেমনি কয়েকজনের ফিতরা একজনকেও দেয়া যায় এবং কয়েকজনকেও দেয়া যায়।
৫. কারো কাছে কিছু গম এবং কিছু যব আছে। তাহলে হিসেব করে সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ পূর্ণ করে দেবে।
৬. প্রয়োজন হলে ফিতরা অন্যস্থানেও পাঠানো যায়। তবে ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া অন্যত্র না পাঠানো উচিত।
৭. সদকায়ে ফিতরের ব্যয়ের খাতও তাই, যাক যাকাতের।