পরিশিষ্ট-২
যে যে ঘটনা সর্বপ্রথম ও সবার আগে
– নবুয়তের সূচনাঃ ৯ই রবিউল আউয়াল, জন্মবর্ষ বা বয়স-৪১।
– কোরআন নাযিল হওয়ার সূচনাঃ সূরা আলাক, ১৮ই রমযান, নবুয়ত বর্ষ-১।
– সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ পূর্বক রসূল সা. এর সহকর্মীরূপে যোগদানকারী।
১. নারী ও পুরুষের সম্মিলিতভাবেও এবং শুধু নারীদের মধ্যেও সর্বপ্রথম হযরত খাদীজা রা.।
২. পরিপক্ক জ্ঞান সম্পন্ন ও সচেতন স্বাধীন পুরুষদের মধ্যে হযরত আবু বকর রা.।
৩. নবীন যুবকদের মধ্যে হযরত আলী রা.।
৪. দাস শ্রেণীর মধ্যে হযরত যায়েদ বিন হারেসা রা. (রসূল সা. এর গোলাম ও পরে মুক্ত)
– হযরত খাদীজার পরে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী মহিলাঃ লুবাবা বিনতুল হারেস। ইনি হযরত আব্বাসের স্ত্রী ছিলেন।
– হযরত আরাকামের বাড়ী কেন্দ্রিক দাওয়াতের সময় প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীঃ আকেল বিন বুকাইর রা.।
– ইসলামী আন্দোলনের প্রথম কেন্দ্রঃ সাফা পর্বতে অবস্থিত দারে আরকাম (হযরত আরকামের বাড়ী)
– সর্বপ্রথম প্রকাশ্য ভাষণঃ সাফা পর্বতে নবুয়তের তৃতীয় বছর।
সর্বপ্রথম যে আয়াত কাফেররা ক্ষিপ্ত হয়-
(*******)
– রসূল সা. এর পর যে সাহাবী সর্বপ্রথম নিজের ইসলাম প্রকাশ করেন, তিনি হচ্ছেন হযরত খাব্বাব ইবনুল আরত তামীমী।
– সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামী পরিবারঃ হযরত আবু বকর সিদ্দীকের পরিবার।
– সর্বপ্রথম যে মহিলা আশৈশব মুসলিম পিতামাতার কোলে বেড়ে ওঠেনঃ হযরত আয়েশা রা.।
– ইসলামী উদ্দীপনায় সর্বপ্রথম অনিচ্ছাকৃত হত্যাঃ হযরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের হাতে জনৈক কাফের নিহত হয়। ঘটনাটা ছিল এই যে, মক্কার বাইরে গিয়ে মুসলমানরা নামায পড়ছিল। কাফেররা এই সময় তাদেরকে উত্যক্ত করলে হযরত সা’দ একখানা হাড্ডি তাদের দিকে ছুঁড়ে মারেন। হাড্ডিটা গায়ে লেগে এক কাফের তৎক্ষণাত মারা যায়।
– রসূল সা. এর ভাষায় হযরত ইবরাহীম ও হযরত লুত আ. এর পর সর্বপ্রথম আল্লাহর পথে হিজরতকারী মুসলিম দম্পতি ছিলেন আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী রসূল সা. এর মেয়ে রুকাইয়া ও জামাতা হযরত উসমান রা.।
– ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম উত্তোলিত পতাকাঃ হযরত বারীদা আসলামীর হাতে উত্তোলিত পতাকা। এ সময় তিনি হিজরতে যাচ্ছিলেন।
– যে সাহাবী সর্বপ্রথম কাবা শরীফের সামনে প্রকাশ্যে উচ্চস্বরে কালেমা পড়ে ইসলাম গ্রহণ করে কাফেরদের গণপিটুনির শিকার হন, তিনি হচ্ছেন হযরত আবু যর গিফারী রা.।
– যিনি সর্বপ্রথম নিজের ইসলাম গ্রহণকে জোরদারভাবে প্রকাশ করেন, তিনি হযরত ওমর রা.।- যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করায় সর্বপ্রথম কা’বা শরীফে নামায পড়া শুরু হয়ঃ হযরত ওমর রা.
– যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার পর কাফেররা সর্বপ্রথম অনুভব করে যে, ইসলামী আন্দোলন শক্তিশালী হয়েছে, তিনি হচ্ছেন হযরত হামযা রা.।
– সর্বপ্রথম মদিনার মুসলিম নেতা, যিনি মক্কার কাফেরদের হাতে মার খানঃ হযরত সা’দ বিন মুয়ায রা.।
– হারাম শরীফে শাহাদাত লাভকারী প্রথম মুসলিমঃ হযরত হারেস বিন আবি হালা।
– চরম নির্যাতনে শাহাদাত বরণকারী প্রথম মুসলিম মহিলাঃ হযরত ইয়াসারের স্ত্রী ও হযরত আম্মারের মা হযরত সুমাইয়া রা.।
– যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম বনু হাশেমের বিরুদ্ধে কাফেরদের বয়কট চুক্তি বাতিল করার চেষ্টা চালানঃ হিশাম বিন আমর বিন রবিয়া।
– সর্বপ্রথম যে মুসলিমের চোখ ইলামের পথে শহীদ হয়ঃ হযরত উসমান ইবনে মাযউন রা.। কোরায়েশদের মজলিশে লাবীদের একটা ইসলাম বিরোধী কবিতায় তিনি আপত্তি করলে তাঁর চোখ ফুটো করে দেয়া হয়।
– সর্বপ্রথম মদীনায় হিজরতকারী মুসলমানঃ হযরত আবু মুসলিমা রা.।
– প্রথম মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীঃ আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী উবাইদ বিন জাহশ। ওখানে গিয়ে সে খৃষ্টান হয়ে যায়।
– ইসলামের প্রতিরক্ষায় সর্বপ্রথম তীর নিক্ষেপকারীঃ হযরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস রা.। আবদুল হারেসের নেতৃত্বে পরিচালিত সেনাদলে তিনি শত্রুকে লক্ষ্য করে তীর ছোঁড়েন। কিন্তু এতে কেউ হতাহত হয়নি।
– ইসলামের প্রতিরক্ষায় সর্বপ্রথম অসি চালনাকারীঃ হযরত যুবায়ের ইবনুল আওয়াম।
– আবিসিনিয়ায় দ্বিতীয়বার হিজরতে প্রথম মোহাজেরঃ হযরত জাফর বিন আবু তালেব।
– রসূল সা. এর দাওয়াতে প্রভাবিত মদিনার প্রথম যুবকঃ সুয়াইদ বিন সামেত।
– হিজরতের পর মদিনায় সর্বপ্রথম ওফাতপ্রাপ্ত আনসারী সাহাবীঃ কুলসুম ইবনুল হাদাম, যার কোবাস্থ বাড়ীতে রসূল সা. হিজরতের পর কয়েকদিন অবস্থান করে।
– ইসলামী আত্মমর্যাদাবোধের ভিত্তিতে সংঘঠিত প্রথম ব্যক্তিগত হত্যাকান্ড, নারীঃ আসমা বিনতে মারওয়ান খাতামিয়া। এই মহিলা স্বীয় গোত্রের লোকদেরকে সব সময় রসূল সা. এর বিরুদ্ধে উস্কানী দিত এবং কুৎসা রটাতো। এক পর্যায়ে তার ইসলাম গ্রহণকারী ভাই হযরত উমাইর বিন আদী আল খাতামী উত্তেজিত হয়ে তাকে হত্যা করে। (রমযান, হিঃ ২)
– ইসলামী আত্মমর্যাদাবোধের ভিত্তিতে সংঘঠিত সর্বপ্রথম ব্যক্তিগত হত্যাকান্ড, পুরুষঃ ইহুদী আবু গাফলা। সে রসূল সা. ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত থাকতো। হযরত আলেম ইবনে উমায়ের আনসারী উত্তেজিত হয়ে তাকে হত্যা করেন।
– মদিনায় সর্বপ্রথম ইসলামী শিক্ষক নিয়োগঃ হযরত মুসায়াব ইবনে উমাইরকে (ইবনে উম্মে মাকতুম সহযোগে) রসূল সা. আনসার প্রতিনিধি দলের সাথে মদিনায় পাঠান। (নবুয়ত বর্ষ-১৪)
আকাবার দ্বিতীয় বায়য়াতে সর্বপ্রথম বায়াতকারী আনসারী সাহাবীঃ বরা বিন মারূর।
– মদিনায় সর্বপ্রথম সামষ্টিক কোরআন শিক্ষার আসরঃ মসজিদে বনী রিযীকে অনুষ্ঠিত হয়। (সম্ভবত এটি কোন পূর্ণাঙ্গ মসজিদ ছিলনা। কেবল নামায পড়ার জায়গা ছিল।
– সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ মসজিদ নির্মাণঃ মসজিদে কোবা, এটি ৮ থেকে ১১ই রবিউল আউয়াল, হিজরী ১ সালে নির্মিত হয়।
– রসূল সা. এর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত প্রথম জুমার নামাযঃ হিজরী ১ সনের ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে বনী সালেম গোত্রের এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে নামাযীর সংখ্যা ছিল একশো জন।
– মদীনায় এক সাথে গোটা গোত্রের ইসলাম গ্রহণের প্রথম ঘটনাঃ বনু আব্দুল আশহাল। এই গোত্রের কেবলমাত্র এক ব্যক্তি কিছু পরে ইসলাম গ্রহণ করেছিল।
– ইসলামী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে টহল দেয়ার জন্য বহির্গত সর্বপ্রথম সেনাদলঃ হযরত হামযর নেতৃত্বে গঠিত সেনাদল হিজরতের ৭ম মাসে সাইফুল বাহর পর্যন্ত টহল দেয়।
– ইসলামী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় সর্বপ্রথম পতাকা বহনকারীঃ আবু মুরছাদ আল-গানাবী।
– রসূল সা. এর প্রথম প্রত্যক্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপঃ ওয়াদ্দান বা আবওয়া অভিযান। হিজরতের দ্বাদশ মাসে এটি সংঘটিত হয়।
– মদীনায় রসূল সা. এর নিযুক্ত প্রথম ভারপ্রাপ্ত শাসকঃ সা’দ বিন উবাদা রা. (ওয়াদ্দান অভিযানের সময়)।
– রসূল সা. এর সওয়ারীতে প্রথম পতাকা ওড়ানোর গৌরবের অধিকারীঃ হযরত হামযা, ওয়াদ্দান অভিযানে।
– কোরায়েশের পক্ষ থেকে ইসলামী রাষ্ট্রের ওপর প্রথম আগ্রাসী তৎপরতা পরিচালনাকারীঃ কারয বিন জাবের ফেহরীর ডাকাতি (রবিউল আউয়াল হিঃ২)।
– প্রথম সীমান্ত সংঘর্ষ যাতে শত্রুপক্ষীয় একজন নিহত হয়ঃ নাখলা অঞ্চলে টহলরত সেনাদলের সদস্য ওয়াকেদ বিন আবদুল্লাহ তামিমীর তীর নিক্ষেপে জনৈক কাফের নিহত হয়। (রজব, হিঃ ২)
– গণিমত ও বন্দী সব মদিনায় নিয়ে আসার প্রথম ঘটনাঃ নাখলা অঞ্চলের উপরোক্ত ঘটনা।
– আযানের সূচনাঃ হিজরী ২ সালে।
– কা’বা শরীফে প্রথম আযানঃ মক্কা বিজয়ের সময় হযরত বিলাল কর্তৃক প্রদত্ত।
– সর্বপ্রথম মিথ্যা নবুয়তের দাবীদারঃ মুসাইলাম কাযযাব।
– সর্বপ্রথম লিখিত নিরাপত্তা পত্র, যা রসূল সা. প্রদান করেনঃ সুরাকা বিন জা’শাম এর জন্য (হিজরতের সফরের সময়)।
– দুনিয়ার প্রথম আনুষ্ঠানিক লিখিত যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধানঃ হিঃ ১ সনে মদিনায় রসূল সা. কর্তৃক রচিত ও প্রবর্তিত।
– মদিনার বাইরে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম মৈত্রী চুক্তিঃ বনু যামরার নেতা আমর বিন ফাহশী যামরীর সাথে বা বনু যামরা গোত্রের সাথে।
– ইসলাম গ্রহণের দায়ে প্রথম ক্রুশবিদ্ধ হয়ে শহীদঃ হযরত খুবাইব ইবনে আদী ও যায়দ বিন দাসনা।(মক্কার নিকটবর্তী) তানয়ীমে।
– মদীনায় ইহুদীদের প্রথম বিদ্রোহাত্মক ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক তৎপরতাঃ বনূ কাইনুকা কর্তৃক জনৈক মুসলিম নারীকে প্রকাশ্যে বাজারে উলংগ করে দেয়ায় ইহুদী-মুসলিম দাংগা।
– প্রথম মুক্তি ইসলামী শিবিরঃ সাইফুল বাহরে হযরত আবু বসীর ও আবু জানদাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শিবির।
– মক্কা বিজয়ের সময় সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেঃ আবু সুফিয়ান বিন হারেস বিন আবদুল মুত্তালিব।
– প্রথম আনুষ্ঠানিক যুদ্ধঃ বদর যুদ্ধ (রমযান হিঃ২)।
– সর্বপ্রথম যে যুদ্ধে আনসার ও মোহাজেরগণ একত্রে অংশগ্রহণ করেনঃ বদর যুদ্ধ।
– বদরের ময়দানে মুসলিম বাহিনীর প্রথম তিনজন লড়াকু মোজাহেদঃ হযরত আলী, হযরত হামযা, হযরত ওবায়দা বিন হারেস বিন আবদুল মুত্তালিব।
– বদর যুদ্ধে প্রথম নিহত শত্রুঃ আসওয়াদ বিন আব্দুল আসাদ।
– বদর যুদ্ধে প্রথম শহীদঃ হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাবের মুক্ত গোলাম মিহজা।
– মদিনায় বদর জয়ের সুসংবাদ বাহক প্রথম দূতঃ যায়দ বিন হারেসা রা.।
– প্রথম ঈদুল ফিতরের নামাযঃ ১লা শওয়াল হিজরী-২।
– ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম দূত, যাকে পথিমধ্যে হত্যা করা হয়ঃ হারেস বিন উমাইর আযদী। সিরিয়ার শাসনকর্তা শুহারবীল বিন আমর গাসসানী তাকে হত্যা করে।
– রসূল সা. প্রদত্ত প্রথম বীরত্বের খেতাবঃ হযরত খালেদ বিন ওলীদকে প্রদত্ত “সাইফুল্লাহ” খেতাব (মূতার যুদ্ধ, হিঃ ৮)।
– সরকারী চিঠিপত্র ও দলীলে প্রথম সিল ব্যবহারঃ ১লা মুহাররম, হিঃ ৭।
– ইসলামী বিধানের অধীনে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক শালিশীর ঘটনাঃ হিজরী ৫ সালে ইসলাম রাষ্ট্র ও বনু কুরাইযার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
– ইসলামী যুগে প্রথম যে সাহাবীকে সালিশ নিয়োগ করা হয়ঃ হযরত সা’দ বিন মুয়ায।
– রসূল সা. এর কাছে প্রেরিত প্রথম রাজকীয় উপহারঃ বাদশাহ নাজ্জাশী কর্তৃক প্রেরিত উপহার।
– আরবের মোশরেকদের মধ্য থেকে সর্বপ্রথম যে ব্যক্তির উপহার রসূল সা. গ্রহণ করেনঃ আবু সুফিয়ান (হোদায়বিয়ার সন্ধির যুগে)।
– প্রথম সাবেক গোলাম, যাকে সেনাপতি বানানো হয়’ যায়দ বিন হারেসা (মূতার যুদ্ধ)।
– যে যুদ্ধে সর্বপ্রথম বাইতুল মালের জন্য এক পঞ্চমাংশ বের করা হয়ঃ বনু কাইনুকা বা বনু কুরাইযার যুদ্ধ।
– কলেমায়ে তাইয়েবা উচ্চারণকারী কাফেরকে হত্যার প্রথম ঘটনাঃ জুহায়না অভিযানকালে উসামা ইবনে যায়দের হাতে নাহীক বিন মারদুস নিহত হয়। (রমযানঃ হিঃ ৭)।
– সর্বপ্রথম মুসলমানদের বিপুল সংখ্যাগুরু অংশ সাময়িকভাবে সিদ্ধান্তহীনতায় আক্রান্ত হয়ঃ হোদায়বিয়ার সন্ধিকালে।
– রসূল সা. এর হাতে প্রথম নিহত ব্যক্তিঃ হারেস বিন আয্-যাম্মা (ওহুদ যুদ্ধ)।
– প্রথম জান্নাতবাসী শহীদ, যিনি একবারও নামায পড়া রোযা রাখার সুযোগ পাননিঃ হযরত উসাইরিম রা.। বনু আব্দুল আশহাল গোত্রের এই ব্যক্তি ওহুদ যুদ্ধের দিন ইসলাম গ্রহণ করে তৎক্ষণাত জেহাদে অংশগ্রহণ করেন এবং শাহাদাত পান।
– প্রথম শহীদ, যিনি মৃত্যুর পূর্বে নামায পড়ার সুন্নাত চালু করেনঃ হযরত খুবাইব রা.।
– বীরে মাঊনার ঘটনার প্রথম শহীদঃ হারাম ইবনে মিলহান রা. (হযরত আনাসের মামা)।
– প্রথম “সালাতুল খাওফ” (ভয়ের নামায) পড়া হয়ঃ উসফান বা যাতুর রিকার যুদ্ধে।
– প্রথম নামাযী, যার গায়ে তিনটে তীর বিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও নামায ছাড়েননিঃ আব্বাদ বিন বাশার (যাতুর রিকা যুদ্ধে)।
– মদিনায় প্রথম মুরতাদঃ হারেস বিন সুয়াইদ বিন সামেত। ওহুদ যুদ্ধে মুসলমান অবস্থায় অংশ গ্রহণ করার পরও সে মুরতাদ হয়ে যায়। তবে মুজাযযার বিন যিয়াদ বালাভীকে হত্যা করে মক্কায় পালিয়ে যায়। পরে মদিনায় এলে গ্রেফতার ও নিহত হয়।
– যুদ্ধের ময়দানে ভুলক্রমে জনৈক মুসলমানের হাতে নিহত প্রথম মুসলমানঃ হিশাম বিন ইসাবা (উবাদা বিন সামেতের হাতে)।
– সর্বপ্রথম শত্রু পক্ষীয় গুপ্তচর গ্রেফতার ও নিহত হয়ঃ বনুল মুসতালিক যুদ্ধে।
– প্রথম মুসলমান যুবক, যে স্বীয় মোনাফেক পিতাকে হত্যা করার জন্য রসূল সা. এর কাছে অনুমতি চায়ঃ তালহা বিন আব্দুল্লাহ বিন উবাই।
– হযরত আয়েশাকে অপবাদ সংক্রান্ত ঘটনার তথ্য জ্ঞাপনকারী প্রথম ব্যক্তিঃ মিসতাহ বিন আসাসার মাতা।
– হযরত আয়েশার সতীত্বের পক্ষে প্রথম সাক্ষীঃ পুরুষদের মধ্য থেকে উসামা বিন যায়দ, মহিলাদের মধ্য থেকে বারীরা রা. এবং রসূল সা. এর স্ত্রীদের মধ্য থেকে যয়নব বিনতে জাহাশ।
– ব্যভিচারের অপবাদ আরোপের শরীয়ত সম্মত শাস্তির প্রথম প্রয়োগঃ হাসসান বিন সাবেত, মিসতাহ বিন আসাসা ও হিমনা বিনতে জাহাশের ওপর।
– সর্বপ্রথম যে যুদ্ধে মুসলমানদের একাধিক নামায একাদিক্রমে কাযা হয়ঃ খন্দক যুদ্ধে।
– শত্রুর শক্তি খর্ব করার জন্য সর্বপ্রথম সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টাঃ নঈম ইবনে মাসঊদের মাধ্যমে খন্দক যুদ্ধে এই প্রচেষ্টা চালানো হয়।
– প্রথম মুসলিম তীর নিক্ষেপক, যিনি একাকী ডাকাতদের একটি দলকে পরাজিত করেনঃ সালামা ইবনুল আকওয়া।
– সর্বপ্রথম রসূল সা. এর মুখ দিয়ে স্বতস্ফূর্ত কবিতা আবৃত্তির ঘটনাঃ হোনাইন যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী বিক্ষিপ্ত হয়ে গেলে রসূল সা. একাকী হয়ে যান। তখন তিনি নিজের সাদা খচ্চরে চড়ে উচ্চস্বরে আবৃত্তি করতে থাকেনঃ
(*************)
অর্থাৎ “আমি নিসন্দেহে নবী। আমি আব্দুল মুত্তালিবের বংশধর।”
– সর্বপ্রথম যাকাত বিভাগীয় কর্মচারী নিয়োগঃ মুহাররম ৯ম হিজরী।
– সর্বপ্রথম মুসলিম বাহিনী কামান ব্যবহার করে দুর্গ ভাংগেঃ তায়েফ অভিযানে।
– সর্বপ্রথম যুদ্ধবন্দী বিনিময়, যা মদিনার ইসলামী সরকার ও মক্কাবাসীর মধ্যে সংঘটিত হয়ঃ নাখলা অভিযানে ধৃত দু’জন যৌথ বন্দী আত্তাব বিন আব্দুল্লাহ ও হাকাম বিন কায়সারের বিনিময়ে সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস ও উতবা বিন গাযওয়ানকে মুক্ত করা হয়।
– সর্বপ্রথম যে যুদ্ধে মোহাজেরদেরকে ঘোড়ার অংশ দেয়া হয়ঃ বনু কুরায়যা যুদ্ধ।
– সর্বপ্রথম জিযিয়া গ্রহণের নির্দেশঃ তাবুক যুদ্ধের কিছু আগে নাযিল হয়।
– সর্বপ্রথম জিযিয়ার প্রশ্নে মতৈক্য হয়ঃ দুমাতুল জান্দালের শাসকের সাথে (তবুক অভিযানকালে)।
– সর্বপ্রথম বিপুল পরিমাণ জিযিয়া প্রদানের চুক্তি সম্পাদিতঃ নাজরানের খৃষ্টানরা ইসলামী সরকারকে বাৎসরিক দু’হাজার পোশাক এবং প্রয়োজনের সময় সামরিক সরঞ্জাম ধার দেয়ার অংগীকার করে।
– সর্বপ্রথম এবং একমাত্র ব্যক্তি, যিনি হোদায়বিয়ার সন্ধির সময় আদৌ কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেননিঃ হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.।
– সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি হোদায়বিয়ার চুক্তির পর কুরবানী ও চুল কামানোর ব্যাপারে মুসলমানদের দ্বিধাদ্বন্দ্বের সময় রসূল সা. কে প্রবোধ দেনঃ উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা রা.।
– সর্বপ্রথম যে কবি রসূল সা. এর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেঃ মক্কা বিজয়ের পর কা’ব বিন যুহায়ের উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য “বানাত সুয়াদ” শীর্ষক কবিতা পাঠ করেন এবং রসূল সা. তাকে নিজের চাদর পুরস্কার স্বরূপ দান করেন।
– রসূল সা. তাকে কর্তৃক সর্বপ্রথম ‘কুনুতে নাযেলা’ পাঠঃ রজী ও বীরে মাউনার হৃদয়বিধারক ঘটনার পর। এই দুটি ঘটনায় শত্রুরা দাওয়াতী ও শিক্ষামূলক প্রতিনিধি দলের সুদক্ষ ব্যক্তিবর্গকে হত্যা করে।(হিঃ ৪)
– সর্বপ্রথম মুসলিম মহিলাদের রণাঙ্গণে আগমনঃ ওহুদ যুদ্ধে (হিঃ ৩)
– প্রথম শাসক, যিনি ইসলাম গ্রহণ করেনঃ আসম বিন আবজার, আবিসিনিয়ার বাদশাহ।
– সর্বপ্রথম যে ব্যক্তিকে রসূল সা. এই বলে প্রশংসা করেন যে, তার সম্পর্কে যে সুনাম তিনি শুনেছেন, তিনি তার চেয়েও মহৎ তিনি তাঈ গোত্রের সরদার যায়দুল খায়র, পূর্বনাম যায়দুল খায়ল।
– প্র্রথম অনারব নওমুসলিম, যাকে ইসলাম গ্রহণের কারণে শূলে চড়িয়ে হত্যা করা হয়ঃ মুযান নামক স্থানে কর্মরত উত্তর আরবের রোমক গভর্ণন ফারওয়া জুযামী।
– ওহুদ যুদ্ধে প্রথম মোশরেক সম্মুখ যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ দাতাঃ তালহা।
– ওহুদ যুদ্ধের সম্মুখ সমরের চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারী প্রথম মুসলমানঃ হযরত আলী।
– ওহুদ যুদ্ধের প্রথম নিহত শত্রুঃ তালহা।
– প্রথম গর্ব প্রকাশ, যা রসূল সা. পছন্দ করেছিলেনঃ ওহুদ যুদ্ধে রসূল সা. এর তরবারী হাতে পেয়ে আবু দুজানার গর্বে বুক ফুলিয়ে চলা।
– ইসলামে প্রথম হজ্জঃ নবম হিজরীতে হযরত আবু বকর সিদ্দীকের নেতৃত্বে।
– প্রথম বিদেশে যুদ্ধঃ মূতার যুদ্ধ (জমাদিউস সানী, হিঃ৮)।
– তায়েফের সাকীফ গোত্র থেকে ইসলামের শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে মদিনায় আগত প্রথম ব্যক্তিঃ উরওয়া বিন মাসউদ সাকাফী।